ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার ১০০% কার্যকরী উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায় জানতে চান? তাহলে এ আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কেনো না আজকের এ আর্টিকেলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায় ও ১৫ দিনে চিকন হওয়ার কার্যকরী টিপসগুলো নিয়ে আলোচনা করব। 

আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাত্র ১৫ দিনে চিকন হতে চান তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকে কমিয়ে নিজেকে আকর্ষণীয় স্বাস্থ্যে পরিণত করতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ পোষ্টের বিভিন্ন অংশ পড়ার জন্য ক্লিক করুন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়

বর্তমান সময়ে আপনার মত মোটা স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে আছে। আর আপনাদের স্বাস্থ্য বৃদ্ধির ফলে যতটা না আপনি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তার থেকে অনেক গুণ বেশি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। তার জন্য আপনারা বেশিরভাগ সময়ই চিকন হওয়ার উপায় নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করেন এবং দ্রুত চিকন হওয়ার জন্য অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন নারী-পুরুষ উভয়েই। 

আরোপড়ুনঃ  গর্ভাবস্থায় শরীর দুর্বল হলে কি করবেন

কিন্তু আপনাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ভুল নিয়মের চিকন হতে গেলে আপনার লাভের থেকে অনেক বেশি ক্ষতি হবে। সেজন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম গুলো মেনে আপনার ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে। আপনারা অবশ্যই জানেন যে ব্যায়াম বা ডায়েট কন্ট্রোল করে ওজন কমানো যায় কিন্তু সময় ক্ষেত্রে আপনাদের কর্মব্যস্ততার ওপর নির্ভর করে এ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করতে পারেন না। 

তবে আজকে এই আর্টিকেলে এ মাধ্যম গুলো ছাড়াও আরো ১২ টি কার্যকরী টিপস গুলো নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলো আপনারা কর্মব্যস্ততা থাকার পরেও সুন্দরভাবে অবলম্বন করতে পারবেন। তো চলুন এখন আমরা সে কার্যকরী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করি।

খাদ্যতালিকা ব্যবহার করে চিকন হওয়ার উপায়

আপনাকে চিকন হতে গেলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। কেননা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তাই সবার আগে আপনাকে জানতে হবে কোন জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আমাদের শরীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার জন্য কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গুলো কাজ করে। তাই আপনাকে যতটা সম্ভব খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারগুলোর পরিমাণ কম খেতে হবে। 

এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো বেশি খেতে হবে। যেমন-ভাত, রুটি, আলু এ খাবারগুলোর পরিবর্তে মাছ, ডিম, মুরগির মাংস এসব খাবার গ্রহণ করুন। গরুর মাংস ও খাসির মাংশ খাওয়া থেকে দূরে থাকুন কারণ এ ধরনের মানুষের প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে। যার ফলে আপনার শরীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 

মনে রাখবেন প্রোটিনযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগান দেয় আর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারগুলো আমাদের মাংসপেশী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সেজন্য প্রথমেই আপনাকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করতে হবে এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গুলো-প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো খাওয়ার ফলে আপনার পেশিগুলো অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে তাই প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিলে আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি খারাপ প্রভাব ফেলবে। প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলো হল-ডিম, দুধ, মুরগির মাংস, মাছ ও ডাল।

সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট করুন চিকন হোন

মোটা স্বাস্থ্য চিকন করে নিজেকে আকর্ষণীয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনেকেই খাবার খাওয়া কমিয়ে দেয়। এমন কি সকাল বেলার ব্রেকফাস্টও বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু এ কাজটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকারক তা হয়তো আপনারা জানেন না। এতে কিছু সময়ের জন্য আপনার শরীর থেকে কিছুটা ওজন কমলেও তা পুনরায় আবার ফিরে আসে কারণ সকাল বেলার খাবারটা আমাদের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। 

আর আপনাদের শরীরে মেটাবলিজম যদি সঠিক পরিমাণে থাকে তাহলে আপনার খাবার গুলো দ্রুত হজম করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেজন্য আপনাকে সকালের ব্রেকফাস্ট কখনোই বাদ দেয়া উচিত নয় এবং সকাল ৮ টা থেকে ৮.৩০ এর মধ্যে ব্রেকফাস্ট করা উচিত।

চিকন হওয়ার জন্য রাতের খাবার নিয়মঃ আপনাকে মনে রাখতে হবে চিকন হওয়ার জন্য সকালের খাবার সময় যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক রাতের খাবারটাও সঠিক সময়ে শেষ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমরা সকলেই রাতের খাবার শেষ করার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়ি যার ফলে সেই খাবারের উপাদানগুলো সম্পূর্ণ আমাদের শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। এবং আমাদের শরীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

তাই আমাদেরকে রাতে ঘুমানোর দুই ঘন্টা আগে খাবার খাওয়া উচিত যাতে ঘুমানোর আগে সেই খাবারের ক্যালোরি এবং উপাদান গুলো বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে শরীর থেকে খরচ হয়ে যায়। আপনাকে চিকন হওয়ার জন্য অবশ্যই রাতের খাবারের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিবেন।

খাবার কম খাওয়াঃ আপনাকে চিকন হওয়ার জন্য সকাল এবং রাতের খাবারের জন্য যে নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করবেন এর পাশাপাশি খাবার খাওয়ার প্রতিও আপনাকে কিছুটা নজর রাখতে হবে। যেমন-আপনি যে পরিমাণ খাবার খেতেন তার থেকে কিছু পরিমাণ কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন যেখানে আপনি দুই থালা ভাত খেতেন সেখানে একতলা খাবেন, যেখানে আপনি পাঁচটি রুটি খেতেন সেখানে দুইটি রুটি খাবেন। এসব খাবার কম খাওয়ার বদলে বেশি করে ফল এবং সবজি জাতীয় খাবার খাবেন।

ছোট থালাই খাবার খানঃ স্বাস্থ্য চিকন করার ক্ষেত্রে আপনাকে যে অল্প পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে সেজন্য ছোট থালাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। কেননা অনেক ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার সময় বড় থালাই খাবার খাওয়ার ফলে অনেক বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। তাই আপনি যদি ছোট থালায় খাবার খান সেক্ষেত্রে খাবারটি প্রথম অবস্থা থেকেই অল্প পরিমাণে নিতে পারবেন এবং আপনার খাওয়ার বিষয়ের ওপর নজর থাকবে।

আরোপড়ুনঃ অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার উপায়

আয়নার সামনে খাবার খানঃ গবেষণায় বলা হয়েছে যেসব মানুষ আয়নার সামনে বসে খায় তাদের ওজন দ্রুত কমতে থাকে। কারণ যখন আয়নার সামনে কোন ব্যক্তি খাবার খেতে বসে তখন নিজেকে দেখতে পাই এবং চিন্তা করে তার ওজন কমাতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে নিজের উপর কন্ট্রোলিং হারিয়ে ফেলে বা মনে থাকে না। আর আপনি যখন আয়নার সামনে যাবেন ঠিক তখনই আপনার নজর আয়নার উপরই পড়বে যাতে আপনার সকল বিষয়গুলো আবারো মনে পড়বে।

ফাস্টফুড খাদ্য পরিহার করে চিকন হওয়ার উপায়

আপনি কি জানেন মোটা হওয়ার জন্য ফাস্টফুড খাদ্য কতটা অন্যতম। কারণ ফাস্টফুড জাতীয় খাবার তৈরিতে ফ্যাট জাতীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে যার ফলে আপনাদের শরীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে। তাই আপনাকে চিকন হতে হলে অবশ্যই এ জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করতে হবে।

কোমল পানীয় ত্যাগ করুনঃ কমন পানীয় খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড। আপনি যদি এ ধরনের খাবারগুলো দীর্ঘ সময় ধরে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস, হৃদরোগ হতে পারে। এছাড়াও চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে অবশ্যই আপনাকে দূরে থাকতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি পান করে চিকন হওয়ার উপায়

আপনার চিকন হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপায়। কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ফ্যাট, রাসায়নিক পদার্থ দূর হয়। যাতে শরীরে হাইড্রেট এবং চর্বি জমা না হয়ে দ্রবীভূত হয়ে বের করে দেয় এবং পানি আমাদের শরীরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। 

যার ফলে আমাদের শরীর মোটা হওয়ার হাত থেকে অনেক বেশি রক্ষা পেয়ে থাকে। তাই আপনাকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে এছাড়াও আপনার পরিশ্রম এর ওপর ভিত্তি করে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। 

চিকন হওয়ার জন্য ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা

আমরা সকলেই জানি আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন তৈরি করতে ব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। আমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যায়াম করে থাকি তাহলে আমাদের শরীরে জমে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ ও ভ্যাট নিঃশেষ হয়ে যাবে।ফলে আমাদের শরীর চিকন ও সুন্দর আকর্ষণীয় হতে সাহায্য করবে। সেজন্য আপনাকে নিয়মিত সকাল কিংবা বিকালে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৬০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। চিকন হওয়ার জন্য আপনারা যে ধরনের ব্যায়ামগুলো করবেন-

  • পায়ে হাটা
  • সাইকেলিং
  • দৌড়ানো 
  • সাঁতার কাটা।

ক্যালোরি গ্রহণ ও খাবার বাদ না দিয়ে চিকন হওয়ার উপায়

ক্যালোরি গ্রহণ-আপনার শরীরে যে পরিমাণ ক্যালরি প্রয়োজন আপনাকে সে পরিমাণ ক্যালরি যুক্ত খাবার খেতে হবে। কেননা প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার আপনার স্বাস্থ্য কে দ্রুত বাড়িয়ে দিবে। তাই আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালোরি কতটুকু প্রয়োজন সে বিষয়ে জানতে হবে সেজন্য আপনাকে গুগলে বি এম আর ক্যালকুলেট এর সাহায্য নিতে হবে। যেখানে আপনার ওজন, উচ্চতা ও দৈনিক কাজের হিসাব অনুযায়ী google বি এম আর বলে দেবে আপনার শরীরের ক্যালরি চাহিদা কত। 

আপনি যদি আপনার শরীরের দৈনিক ক্যালোরির চাহিদা জানতে পারেন তাহলে সে অনুযায় ১৫% কম ক্যালরি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে একবারে বেশি পরিমাণে ক্যালরি কমিয়ে ফেলবেন না যাতে আপনার শরীরে ফ্যাটলস ও মাংসপেশীর কোন ক্ষতি না হয়।

চিকন হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমঃ আমাদের সকলের স্বাস্থ্য মোটা বা চিকন হওয়ার জন্য ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শারীরিক ঘাটতি গুলো পূরণ হয়ে থাকে এবং ঘুম থেকে আমরা কাজ করার শক্তি পায়। আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য চিকন করা নিয়ে ভেবে থাকেন তাহলে আপনাকে ঘুমের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে।

যেমন আপনাকে রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটা কিংবা ১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখবেন দুপুরের খাবার শেষ করে কখনোই ঘুমাবেন না কারণ এতে খাবারটা আমাদের শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমা হয় এবং স্বাস্থ্যবৃদ্ধী করে।

ডায়েট প্ল্যান তৈরি করুন ওজন কমান

আপনার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য চিকন করার জন্য আপনি ডায়েট প্ল্যান মাধ্যমটি ব্যবহার করবেন কেননা আপনার শরীরের গঠন অনুযায়ী কি ধরনের ডায়েট করা প্রয়োজন তা ডায়েট প্ল্যান নির্ধারণ করে দিবে। আপনি এ ডায়েট প্ল্যান পদ্ধতি টি ঘরে বসে থেকেই নিজেই জানতে পারবেন আপনার জন্য কোন ডায়েট প্লান্টি সঠিকভাবে কাজে দেবে। তার জন্য আপনি গুগল বিএমআর এর মাধ্যমে ক্যালরি হিসাব করে নিয়ে আপনার ডায়েট প্ল্যান নিজেই পছন্দ করে নিবেন। 

আপনি যদি এ মাধ্যম টি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য সঠিক মাত্রা গ্যালারি এবং প্রোটিনের চাহিদা গুলো ভালোভাবে জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী আপনি আপনার ডায়েটিং করলে শরীরের কোন প্রকার ঘাটতি ছাড়াই সুন্দর স্মার্ট হিসেবে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

নিজের উপর আত্মবিশ্বাস তৈরি করা

আপনার জীবনে সকল সফলতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই আপনার নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আত্মবিশ্বাস যদি আপনার নিজের উপর না থাকে তাহলে আপনার দ্বারা কোন কিছুই অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই আপনার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য চিকন করার জন্য যেমন আপনার প্রয়োজন সঠিক নিয়মাবলী তেমনি ভাবে আপনার নিজের আত্মবিশ্বাস ও প্রয়োজন।

আপনারা একবার ভাবুন যে আপনাদের প্রয়োজনের জন্য বা বিনোদনের জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান আকাশ পথ ব্যবহার করে বিমানের মাধ্যমে। আপনারা অবশ্যই জানেন যে আকাশ পথে বিমানগুলো কত উপর দিয়ে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়া আশা করে। এবং কোন কারণবশত বিমানটি বিধ্বস্ত হলে কোন যাত্রী বাঁচার সম্ভাবনা থাকে না।

আপনার প্রয়োজনীয় আরো পোষ্টের তালিকা দেখুন

তারপরও আপনাদের মত অনেকেই এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে থাকে। তাহলে কি তাদের কোন ভয় নাই অবশ্যই আছে। কিন্তু তারপরও তাদের তারণা এবং আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে তাদের যাত্রা শুরু করে অবশেষে তারা তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়। এখন আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন নিজের সফলতার জন্য নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকার কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

মনে রাখবেন কোন কিছুর বিনিময়ে আপনারা অতি দ্রুত চিকন হওয়ার চেষ্টা করবেন না এবং চিকন হওয়ার জন্য যে স্বাস্থ্যকর উপায় গুলো এ আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে সে বিষয়গুলো মেনে চলবেন। কেননা কোনমতেই একদিনে চিকন হওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব না সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং নিজের প্রতি চেষ্টা থাকতে হবে।তাহলে অবশ্যই আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন। 

আমি আশা করছি এ পোষ্টের মাধ্যমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায়গুলোর সম্পর্কে আপনাদের জানাতে পেরেছি। যদি এ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এরকম আরো স্বাস্থ্যকর বিষয়গুলো জানার জন্য রেড ওয়েব জোন এর সাথেই থাকবেন। এবং এ পোস্ট সম্পর্কে আপনাদের কোন কিছু জানার থাকলে দয়া করে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করবেন যাতে করে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারি। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url