অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি হয়-অর্জুন পাতা ও ফলের উপকারীতা

অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি হয়? আপনি কি জানতে চান। তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা আজকের এ আর্টিকেলে অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি হয় এবং অর্জুন গাছের পাতা ও ফল খাওয়ার উপকারিতার সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। 

এ মহা ওষধি গাছ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই এ আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যাতে করে আপনিও এ মহা ওষুধী গাছের থেকে উপকৃত হতে পারেন।

সূচিপত্রঃ পোষ্টের বিভিন্ন অংশ পড়তে ক্লিক করুন

অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার উপকারিতা

আপনি কি জানেন? অর্জুন গাছের ওষুধি গুণ মানব সমাজের জন্য সুপ্রাচীন কাল থেকেই কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও আমাদের ভেষজ শাস্ত্রে ঔষধি গাছ হিসেবে অর্জুন গাছের ব্যবহার অধিক প্রয়োজনীয়। তাই আজকে আমরা জানবো অর্জুন গাছের সকল ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে। এ অর্জুন গাছের ছাল, পাতা ও ফল ব্যবহার করেই আমাদের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করা হয় বলেই অর্জুন গাছকে মহা ঔষধি গাছ বলা হয়ে থাকে।যেমন-

  • যাদের বুক ধরফর করে তাদের জন্য অর্জুন গাছের ছাল খুবই উপকারী। 
  • আপনি যদি অর্জুন গাছের ছাল বেটে খান তাহলে আপনার হৃদপিন্ডের পেশী শক্তিশালী হয়, হৃদপিন্ডের ক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। 
  • অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্যানিন যার ফলে আপনার মুখ, জিব্বা এবং মাড়ির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। 
  • মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করতে, শরীরের ক্ষত এবং পাচরা দূর করতে অর্জুন গাছের ছাল ব্যাপক ভাবে কার্যকরী। 
  • অর্জুন গাছের ছাল আপনার হাঁপানি, আমাশয়, ব্যথা ইত্যাদি চিকিৎসায় উপকারী।
  •  জ্বর নিবারক হিসেবেও ব্যাপক কাজ করে এ অর্জুন গাছের ছাল। 
  • অর্জুন গাছের ছালে সাপোনিন থাকায় এটি যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। যার ফলে চর্ম ও যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে অর্জুন গাছের ছালের রস ব্যবহার হয়ে থাকে। 
  • খাদ্য হজম ক্ষমতা এবং মানব শরীরের ক্যান্সার কোষের বর্ধন রোধকারী হিসেবেও অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • অর্জুন গাছের ছাল ভালোভাবে পিষে পানি দিয়ে দিনে দুইবার খেলে রক্ত আমাশয় ভালো হয়।

ওপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও অর্জুন গাছের আরো কিছু উপকারী দিক নিচে বর্ণনা করা হলোঃ

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার

বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে প্রচুর মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।আমরা সবাই জানি ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ যা মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে ফেলে। আর সেজন্য ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিভিন্ন ওষুধ এবং খাদ্যাভাসের পরিবর্তন আনতে হয় যা একটি মানব জীবনে অনেক কষ্টকর হয়ে ওঠে। 

আর এ কষ্টের হাত থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে ডায়াবেটিস ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি অর্জুন গাছের ছাল খেতে পারেন। এতে আপনার ডায়াবেটিস সমস্যা অনেকটাই কমবে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী অর্জুন গাছের ছাল সেবন করতে হবে। আপনি যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী। 

আরোপড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শরীর দুর্বল হলে করণীয়

অর্জুন গাছের ছাল খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনি ডায়াবেটিস থেকে অনেকটাই রক্ষা পেতে পারেন। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সব থেকে কার্যকরী মাধ্যমটি হল আপনার সুগার লেভেল কন্ট্রোলে রাখা। তাই আপনাকে অবশ্যই সুগার লেভেল কন্ট্রোলে রাখতে হবে।

হৃদরোগ ও এজমা নিয়ন্ত্রণে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার

হৃদরোগঃআপনি যদি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সব থেকে কার্যকরী মহা ওষুধ হিসেবে অর্জুন গাছের ছাল খেতে পারেন। কেননা অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে কো-এনজয়িম কিউ-১০। আর  এই কো-এনজাইম কিউ-১০ হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। আর এ অর্জুনের ছাল বেটে খাওয়ার ফলে আপনার হৃদরোগের পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের পেশী শক্তিশালী হয় এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ে।

ব্যবহার-আপনি যদি অর্জুন গাছের ছাল বেটে না খেতে পারেন তাহলে আপনি অর্জুন গাছের ছালকে রোদে শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে দুধ মিশ্রিত ক্ষীর বা বাইশের সাথে মিশে খেতে পারেন।

এজমাঃ আপনি যদি অ্যাজমা রোগের আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য মহা ওষুধ হিসেবে অর্জুন গাছের ছাল অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই অ্যাজমা থেকে বাঁচার জন্য অর্জুনের ছাল খেতে পারেন।

কাশির উপশম ও লিভার সমস্যায় অর্জুন গাছের কার্যকারিতা

কাশির উপশমঃ আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় কাশির কে হয় আর সে কাশি আমাদেরকে অনেক অস্বস্তিতে রাখে। তাই আপনি যদি কাশীর হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে অর্জুন গাছের ছাল আপনি কাজে লাগাতে পারেন। তার জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে সেগুলো হল অর্জুন গাছের ছাল বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেটাকে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নিতে হবে। 

গুড়ো করা হয়ে গেলে মধু বা চিনি মিশ্রিত শরবতের সঙ্গে গুলিয়ে খেতে হবে। তাহলে আপনি অবশ্যই কাশীর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

লিভার সমস্যায়ঃ লিভার আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যেটিকে সুস্থ রাখা আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সময় আমাদের লিভারেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। সেজন্য লিভার সুস্থ রাখার জন্য অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করুন। ব্যবহার করার জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে প্রথমে অর্জুন গাছের ছাল তুলে রোদে শুকিয়ে সেটাকে গুড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিতে হবে। আর সেই সালের গুঁড়ো জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সেই জল পরের দিন সকালে খেতে হবে।

ত্বকের পরিচর্যা ও ক্ষত সারাতে অর্জুন গাছের ব্যবহার

ত্বকের পরিচর্যাঃ আপনার কি জানেন অর্জুন গাছের ছাল আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেই। আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য এবং ত্বকের কোসগুলোকে মজবুত করার জন্য অর্জুন গাছের ছাল খুব কার্যকরী। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্রণের জন্যও বিশেষ কার্যকরী এবং অর্জুন গাছের ছালের গুরোর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে মেছতার দাগও কমে যায়।

ক্ষত সারাতে ঃ আপনাদের যদি কোন ধরনের ক্ষত এবং পাঁচড়া হয়ে থাকে তাহলে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করুন। অর্জুন গাছের ছাল রাতে পানির সঙ্গে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে পরের দিন ক্ষত স্থানটি ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো জলের সাথে ভিজিয়ে পেস্ট বানিয়ে ওই জায়গাতে লাগান।১৫-২০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন।

হার্ট ভালো রাখতে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার

আমাদের প্রত্যেক মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য হার্ট অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ হার্টকে সবার আগে ভালো রাখতে হবে আর হার্টকে ভালো রাখতে হলে আমাদের দেহে প্রয়োজন কোলেস্টেরল নামক উপাদানের। সেজন্য আমাদেরকে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে হবে কেননা অর্জুন গাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কলেস্টেরল উপাদানটি তৈরী হয়। 

আর সেই অর্জুন গাছের ছাল ভেজানো পানি খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে কোলেস্টেরল অনেকটাই বৃদ্ধি করে যার ফলে আমাদের হার্ট সুস্থ থাকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার

ক্যান্সার আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর একটি রোগ। ক্যান্সার হলে আমাদের অনেকাংশেই বেঁচে থাকার আশাটা হারিয়ে যায়। তাই ক্যান্সার থেকে উপশম বা রক্ষা পেতে আপনি অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা গ্যালিক এসিড ও লুটেনোনিন এ দুটি উপাদান ক্যান্সার এর হাত থেকে রক্ষা করে। 

আর সে উপাদান গুলো অর্জুন গাছের থালে বিদ্যমান থাকায় খেলে আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেজন্য আপনাকে অর্জুন গাছের ছালটিকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে এবং সপ্তাহে দু-তিন দিন রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

আরোপড়ুনঃ প্রতিদিন ১০০ টাকা ইনকাম করার উপায়

হজম ক্ষমতাঃ মানবদেহের হজম ক্ষমতা সমস্যাটি অতি পরিচিত। আর হজম সমস্যা থেকেই মানবদেহে আরো বিভিন্ন প্রবলেম গুলো সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে আপনি অর্জুন গাছের ছাল একবার খেয়েই দেখবেন। আপনি যদি অর্জুন গাছের ছাল শুকিয়ে গুড়ো করে হালকা গরম জলে মিশিয়ে রোজ রাত্রে ঘুমানোর আগে নিয়ম করে খাবেন দেখবেন আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

হাড় মচকানোঃ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে লক্ষ্য করে দেখবেন অসাবধনতার ফলে পায়ে বড় ধরনের মচক বা চোট লাগে। সেক্ষেত্রে আপনারা অর্জুন গাছের ছাল বেটে তার সঙ্গে রসুন বাটা মিশিয়ে সে জায়গাতে লাগিয়ে দিবেন। দেখবেন আপনাদের সে স্থানে অনেক আরাম পাবেন।

কানের সমস্যাঃ কানের বিভিন্ন সমস্যায় অর্জুন গাছের পাতার রস বের করে কানের ভিতরে দুই ফোটা দিলে কানের ব্যথা, পচরা ভালো হয়।

জ্বর দূর করতেঃ জ্বর আমাদের অতি পরিচিত একটি অসুখ। যা আমাদের দেহে অনেকাংশেই সব সময় দেখা দিয়ে থাকে। তাই জ্বর দূর করতে অর্জুনের ছাল ভেষজ চিকিৎসার ব্যবহার করা হয় যা আপনারাও ব্যবহার করতে পারেন।

অর্জুন গাছের পাতা ও ফলের উপকারিতা

অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতার পাশাপাশি অর্জুন গাছের পাতা ও ফলও অনেক উপকারী। সেজন্যই বিশেষজ্ঞরা অর্জুন গাছকে মহা ঔষধি গাছ হিসেবে তুলনা করেছেন। অর্জুন গাছের ছালের ব্যবহারের পাশাপাশি আপনারা অর্জুন গাছের পাতা ও ফল কে ব্যবহার করেও আরো কিছু উপকার পাবেন সেগুলো হল: অর্জুনের পাতা আপনাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোড়া হয়ে থাকলে। 

সে স্থানে অর্জুনের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখলে সে ফোড়া টি ফেটে গিয়ে থাকে এবং অর্জুন পাতার রস দিলে তাড়াতাড়ি সে স্থানটি শুকিয়ে যায়। আপনার শরীরে পানি শূন্যতা এবং এনার্জি আনার জন্য প্রতিদিন অর্জুনের পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সে পানি সকালে খালি পেটে খেলে এ উপকারগুলো পাবেন। আপনার যদি হাঁপানি রোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য অর্জুন ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কোনো না অর্জুন ফল শুকিয়ে সেটাকে টুকরো করে তামাকের মতো করে সেবন করলে হাপানি রোগ থেকে মুকিত্ পাবেন।

অর্জুন গাছের ব্যবহার বিধি

আপনারা যদি অর্জুন গাছের সকল উপকারিতা দিকগুলো জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন অর্জুন গাছের ওষুধী গুনাগুন কত। তাছাড়াও আপনারা হয়তো এখন আরো বুঝতে পেরেছেন যে একটি অর্জুন গাছ থাকলে আপনাদের কতটা উপকারে আসবে।চিকিৎসা ক্ষেত্রে অর্জুন গাছের সব অংশই বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। 

যার ফলে অর্জুন গাছের প্রতিটা অংশই কোন না কোন কাজে লাগে সেগুলো হল ছাল, পাতা ও অর্জুন গাছের ফল। ছাল ব্যবহারে-অর্জুন গাছের ছাল আপনারা সরাসরি থেকে শুরু করে বেটে এবং ছাল গুড়ো করে ব্যবহার করতে পারবেন। পাতা ব্যবহারে-অর্জুন গাছের পাতা আপনারা পানিতে ভিজিয়ে এবং পাতা সরাসরি বেটেও ব্যবহার করতে পারবেন।

বীজ সংরক্ষণ ও ছাল সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া

আপনারা যদি অর্জুন গাছের ছাল এবং বীজ সংগ্রহ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে সে বিষয়ে সম্পর্কে জানতে হবে। অর্জুন গাছের বীজ সংরক্ষণ ও সাল সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ যাতে আপনারাও এটি নিমিষেই করতে পারবেন। ছাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে আপনাকে পরিপক্ক একটি গাছ খুঁজে বের করতে হবে তারপর সে গাছ হতে প্রয়োজন মত ছাল সংগ্রহ করতে হবে। 

ছাল সংগ্রহ করা হয়ে গেলে সেগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে তারপর পাঁচ থেকে সাত দিন রোদে শুকিয়ে চটের বস্তায় ভরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি জায়গায় রাখতে হবে যাতে করে এর কার্যকারিতা সম্পূর্ণভাবে ঠিক থাকে। বীজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে বীজ পুরোপুরিভাবে পরিপক্ক কিনা। 

যদি বীজ টি সঠিক পরিপক্ক হয় তাহলে সে বীজ ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে একটি কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

অর্জুন গাছের উপকারীতা বিষয়ে লেখকের মন্তব্য

অর্জুন গাছ আমাদের জীবনে কতটা যে ভুমকিা পালন করে তা হয়তো আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন।আমাদের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটি অর্জুন গাছ অধীক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমাদের সবাইকে অন্তত একটি করে অর্জুন গাছ আমাদের বাড়ির আশেপাশে খালি জায়গায় লাগাতে হবে। কেননা একটি অর্জুন গাছ থাকা আর একটি ডাক্তার থাকা একই বিষয়। 

আপনারা যদি এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই অর্জুন গাছের সকল ওষুধী গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনেছেন। এবং আপনাদের দন দৈনিক রোগের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url