ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কেমন ল্যাপটপ প্রয়োজন
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কেমন ল্যাপটপ প্রয়োজন জানতে চান? তাহলে এ পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এই পোস্টে হেব্বি ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কেমন ল্যাপটপ প্রয়োজন এবং ল্যাপটপের দাম সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করা করবো।
আপনি যদি এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন? তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনতে আপনি কখনোই ঠকবেন না।
সূচিপত্রঃ
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক তথ্যঃ
ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের মুক্ত পেশা যেখানে নিজেদের দৈনিক সকল কাজের ফাঁকে ফ্রী টাইমে ঘরে বসে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ ও মোবাইলের মাধ্যমে করে থাকি। স্টুডেন্ট , চাকরিজীবী, গৃহিণী সকল শ্রেণীর মানুষেরাই এই পেশাতে এখন যুক্ত হচ্ছে এবং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে যে ডিজিটাল ডিভাইস গুলো ব্যবহার হয় সে ডিভাইস গুলো সেই কাজের উপর নির্ভর করে একেক রকম সার্ভিস দিয়ে থাকে।যেমন মোবাইল ফোন দিয়ে কখনোই ল্যাপটপের মতন করে কাজ করা সম্ভব না তাই আমাদের ফ্রিল্যান্সিং কাজের সেক্টর গুলোর উপর নির্ভর করবে কোন সেক্টরে কেমন ডিভাইস প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরগুলোঃ
তথ্য প্রযুক্তির সময়ে এসে আমরা যে মুক্ত পেশায় নিয়োজিত হচ্ছি সে পেশায় বিভিন্ন সেক্টর বিদ্যামান আছে। এমনকি সেক্টর অনুযায়ী কাজের মান ভিন্ন হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর গুলো হলোঃ
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েব ডিজাইন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়ার্ডপ্রেস
- ভিডিও এডিটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ডাটা এন্টি
এখন ওপরের আলাদা আলাদা সেক্টর এর উপর নির্ভর করবে আপনি আপনার ডিভাইসটি কেমন নিবেন।
কমবাজেটে ল্যাপটপ ও ফ্রিল্যান্সিংঃ
ল্যাপটপ হলো এমন একটি ডিভাইস যার প্রতি ছোট বড় সকলেরই আলাদা আলাদা আকর্ষণ কাজ করে কেননা ল্যাপটপের মাধ্যমে বর্তমান সময়ের সকল কাজগুলোই আপনি সুন্দরভাবে করতে পারবেন এমনকি বিনোদনের ক্ষেত্রেও ল্যাপটপের ভূমিকা অপরিহার্য।
আরো পড়ুনঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারীতা
বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ দ্বারা কেউ ফ্রিল্যান্সিং কেউ অফিসের কাজ আবার কেউ গেমিং করে থাকে। এখন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে থেকে আপনি যদি, ব্লগিং কন্টেন রাইটিং, ডাটা এন্টি, এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল কাজগুলো করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি কম বাজেটের ল্যাপটপ দ্বারা করতে পারবেন।
বেশিবাজেটে ল্যাপটপ ও ফ্রিল্যান্সিংঃ
আমি আপনাদের আগেই বলেছি যে ফ্রিল্যান্সিংএ অনেক রকম কাজের সেক্টর রয়েছে এবং সেই সেক্টর অনুযায়ী কাজের ভিন্নতা রয়েছে। এবং কাজের ভিন্নতার ক্ষেত্রে আমাদের ডিভাইস গুলো বা ল্যাপটপ ডেক্সটপ হাই কোয়ালিটি বা লো কোয়ালিটির হয়ে থাকে। হাই কোয়ালিটি কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে অনেক জটিলতা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস এবং ভিডিও এডিটিং কাজগুলো করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ডিভাইসটি হাই কনফিগারেশন যুক্ত ও অ্যাডভান্স লেভেলের হতে হবে। যাতে আপনি এ ধরনের সকল ভারী কাজগুলো আপনার ডিভাইসে অনাসে করতে পারে।
ল্যাপটপের বাজেটঃ
ফ্রিল্যান্সিং করে আমাদের ক্যারিয়ার গড়তে কোন ধরনের ল্যাপটপ প্রয়োজন তা আমরা উপরে জানতে পেরেছি। এখন আপনি যদি নরমাল ও স্টেন্ডার কোয়ালিটির ল্যাপটপ কিনতে চান সেক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি বাজেটের প্রয়োজন পড়বে না। ২৫০০০ -৪০০০০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি ভালো মানের ও ভালো কোয়ালিটির ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।
এখন যারা কম বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ কিনতে আগ্রহী তারা নিচের ল্যাপটপের তালিকা গুলো দেখতে পারেন।
- Lenovo ideapad G4135
- Lenovo ideapad 330
- HP 15-db0000a4
- Asus X540yA
- Acer Aspire Esi-533
এখন জানাবো আমাদের ভারী কাজ ও এক্সপেন্সিভ হিসেবে কোন ল্যাপটপ গুলো প্রয়োজন হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনাদের বাজেটের পরিমাণটা অনেকটাই বাড়াতে হবে কারণ আমরা সবাই জানি যে, যে জিনিস একটু ভালো তার দাম টা একটু বেশিই হয়।সেক্ষেত্রে আপনি যদি ভালো ব্যান্ডের স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে আপনার ৮০০০০ -১০০০০০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে।
এখন যারা বেশি বাজেটে ল্যাপটপ কিনতে আগ্রহী তারা নিচের তালিকা গুলো দেখতে পারেন।
- Mac Book pro
- Dell XPS 15
- Lenovo Chromebook
- HP Elite Dragonfly
- Gigabyte Aero 15
- Dell XPS 13
- Asus vivo Book 15 k513EA
এখন আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার সেক্টর অনুযায়ী আপনার জন্য কোন বাজেটের ডিভাইস লাগবে।
ল্যাপটপ কিনবেন যা দেখেঃ
আপনি ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিবেন সেগুলো হল প্রসেসর, রেম এবং হার্ডডিক্স। সর্বপ্রথম আপনি ল্যাপটপের প্রসেসরের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব রাখবেন কেননা ল্যাপটপের সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে প্রসেসর সর্বপ্রথম ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও ল্যাপটপের রেম হার্ডডিক্স কোনভাবে নষ্ট হয়ে গেলে সেগুলো খুবই সহজে পরিবর্তন করা সম্ভব হয় কিন্তু প্রসেসর নষ্ট হলে আপনাকে পুনরায় প্রসেসরটি প্রসেসিং করার মাধ্যম থাকে না। এর পাশাপাশি ল্যাপটপের বাহিক্য দিক গুলোর মধ্যে লক্ষ্য রাখতে হবে যেমনঃ ডিসপ্লের কালার কম্বিনেশন ঠিক আছে কিনা, স্ক্যান রেজুলেশন, সাউন্ড সিস্টেম, কুলিং ফ্যান ও কিবোর্ডগুলোর ব্যবহার ক্ষেত্রে আপনার কমফোর্টেবল বিষয়গুলো।
এছাড়াও আপনি অবশ্যই আপনার ল্যাপটপটি ফাস্ট রাখার জন্য SSD+ Extra Ram লাগিয়ে নিবেন যাতে করে আপনার ল্যাপটপ ধীরগতির না হয়ে যায় ফলে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাজকর্মগুলো আপনার ডিভাইসে স্বাচ্ছন্দ বোধ ভাবে করতে পারবেন।
ল্যাপটপের বৈশিষ্ট্যঃ
প্রত্যেকটি কোম্পানির ল্যাপটপ গুলো যে একই রকম বা একই কোয়ালিটির হবে বিষয়টা তা নয়, ব্যান্ড ও কোয়ালিটির উপর নির্ভর করবে ল্যাপটপের বৈশিষ্ট্য। আমাদের দেশে কিছু কমন ব্যান্ডের তালিকায় যারা রয়েছেঃ
- HP
- Dell
- Asus
- lenovo
- Gigabyte
যারা অতি শীঘ্রই ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছেন তারা অবশ্যই ব্যান্ড ও কোয়ালিটির বিষয় গুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করবেন যাতে করে ডিভাইসটি ব্যবহার করে আপনি আনন্দময় ফিল অনুভব করেন। ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যান্ডের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করবেন এবং আপনার বাজেটের ওপর ফোকাস রাখবেন, আর অবশ্যই চেষ্টা করবেন একটি ভাল ব্যান্ডের পণ্যটি কেনার জন্য।
মতামতঃ
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ তাদের বেকারত্ব কে দূর করতে পেরেছে। আশা করি অপরের পাঠ্য হতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক তথ্য এবং ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কি ধরনের ডিভাইসের প্রয়োজন সে সকল বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন।
এ ধরনের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে রেইন ওয়েব জোন এর সাথে থাকুন এবং পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
আরো পোষ্টের তালিকাঃ
রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url