হরতকি ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়ম মেনে ব্যবহার
হরতকি ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানতে চান? তাহলে এ আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আজ এ আর্টিকেলে আমরা হরতকি ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং হরতকি খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
আপনি যদি এ পোষ্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি অবশ্যই হরতকি ফলের উপকারিতা, অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আরো জানতে পারবেন চুলের যত্নে হরতকির উপকারিতা , দাঁতের ব্যথা ও পেট পরিষ্কার করার জন্য হরতকি ফলের ব্যবহার সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ পোষ্টের বিভিন্ন অংশ পড়তে ক্লিক করুন
- হরতকি ফলের উপকারিতা জানুন
- হরতকি খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো
- চুলের জন্য হরতকির উপকারীতা গুলো
- চুলের জন্য হরতকি ব্যবহার করার নিয়ম
- হরতকি ব্যবহারে অপকারতিা কি জানুন
- হরতকি ব্যাবহারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি জানুন
- হরতকির বিবরণ ও পরিচিতি সম্পর্কে জানুন
- হরতকির উপকারীতা ও অপকারীতা বিষয়ে লেখকের মন্তব্য
হরতকি ফলের উপকারিতা জানুন
আয়ুর্বেদ বা ভেষজ শাস্ত্রে হরিতকির রয়েছে অনেক গুণ ও উপকারিতা। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্র তিতা স্বাদের ছোট এ ফলটি মানবদেহের জন্য মহা ওষুধ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। হরিতকী ফলটি, ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড ও বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ।তাই হরতকি দেহের অঙ্গ পরিষ্কার করে এবং মানবদেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। আপনি যদি হরতকি ফলের উপকারিতা সম্পর্কে কোন কিছুই না জেনে থাকেন তাহলে চলুন হরতকির সকল উপকারীতার বিষয়গুলো জেনে আসি।
হরতকি রক্তচাপ ও অস্ত্রের খিচুনি কমাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও হরিতকি হৃদপিণ্ড ও অস্ত্রের অনিয়ম দূর করতে সাহায্য করে। এটি একটি পরজীবী নাশক, পরিবর্তন সাধক, স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক। হরিতকী কষ্ঠকাঠিন্য,স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও হরিতকীর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে এখন সে বিষয়গুলোর আলোচনা করব।
পিত্তশূল দূর করতেঃ হরিতকি চূর্ণ ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে পিত্তশূল দূর হয়।
রক্তচাপ ও হৃদপিণ্ডঃ হরিতকি ভেজানো পানি রক্তচাপ এবং অন্তের খিচুনি হ্রাস করে এবং হৃদপিণ্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দুর করে।
পেট পরিষ্কার রাখতেঃ বর্তমান সময়ে সব বয়সেই পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। সেজন্য আপনি যদি রাতে শোয়ার আগে অল্প পরিমাণ বিট লবণের সঙ্গে দুই গ্রাম লবঙ্গ বা তারোচনের সঙ্গে হরতকি ফলের গুড়া মিসিয়ে খান তাহলে পেট পরিষ্কার করে শরীরে আপনার স্বস্তি ফিরে আনবে।
এলার্জি দূর করতেঃ আপনার যদি এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি নিমিষেই অ্যালার্জি দূর করতে পারবেন। সে জন্য আপনাকে হরতকি ফল গরম পানির সঙ্গে ফুটিয়ে সে পানি ব্যবহার করতে হবে।
আরোপড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়
গলা ব্যথা দূর করতেঃ গলা ব্যথা করলে হরতকির ফল পানিতে ফুটিয়ে সে পানি দিয়ে গর্গলা করলে গলা ব্যথা নিরাময় হয়।
দাঁতে ব্যথা হলেঃ আমাদের ছোট কিংবা বড় সকলেরই দাঁতে ব্যথা হওয়া সমস্যাটি অতি পরিচিত। তাই দাতের ব্যথা ভালো করতে আপনারা হরতকি ফলের গুড়া লাগালে সে ব্যথা কমে যায় এবং যেকোনো ব্যথা দূর করার জন্য ব্যাপকভাবে কার্যকরী এ হরতকি ফল।
চুলের যত্নেঃ আমাদের প্রত্যেকেরই চুল পড়া এবং চুলের পুষ্টিগুণতার মতো অনেক সমস্যা থাকে। তাই আপনি যদি হর্তকি নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে আপনার চুলে ব্যবহার করেন তাহলে চুল পড়া এবং চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে। এছাড়াও হরতকি মাথায় ব্যবহার করার ফলে খুশকি দূর করে।
পাইলস রোগেঃ এ হরতকি ফল পাইলস রোগে অধিক কার্যকরী। বর্তমান সময়ে এ রোগের আক্রমণ অনেক অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নিয়মিত ভাবে পরিমাণ অনুযায়ী হরতকি খাওয়ার অভ্যাস করুন তাহলে এই ভয়ংকর পাইলস রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
ত্বকের জন্যঃ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাগুলোর মধ্যে সবথেকে কমন সমস্যাগুলো হল-ত্বকের উজ্জ্বলতা, ব্রন এবং মেশতা। আপনি যদি হরতকি ফলের গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে খান তাহলে আপনার ত্বকের সমস্যা গুলো নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ প্রত্যেক মানুষের সুস্থ থাকার জন্য তার দেহের হজম ক্ষমতা ভালো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনার যদি হজম ক্ষমতা কম থাকে তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করবে। সেজন্য আপনাদেরকে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য হরতকি ফলের গুড়া কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে খেতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ হরতকির ফলে অ্যানথ্রাইকুইনোন থাকার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যাপক ভাবে কার্যকরী। তাই আপনাদেরকে নিয়মিত হরতকির গুড়া খেতে হবে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হাত থেকে রক্ষা পান।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রেঃ আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত হরতকি ফল থেকে পারেন। কারন হরতকি খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সর্দি ও কাশি দূর করতেঃ সর্দি ও কাশি দূর করতে তুলসী পাতা ও মধুর সাথে হরতকি ফল খেলে সর্দি কাশি উপশম হয়।
হার্ট ভালো রাখতেঃ হরতকি হার্ড সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।হরতকি রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে যার ফলে ব্লক বা হার্টের রক্ত জমাট এ ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ যারা ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য হরতকি হতে পারে মহা ওষুধ। সেজন্য আপনাকে হরতকির চূর্ণ নিয়োমিত খেথে হবে তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
হরতকি খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো
আরোপড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার উপকারীতা
যেহেতু এ ফলটি কাঁচা থাকতে সামান্য তিতা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অনেকেই খাবার সময় অবশ্যই সমস্যায় পড়বেন। আর এ সমস্যায় যাতে আপনারা না পড়েন সেজন্য আপনাদেরকে হরতকি খাওয়ার কিছু নিয়ম-
- হরতকির গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে খাবেন।
- চিনি বা মিশ্রির সরবত করে তার সাথে মিশিয়ে খাবেন।
- কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন।
- গুড়ের সাথে মিশিয়ে খাবেন।
চুলের জন্য হরতকির উপকারীতা গুলো
বর্তমান সময়ে এসে আমাদের চুলের ওপর ব্যাপকভাবে যত্ন নিতে হয়। আর আমরা সে পরিমাণ যত্ন না নেওয়ার ফলে আমাদের চুলের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু চুলের যত্নের জন্য হরতকির উপকারিতা অনেক বেশি এমনকি হরতকি ব্যবহারের ফলে চুলের সুস্থতা বজায় থাকে। হরতকি চুলে ব্যবহার করার ফলে যে ধরনের উপকারিতা গুলো পাওয়া যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করি।
- চুল পড়া কমায়
- নতুন গজাতে সাহায্য করে
- চুল ঘন লম্বা করে
- মাথার খুশকি দূর করে
- চুলের গোড়া শক্ত করে
- চুলের অকালপক্কতা কমাই
- চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
চুলের জন্য হরতকি ব্যবহার করার নিয়ম
হরতকি চুলে ব্যবহার করতে হলে এটি সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা জরুরী বেশি ব্যবহার করলে আপনার চুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে। মনে রাখবেন হরতকি শুধুমাত্র দুর্বল ও সুক্ষ চুলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন কখনোই শক্তিশালী চুলের জন্য ব্যবহার করবেন না। যদি আপনার চুলে যেকোনো অপ্রিয় প্রতিক্রিয়া হয় তাহলে তা ব্যবহার করার পূর্বে একটি ছোট অংশ চুলের উপর পরীক্ষা করবেন।
এছাড়াও হরতকি চুলে ব্যবহারের আগে নিকটস্থ চুল বিশেষজ্ঞ সাথে পরামর্শ গ্রহণ করুন। কারণ সবাইর চুলের ধরন এবং অবস্থা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। হরতকি চুলে ব্যবহার করার আগে স্বচ্ছতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। চুলের সাথে যে কোন প্রকার অপরিষ্কার বস্তু মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়।
ওপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর আপনি যদি মনে করেন আপনার চুলের জন্য হরতকি ব্যবহার করা জরুরী তাহলে কিভাবে হরতকি চুলে ব্যবহার করবেন তা নিচে দেওয়া হলো।
- হরতকির গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করা যায়।
- নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করা যায়।
- ডিমের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা য়ায়।
- আমলকি,মেথির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
- বিভিন্ন শ্যামপুর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে খুশকি ভালো হয়।
হরতকি ব্যবহারে অপকারতিা কি জানুন
আমি আশা করছি আপনারা হরতকি খাওয়ার উপকারিতা এবং সকল মানব দেহের ওষধি গুনাগুন সম্পর্কে উপরের আলোচনায় জানতে পেরেছেন। এবার আপনারা জানবেন হরতকির কিছু অপকারিতার বিষয় সম্পর্কে। আপনাদের জন্য এ বিষয়টি জানা অনেক প্রয়োজন এবং দরকারীয়। আপনারা মনে রাখবেন সকল কিছুর উপকারিতার পেছনে সামান্য কিছু পরিমাণ অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবেই।
সেজন্য আপনারা যদি সঠিক ব্যবহার এবং পরিমাণ মতো সেবন প্রক্রিয়া জেনে থাকেন তাহলে আপনাদের খুবই উপকার হবে। তো চলুন হরতকির অপকারিতা বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- গর্ভাবস্থায় হরতকি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- পরিমাণের বাইরে হরতকির গুড়া খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা হবে।
- অতিরিক্ত হরতকি খেলে আপনার সর্দি-কাশি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে।
- কাঁটাস্থানে কখনোই হরতকির গুড়া লাগানো যাবে না।
হরতকি ব্যাবহারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি জানুন
ক্লান্ত, দুর্বল এবং গর্ভবতী মহিলাদের হরতকি খাওয়া যাবে না। এছাড়াও বদহজম, শুকনো খাবার, মদ্যপান,ক্ষুদা, তৃষ্ণা ও গরমে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের হরতকি খাওয়া উচিত নয়।
চুলের প্রতিক্রিয়াঃ হরতকি চুলে ব্যবহারের পর কিছু মানুষের চুলে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া হতে পারে যেমন চুলের ব্যথা, চুলের প্রতিস্পর্ধা বা জ্বলনা।
চুলের পাতা পচনঃ কিছু মানুষের চুলে হরতকি ব্যবহার করার পর চুলের পাতা পচন হতে পারে যা চুলের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে।
ত্বকের প্রতিক্রিয়াঃ হরতকি ত্বকের ব্যবহারের পর কিছু মানুষের ত্বকে প্রতিক্রিয়া হতে পারে যেমন ত্বকের লালচে হওয়া, জ্বলনা বা ত্বকের চাপা চাপা দাগ।
অন্যান্য প্রতিক্রিয়াঃ হরতকি ব্যবহারের পর আরো অনেক ধরনের সামান্য প্রতিজ্ঞা হতে পারে যেমন চোখের জ্বলনা, নাকের খারাপ অনুভূতি ইত্যাদি।
এই প্রতিক্রিয়াগুলি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ভিন্নভাবে প্রবাহিত হতে পারে এবং প্রতিক্রিয়া গুলি ভিন্ন এবং পরিস্থিতিগুলির উপর নির্ভর করতে পারে।
হরতকির বিবরণ ও পরিচিতি সম্পর্কে জানুন
হরতকি হলো একটি ভেষজ উদ্ভিদ। ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে এটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের টাকা, চট্টগ্রাম ও টাঙ্গাইল প্রভৃতি স্থানে বেশি পাওয়া যায়।হরতকি ফল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এবং রন্ধনশিল্পে বহুল ব্যবহৃত ভেষজ ফল।
বিবরণঃ হরিতকি একটি বৃক্ষ জাতীয় সপুষ্পক উদ্ভিদ যা বাংলাদেশ ও ভারতের এর আদি নিবাস। ভারতবর্ষের বনাঞ্চলে বা গ্রাম অঞ্চলে উক্তভাবে এ গাছ দেখা যায়। এ গাছের উচ্চতা ৪০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এ গাছের পাতা ঝরে গিয়ে আবার নতুন কথা গজায়। এ গাছের বাকল গারো বাদামের হয়ে থাকে এবং বা কোলে লম্বা ফাটল থাকে। পাতা লম্বা ও চ্যাপ্টা হয় যা পাঁচ -ছয় ইঞ্চি। এ গাছের ফুল ফোটে ডালের একদম শেষ প্রান্তে।
আরোপড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সুজি খাওয়ার উপকারীতা জানুন
ফুলের রং হালকা হলুদা সাদা। ফুল হয় লম্বাটে যা দেড় ইঞ্চি। কাঁচা অবস্থায় ফল হয় সবুজ এবং পরিপক্ক সময়ে ফলের রং হালকা হলুদ এবং শুকালে কালচে খয়েরি রং হয়। এ ফলের ত্বক ভীষণ শক্ত হয়।। এই ফল বছরের পর বছর ভালো থাকে ফলে এর প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্ত পর্যন্ত লম্বা লম্বা ৫-৬ টি সেরা থাকে ফলের বাইরের আবরণ কুচকানো থাকে।
ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা হয়। ফলের ভেতরে একটি মাত্র ভীষণ শক্ত বীজ থাকে। এবং সেই বীজ হতে চারা তৈরি করা হয়।
ব্যবহারঃ এই গাছের ফল, বীজ, পাতা সব কিছুই মানুষের উপকারে আসে এবং এ গাছের কাঠ খুব মজবুত ও শক্ত। এ কাঠ ব্যবহার করে মানুষের দৈনিক জীবনের আসবাব তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
হরতকির উপকারীতা ও অপকারীতা বিষয়ে লেখকের মন্তব্য
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সবল থাকার জন্য এ হরতকি ফলের উপকারিতার গুরুত্ব অপরশীম। কেননা আপনি যদি প্রতি সকালে এক কাপ পরিমাণ হরতকি ভেজানো পানি পান করেন তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ হরতকি ফলের সফল উপকারিতা।
এবং অপকারিতা বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এরকম আরো মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য রেইন ওয়েব জোন এর সাথে থাকবেন। এবং এ পোস্ট সম্পর্কিত কোন বিষয়ের ওপর যদি আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামতটি জানাবেন। ধন্যবাদ।
রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url