সুস্থজীবনের জন্য শারীরিক শিক্ষা।
ভূমিকাঃ
আমাদের সুস্থ জীবন লাভ করতে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরসীম।তাই শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন।যে ব্যাক্তি যত বেশি শারীরিক বিষয়ের উপর শিক্ষা গ্রহণ করবে সে ব্যাক্তি তার সুস্থ দেহ,সুন্দর মন,মানসিক বিকাশ,শারীরিক উন্নয়ন ও সামাজিক গুণাবলি অর্জন করবে এবং সমাজে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
সূচিপত্রঃ
- শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা।
- শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য।
- সুস্থজীবনের জন্য শারীরিক শিক্ষা।
- শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি।
- মতামত।
- পাঠ্য শেষে আমরা যা জানতে পারবো।
শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাঃ
শারীরিক শিক্ষা হলো সেই শিক্ষা যা ব্যক্তির ব্যাক্তিত্ব সাধণ করে।আমাদের সমাজে কোনো ব্যাক্তি তখনি মূল্যায়ন পায় যখন তার ব্যাক্তিতের উন্নতি সাধণ হয়।আর উন্নতি সাধণের জন্য ব্যাক্তির জীবনের শুরু থেকেই শারীরিক শিক্ষার অনুশীলন প্রয়োজন।কেনো-
- শিশুকে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য।
- সুস্থ ভাবে গড়ে উঠা ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটানো।
- সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠার জন্য।
- খেলাধুলার মাধ্যমে নেতৃত্বদানের বিকাশ ঘটানোর জন্য।
শারীরিক শিক্ষার সব গুণ থাকলে দেশের প্রতিটি নাগরিক সুস্থ ও সবল দায়িত্ববান সম্পন্ন হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে ও দেশের উন্নতি সাধনে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।
শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্যঃ
শারীরিক শিক্ষা গ্রহণ করে নিজের মন মানসিক ও ব্যক্তিত্বকে অর্জন করে দেশের কাছে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠায় শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য। শারীরিক শিক্ষাবিদগণ শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বেশ কয়েকটি অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন।এগুলোই শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসেবে স্বীকৃত।বিভিন্ন চিন্তাবিদদের মতামত বিবেচনা করে শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্যকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা-
- শারীরিক সুস্থতা অর্জন।
- মানসিক বিকাশ সাধণ।
- চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন।
- সামাজিক গুণবলি অর্জন।
এই চারটি উদ্দেশ্যকে আবারো কয়েকটি বৈশিষ্টে আবদ্ধ করা হয়েছে যেমনঃ
১.শারীরিক সুস্থতা অর্জন।
ক.খেলাধুলার নিয়মকানুন মেনে ভালো করে খেলতে পারা।
খ.কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের উদ্দেশ্যকে হাসিল করা।
গ.স্নায়ু ও মাংশপেশির সাধনে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
ঘ.দেহ ও মনের সুষম উন্নতি করা।
ঙ.আত্তবিশ্বাস অর্জন করা।
২.মানসিক বিকাশ সাধণ।
ক.উপস্থিত চিন্তাধারার বিকাশ সাধন।
খ.নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞানঅর্জন।
গ.সেবা ও আত্তত্যাগী হওয়া।
ঘ.বিভিন্ন দলের মাধে বন্ধত্বপূর্ণ মনোভাব গড়ে উঠা।
৩.চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন।
ক.আনুগত্যবোধ ও নৈতিকতা বৃদ্ধি পাওয়া।
খ.খেলাধুলার মাধ্যমে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত গওয়া।
গ.খেলোয়াড়ি ও বন্ধুত্বসুলভ মনোভাব গড়ে উঠা।
ঘ.প্রতিদ্বন্ধীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মনোভাব গড়ে উঠা।
ঙ.আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা্ করা।
৪.সামাজিক গুণবলি অর্জন।
ক.নেতৃত্বদানের সক্ষমতা অর্জন ও সামাজিক গুনাবলি অর্জন করা।
খ.বিনোদনের সাথে অবসর সময় কাটানোর উপায় জানা।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন।
ঘ.সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচারণ ও সেবামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা।
সুস্থজীবনের জন্য শারীরিক শিক্ষাঃ
আমাদের দেহকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজন,তাছাড়া জীবনের লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হবে না।আর ব্যক্তির জীবনের লক্ষ্যে পৌছাতে শারীরিক শিক্ষার আরো কিছু বিষয়ের প্রয়োজন হয় যথা-
১.শারীরিক ও শারীরবৃত্তির প্রয়োজন।
২.মানসিক ও আত্তিক পরিপূর্ণতার প্রয়োজন।
৩.সামাজিক প্রয়োজন।
১.শারীরিক ও শারীরবৃত্তির প্রয়োজনঃব্যক্তির শারীরিক ও শারীরবৃত্তিক প্রয়োজন পূরণে শারীরিক শিক্ষা প্রত্যক্ষ কাজ করে। এ ব্যাপারে শারীরিক শিক্ষার ভূমিকা হলো-
ক.গতিশীল কাজে জৈবিক প্রয়োজন পূরণ করে।
খ.দৈহিক গঠন সুন্দর ও মজবুত করে।
গ.শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ঘ.রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে।
ঙ.শারীরিক শিক্ষা সুস্থ মনের জন্য সুস্থ দেহ গড়ে তোলো।
২.মানসিক ও আত্তিক পরিপূর্ণতার প্রয়োজন।
ক.শিশুর মানসিক ও বুদ্ধিমত্তা গড়ে তোলে।
খ.পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর করে।
গ.শিক্ষার্থীর চারিত্রিক গুনাবলির বিকাশ ঘটায়।
ঘ.পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলতে সাহায্য করে।
ঙ.ক্ষতিকর নেশা থেকে দূড়ে রাখে।
৩.সামাজিক প্রয়োজন।
ক.প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলে।
খ.শিক্ষার্থীর নেতৃত্বদানের ক্ষমতার বিকাশ ঘটায়।
গ.দেশ ও সমাজের সংস্কৃতির সাথে পরিচয় ঘটায়।
ঘ.শিক্ষার্থীর উদার মানসিকতা ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয়।
শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচিঃ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা,ব্যায়াম,স্বাস্থ্য ও বিনোদনমূলক যে সমস্ত কর্মসূচি পরিলক্ষিত হয় তাকে শারীরিক শিক্ষার কর্মসুচি বলে।শারীরিক শিক্ষার কর্মসুচিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১.অত্যাবশ্যকীয় ক্রীড়া কর্মসূচি।
২.অন্তঃক্রীড়াসূচি।
৩.আন্তঃক্রীড়াসূচি।
মতামতঃ
শারীরিক শিক্ষা আমরা আমাদের ব্যক্তিত্ব সাধনের বিকাশ ঘটাতে এর শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে যাতে করে দেশ ও দেশের মানুষের কাছে আমাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। দেশের শিক্ষার প্রশার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সকল শিক্ষা গ্রহণে শারীরিক শিক্ষার গ্রহণতা বৃদ্ধি করতে হবে,তাহলে বর্তমানে শারীরিক উন্নয়ন,মানসিক বিকাশ ও সামাজিক গুনাবলি অর্জন করে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্বকে আরো বাড়াতে হবে।শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড ।
পাঠ্য শেষে আমরা যা জানতে পারবো।
শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য।
সুস্থজীবনের জন্য শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা।
শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি।
শারীরিক শিক্ষার বর্তমান অবস্থা।
শারীরিক শিক্ষার বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে যীবন যাপনের অভ্যস্ত।
রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url