ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা কি জানতে চান? তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজ এই পোস্টে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতার সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো । আশা করছি এই পোস্টটি থেকে আপনারা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কের সকল বিষয়গুলোর  বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আপনি যদি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি আপনারা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতার সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ পোষ্টের বিভিন্ন অংশ পড়তে ক্লিক করুন

শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবইল ফোনের ব্যবহারঃ

শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল কিছুর তথ্য জানতে পারছে, ফলে শিক্ষা বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। এমনকি ছাত্রছাত্রীরা তাদের সুবধিার ক্ষেত্রে বাসায় বসে থেকে অনলাইন এর মাধ্যমে  বিদ্যালয়ের চলাকালীন ক্লাস করতে পারছে।

ছাত্র-ছাত্রীরা একে অপরের সাথে অতি সহজে যোগাযোগ করতে পারছে এবং তাদের মাঝে  কমিউনিকেশন গুলো বজায় থাকছে যার কারণে শিক্ষার্থীদের  শিক্ষা বিষয়ক কথোপকথন গুলো আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের বিনোদনের জন্য ঘরে বসে থেকে ভিডিওর মাধ্যমে নাটক গান নিউজ মুভি ইত্যাদি দেখতে পাচ্ছে।

আরোপড়ুনঃ ছাত্রজীবনে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায় ১০০% কার্যকরী

 তথ্য প্রযুক্তির সময়ে এসে শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে।কোনো না অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে শিক্ষার্থী কোন কারণে অসুস্থতা থাকলে বিদ্যালয়ের পড়াশোনা গুলো থেকে বঞ্চিত হতো কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে কোন শিক্ষার্থীর অসুস্থতা থাকলেও চাইলে ঘরে বসে থেকে বিদ্যালয়ের সময়কালীন ক্লাস গুলো করতে পারবে যার ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার গতি ঠিক রাখতে পারছে। 

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতাঃ

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এখন একটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কিন্তু মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের ফলে ছাত্র জীবনে অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মূহীন হতে হচ্ছে। যার একমাত্র কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোন অতিমাত্রায় ব্যবহার করা,  ফলে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের নেশাতে আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। 

এছাড়াও মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিনোদনমূলক ভিডিও অডিও গান নাটক ইত্যাদি দেখে থাকছে যার ফলে তাদের মোবাইলের প্রতি ভালোবাসাটা বেশি করে জাগ্রত হচ্ছে। যতটুকু সময় তারা পড়াশোনার ওপর ব্যয় করছে তার থেকে অধিক বেশি সময় তারা বিনোদনের জন্য ব্যয় করছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। 

যার কারনে ছাত্র জীবনে  ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে ।কেননা ছাত্র জীবনের মোক্ষম সময় হলো তার শিক্ষা ক্ষেত্র তাই শিক্ষা ক্ষেত্রের সময় গুলো যদি কোন কারনে নষ্ট করে ফেলে তাহলে ছাত্র জীবন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জানতে পারছে এমনকি নতুন নতুন বিষযের জানার আগ্রহ হচ্ছে ও অনলাইন গেম এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে যা তার শিক্ষা জীবন ও শারীরিক সুস্থতা অর্জনের বাধা প্রদান করছে । 

শারীরিক ও মানসিক দিক সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে এবং সমাজের রীতিনীতি আদর্শ থেকে বঞ্চিত করার একমাত্র কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার। মোবাইল ফোনের অপব্যবহার গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। কেননা সোশ্যাল মিডিয়ার  যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৃষ্টি করে তা শিক্ষার্থীরা অল্পতেই জানতে এবং বুঝতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ার পতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।

আমরা সবাই জানি মানব জীবনের সবথেকে অমূল্য সম্পদ হচ্ছে চরিত্র আর এ চরিত্রের মোক্ষম সময় হচ্ছে কিশোর কাল। আর মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কিশোর কালকে ধ্বংস করার একমাত্র কারণ। কোনো না বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এখন মোবাইল ফোনে দেখা যাচ্ছে যা কিশোর কালে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে দেখতে এবং বুঝতে পারছে যার কারণে নৈতিকতা বোধ এবং কিশোর কালেই মানব জীবনের মূল্যবান সম্পদ চরিত্রকে নষ্ট করছে।

আরোপড়ুনঃ ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার ১৫টি উপায় জানুন

মোবাইল ফোনের প্রতি ছাত্রদের অতম্মব আকর্ষণের মূল কারণ হচ্ছে তাদের পছন্দমত বিনোদনের রাস্তা থাকার কারণে। অনেক ক্ষেত্রে সেই বিনোদন কে পূরণ করার জন্য পিতা-মাতার-মাতার কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে মিথ্যা বলে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা নেই যা মিথ্যাতে পারদর্শী করে তোলে।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজ হয়েছে,যা ছাত্র জীবনের জন্য খুবই বিপজ্জনক।কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীর মাঝে প্রেমের সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা প্রতিনিয়ত কথোপকথনের মধ্য দিয়ে আরো অনেক অ্যাট একটিভ মুডে নিয়ে যাচ্ছে।

 যার ফলে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পর্যায়ের আগেই তাদের ছাত্র জীবন ধ্বংস করে ফেলছে। ফলে বাড়ছে দেশে বেকারত্ব কমে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি এমনকি সমাজের কাছে নিজের ব্যক্তিত্বও।মোবাইল ফোনের অপকারিতা সকলের  জন্যই বিদ্যমান কিন্তু সবথেকে বেশি বিস্তার ফেলে আমাদের ছাত্র  জীবনে।

কেননা ছাত্র জীবন হলো আমাদের ভবিষ্যৎ সমাজ এবং দেশের কাছে নিজেকে বিকাশিত করার সময় তাই ছাত্র জীবনকে আমাদের অধিক মূল্যায়ন করতে হবে। আর ছাত্র জীবনকে মূল্যায়ন করতে হলে আমাদের মোবাইল ফোনের অপব্যবহার কমাতে হবে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় না দিয়ে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে তার পড়াশোনায় সময় দিতে হবে শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

মোবাইল ফোন অতি মাত্রায় ব্যবহার করার ফলে অনেক মোবাইল ব্যবহারকারী ও ছাত্র ছাত্রীদের শারীরিক ভাবে ক্ষতি সাধন হয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হলো যথা-

  • মোবাইল ব্যবহারে চোখের ক্ষতি সাধন।
  • মোবাইল ব্যবহারে কানে কম শোনা।
  • মোবাইল ব্যবহারে ঘুম কম হওয়া।
  • মোবাইল ব্যবহারে মস্তিস্কের ক্ষতি সাধন।

কৃষি ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহারঃ

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিক আমাদের কৃষির ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোনের ভূমিকা অপরসীম। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে যার ফলে কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সেই কৃষি পণ্যগুলো বাজারজাত করতে ভূমিকা পালন করছে। 

আগেকার সময় তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমগুলো না থাকার ফলে কৃষি ক্ষেত্র অনেকটাই পিছিয়ে ছিল  জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মৌ সম্মুখীন ফসল চাষে কৃষকের ধারণা ছিল না ফলে কৃষিখাত ছিল দুর্বল। তথ্য প্রযুক্তির সময়ে এসে ব্যাপক পরিমাণে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ফলে প্রত্যেক মানুষের হাতে হাতে প্রযুক্তি যার ফলে সময়োপযোগী ফসল ও পরিচর্যা ইত্যাদি বিষয়ক তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে ফলে কৃষি খাতের উন্নতি হচ্ছে।

 আর কৃষি খাতের উন্নতির ফলে গ্রাম বাজারে বেকারত্বের হার কমছে এমনকি দেশের মাথাপিছু আয় বাড়ছে যা সম্ভব হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।

যোগাযোগ ব্যবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহারঃ

তথ্যপ্রযুক্তির সময়ের আগে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা উন্নতি ছিলো না কিন্তু এখন সাধারণ মানুষের কাছে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন।বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন হাতে থাকার কারণে ছাত্র ছাত্রীরা নানা ধরণের তথ্য গুলো অতি সহজে একে উপরের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারছে। এছাড়াও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অডিও কল এবং সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে পাছে খুব সহজে।

শুধু তাই নয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক ধরনের তথ্য পরামর্শ যা ঘড়ে বসে থেকে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে যেমন এসএমএস ,ইমেল,ফ্যক্স,  যা  আগে কার সময়ে অনেক কষ্টকর  ছিলো।


বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন এর জন্য ঘড়ে বসে থেকে টেনের,বাসের টিকিট ক্রয় করতে পারবো অতি সহজে যা তথ্য প্রযুক্তির যুগে েএসে সম্ভব হচ্ছে।

মোবাইল ফোনর গুরুত্ব কি জানুন

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের আধুনিক জীবন কল্পনা করা যায় না কোনো না মোবাইল ফোন আধুনিক বিশ্বের এক অবিশ্বাস্য আবিষ্কার।

যার ফলে আমরা নানা ধরণের কার্যক্রম করতে পারি যা মানব জীবনের উন্নতি সাধন করে। বর্তমান সময়ে শিক্ষা থেকে শুরু করে কৃষিকাজ পর্যন্ত মোবাইল ফোনের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি ইন্টারনেট ব্যবহার করে সকল কিছুর তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে যা মানব জীবনের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হচ্ছে।

বাড়ছে মোবইল ফোনের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা। ডিজিটাল সময়ে শিক্ষা কৃষি ও যোগাযোগ মাধ্যমগুলো উপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল ব্যবহারে পিতা- মাতার দায়িত্বঃ

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন হলো খুবই গুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস যার মাধ্যমে অতি সহজে ও দ্রুত কোনো কিছ জানা বা তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়।আর তাই আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ভূমিকা রয়েছে যা বাংলাদেশে বিগত করোনার মৌসুম এ গুরুত্ব আরোপ করেছে।

জীবনে সুফল যাত্রায় যেতে হলে ছাত্র জীবন হলো গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় যা কোনো কারণে নষ্ট না হয়ে যায় তার উপর অভিভাবকদের গুরুত্ব দিতে হবে।
 
শিক্ষার প্রয়োজনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কেমন করছে আর বিনোদন, গেমস,বিভিন্ন মিডিয়ায় কতটুকু সময় দিচ্ছে সে বিষয়ে নজর রাখা ও পড়াশোনার নাম করে অনলাইন গেমস যাতে না খেলতে পারে সে দিকে নজর রাখা।

ছাত্র জীবনকে  সুন্দর করতে পিতা মাতা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরসীম ।দেশের মেরুদন্ড হিসেবে শক্তিশালী মাধ্যম হলো শিক্ষা তাই শিক্ষাকে বাচাতে আমাদের মোবাইল ফোনের আপব্যবহার কমাতে হবে ।

আমার মতামতঃ

জীবনে নিজেকে গড়ে তোলতে ছাত্রজীবন হলো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।আর এ সময় একবার চলে গেলে আর কখনোই ফিরে পাওযা সম্ভব না।তাই এ সময়কে নষ্ট না করে আমরা কঠোর প্ররিশ্রম দিয়ে আমাদের ছাত্রজীবনকে আলোকিত করবো।

উপরের তথ্যগুলো যদি আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো লেগে থাকে। তাহলে পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ। 

আরো পোষ্টের তালিকাঃ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url