বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত জেনে নিন বিস্তারীত

আপনি কি বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক পোস্টে ক্লিক করেছেন। কারণ আজ এ পোস্টে বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে ও কোন কাজের বেতন কত এবং বুলগেরিয়া দেশ সম্পর্কে সকল বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। 

বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত

আপনি যদি এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কত টাকা বেতন পাবেন এ বিষয়ে সঠিক ও আপডেট খবর গুলো জানতে পারবেন।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত

বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে

বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে এ বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ইউরোপ মহাদেশের এই বুলগেরিয়া শহরটিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান। কারণ-আপনি যে দেশেই যান না কেনো যদি সে দেশের কাজের চাহিদা গুলো সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা না থেকে থাকে। 

তাহলে আপনি সে দেশে গিয়ে তেমন ভালো কিছু করতে পারবেন না। তাই এ পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব বর্তমান সময়ে গোলগিরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা রয়েছে। আর এ কাজগুলোর মধ্যে আপনি যদি কোন কাজের ওপর ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপর বুলগেরিয়ায় যান। তাহলে আপনি প্রতি মাসে বুলগেরিয়া থেকে হ্যান্ডসাম পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

আরোপড়ুনঃ ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাবেন জেনে নিন বিস্তারিত

যা আপনার ভবিষ্যৎ পরিপূর্ণভাবে সেটেল করতে সাহায্য করবে। তো চলুন বুলগেরিয়ায় বর্তমান সময়ে কোন কোন কাজের চাহিদা গুলো রয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি। বলগেরিয়ায় বর্তমানে স্কিল ওয়ার্কার এবং নন স্কিল ওয়ার্কার এ ২ বিষয়েই ব্যাপক কাজের চাহিদা রয়েছে। 

আপনি যদি একজন স্কিল ওয়ার্কার হয়ে থাকেন তাহলে তো আর কোন কথাই নেই, আর আপনি যদি নন স্কিল ওয়ার্কার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্র আপনার জন্যও বিভিন্ন কাজের সুযোগ সুবিধা বুলগেরিয়ায় রয়েছে। সেগুলো হল-

স্কিল ওয়ার্কার হিসেবে যে কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে বুলগিরিয়াই রয়েছে-

  • সফটওয়্যার ডেভেলপার
  • ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • আইটি সেক্টর
  • ড্রাইভার
  • গার্মেন্টস ওয়ার্কার
  • মেশিন অপারেটর
  • টেক্সটাইল টেলার
  • আয়রন মেশিন
  • রাজমিস্ত্রি ওয়ার্কার

নন স্কিল ওয়ার্কার হিসেবে যে কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে বুলগিরাই রয়েছেঃ

  • রেস্টুরেন্ট ওয়ার্কার
  • কন্সট্রাকশন ওয়ার্কার 
  • প্যাকেজিং ওয়ার্কার
  • ম্যাসন ওয়ার্কার
  • কার্পেন্টার ওয়ার্কার
  • ওয়েল্ডার ওয়ার্কার
  • এগ্রিকালচার ওয়ার্কার
  • ফুড ডেলিভারি ওয়ার্কার
  • বিক্রয় কর্মী ওয়ার্কার

ওপরের উল্লেখিত কাজগুলো আপনি যদি একজন স্কিল ওয়ার্কার এবং নন স্কিল ওয়ার্কার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে এ কাজগুলো বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়ায় ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন ভাবে করতে পারবেন। আর আপনার যদি কোন কাজের ওপর দক্ষতা থেকে থাকে। তাহলে আপনি ইউরোপ কান্ট্রির যেকোনো দেশেই সহজে যেতে পারবেন এবং কাজ পাবেন।

বুলগেরিয়ায় কোন কাজের কত টাকা বেতন জানুন বিস্তারিত

বুলগেরিয়ায় কোন কাজের জন্য কত টাকা বেতন পাবেন এ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ডিপেন্ড করে আপনার কোম্পানি এবং আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু বুলগেরিয়া ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশ হওয়ায় এখানে আপনি সর্বনিম্ন নন স্কিল ওয়ার্কার হিসেবে ৮০০ ইউরো থেকে ১০০০ ইউরো পর্যন্ত বেসিক বেতন পাবেন। 

বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত

এবং আপনি যদি একজন স্কিল ওয়ার্কার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সর্বনিম্ন এবং বেসিক বেতন হিসেবে ১০০০ ইউরো থেকে ১২০০ ইউরো বেতন পাবেন। আর আপনার কোম্পানি এবং আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে এ ব্যাসিক বেতন ছাড়াও আরো অনেক বেশি বেতন উপার্জন করতে পারবেন।

স্কিল ওয়ার্কার বেসিক বেতন নন স্কিল ওয়ার্কার বেসিক বেতন
সফটওয়্যার ডেভেলপার ১০০০-১২০০ ইউরো রেস্টুরেন্ট ওয়ার্কার ৮০০- ১০০০ ইউরো
ইঞ্জিনিয়ারিং ১০০০-১২০০ ইউরো কন্সট্রাকশন ওয়ার্কার ৮০০- ১০০০ ইউরো
ইলেকট্রিশিয়ান ১০০০-১২০০ ইউরো প্যাকেজিং ওয়ার্কার ৮০০- ১০০০ ইউরো
আইটি সেক্টর ১০০০-১২০০ ইউরো ম্যাসন ওয়ার্কার ৮০০- ১০০০ ইউরো
ড্রাইভার ১০০০-১২০০ ইউরো কার্পেন্টার ওয়ার্কার ৮০০- ১০০০ ইউরো
গার্মেন্টস ওয়ার্কার ১০০০-১২০০ ইউরো ওয়েল্ডার ওয়ার্কার ৮০০- ১০০০ ইউরো
মেশিন অপারেটর ১০০০-১২০০ ইউরো এগ্রিকালচার ওয়ার্কার ৮০০- ১০০০ ইউরো
রাজমিস্ত্রি ওয়ার্কার ৯০০০-১০০০ ইউরো ফুড ডেলিভারি ওয়ার্কার ৭০০- ৯০০ ইউরো

বুলগেরিয়া দেশ কেমন বিস্তারিত জানুন

বুলগিরিয়া দেশ সম্পর্কে আপনি জানতে চান তাহলে এ পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এ পোস্টে ইউরোপ মহাদেশের বুলগেরিয়া দেশ সম্পর্কে সকল বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনি যদি এ পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে বুলগেরিয়া দেশ সম্পর্কে সকল কিছু সঠিকভাবে জানতে পারবেন। তো চলুন বলগেরিয়া দেশ সম্পর্কে আলোচনা শুরু করি।

বুলগেরিয়া ইউরোপ মহাদেশের একটি সেনজনভুক্ত কান্ট্রি। বুলগেরিয়ার সরকারি নাম হল রিপাবলিক অফ বুলগেরিয়া। দেশটি বলকানো উপদ্বীপের পূর্ব পাশে ইউরোপ ও এশিয়ার ঐতিহাসিক সংগমস্থলে অবস্থিত। এর উত্তর সীমান্তে রোমানিয়া, পশ্চিমে সার্বিয়া ও মেসিডোনিয়া। দক্ষিনে অবস্থিত গ্রিস ও তুরস্ক এবং পূর্বে কৃষ্ণসাগর অবস্থিত। 

ইউরোপের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী দানিয়ব বুলগেরিয়ার উত্তর সীমান্তে গঠন করেছে। বুলগেরিয়া হলো পর্বত, নদনদী ও সমভূমির দেশ। আর ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় দেশ হলো বুলগেরিয়া, সেজন্য এখানকার পর্যটক কেন্দ্র স্থানগুলোতে সারা বছর ভিড় জমে থাকে। বুলগেরিয়া হল ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তন যুক্ত একটি দেশ।

আরোপড়ুনঃ কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি জানুন বিস্তারিত

যেখানে শুধুমাত্র ৭০ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে এবং আয়তনের দিক থেকে বুলগেরিয়া বিশ্বের ১০৩ নম্বর দেশ। বুলগেরিয়া দেশের সরকারি ভাষা হল বুলগেরিয়া আর এদেশের ৮৫ শতাংশ লোক এ ভাষায় কথা বলে থাকে। এছাড়াও এ বুলগারিয়া দেশে আন্তর্জাতিকভাবে রোশ, জার্মান ও ইংরেজি ভাষার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

এদেশে বেশিরভাগ মানুষই খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারী বা এর সাথে সম্পর্কিত রয়েছে এবং শুধুমাত্র ১২ শতাংশ লোক ইসলাম ধর্মের অনুসারী। বুলগেরিয়ার রাজধানী বা বড় শহরের নাম সোফিয়া। শহরটি বলকান পর্বতমালার পাদদেশর পশ্চিম অংশে অবস্থিত। শহরটি বুলগেরিয়ার বাণিজ্যিক ও শিল্প উৎপাদন পরিবহন ও সংস্কৃতির কেন্দ্র।

এবং বুলগেরিয়ার রাজধানীতে ১৩ লক্ষ মানুষ বসবাস করে। বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া শহরটিতে বসবাসের জন্য খুব অল্প খরচ করতে হয় এবং বুলগেরিয়ার রাজধানীতে প্রচুর সাংস্কৃতিক চিত্রাংকন, মসজিদ ও গির্জা রয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো বুলগেরিয়ায় ছেলে ও মেয়ের প্রত্যেকের জন্য উন্নত মানের পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে। 

এবং এদেশে প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত হয়ে থাকে। বুলগিরিয়া শহরটি অলিম্পিক গেমের জন্য খুবই জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত। এযাবৎ বুলগেরিয়ার এথলেটরা ৫২ টি স্বর্ণ, ৮৯টি রৌপ্য এবং ৮৩ টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। আর এদেশের জনপ্রিয় খেলার তালিকায় রয়েছে ফুটবল। অতীতে বুলগেরিয়া দেশটি সম্পূর্ণ কি ছিল উপর নির্ভরশীল ছিল কিন্তু যুগের পরিবর্তনে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহতায় এ দেশটি এখন শিল্পোন্নয়নের কারণে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে।

বুলগেরিয়ায় ওয়ার্কার ভিসায় যেতে কি কি প্রয়োজন

আপনি যদি বুলগেরিয়ায় ওয়ার্কার ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার কি কি লাগবে সে বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। তো চলুন বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি। যাতে করে আপনারাও বুলগেরিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের অসুবিধা এবং প্রতারণার শিকার না হোন।

  • আপনাকে একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং পাসপোর্টের সর্বনিম্ন বয়স ছয় মাস থাকতে হবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি।
  • আপনি বুলগেরিয়ায় কাজের ভিসা কেন নিবেন সে বিষয়ে একটি আবেদন পত্র।
  • বুলগেরিয়ায় আপনি যে কোম্পানিতে যেতে চান সে কোম্পানি থেকে একটি রিকুমেন্ডশন লেটার।
  • আবেদনকারের ফোন নম্বর।
  • আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র।
  • আবেদনকারীর কোন কাজের উপর অভিজ্ঞতা থাকলে সে কাজের প্রমাণপত্র।
  • আবেদনকারীর মেডিকেল ইন্সুরেন্স।
  • আবেদনকারীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • আবেদনকারীর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • বুলগেরিয়ায় কাজের ভিসায় কিভাবে যেতে পারবো

বুলগেরিয়ায় ওয়ার্কার ভিসায় যাওয়ার জন্য সঠিক উপায়

বুলগেরিয়ায় কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক উপায় গুলো জানতে হবে। কারণ-বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়ায় কাজের ভিসা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ আবেদন করে থাকে। কিন্তু অনেকেই আবেদন করার সঠিক উপায়গুলো না জানার কারণে যেতে পারেন না। তাই আপনাদেরকে বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য একদম সঠিক উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। 

যাতে করে আপনারা কোন প্রকার কারো মাধ্যমে প্রতারিত না হোন। তো চলুন বুলগেরিয়া যাওয়ার সঠিক উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা শুরু করি।বুলগেরিয়া একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর সদস্য ভুক্ত দেশ হওয়ায় ইউরোপের অন্য সকল দেশের নাগরিকদের এদেশে যাওয়ার জন্য কোন প্রকার ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে নন ইউরোপীয় দেশ যেমন-

বাংলাদেশ-ভারত এবং অন্যান্য দেশ থেকে বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসা লাগবে। সেজন্য সবার আগে আপনার একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন। পাসপোর্ট এবং উপরে লিখিত সকল ডকুমেন্ট গুলো আপনার সংগ্রহ করা হয়ে গেলে বুলগেরিয়া কোম্পানি ভিসার জন্য আপনাকে সশরীরে ইন্ডিয়ান এম্বাসি হতে আবেদন করতে হবে। 

মনে রাখবেন বুলগেরিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিজে সশরীরে ইন্ডিয়াতে গিয়ে ইন্ডিয়ান এম্বাসি থেকে আবেদন করতে হবে। আপনার উপস্থিতি না হয়ে কখনোই ইন্ডিয়ান এম্বাসি ভিসা আবেদন গ্রহণ করবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে যদি কোন এজেন্সির দালাল বলে থাকে যে আপনাকে কোন প্রকার এম্বাসি ফেস না করেই বুলগেড়িয়া ভিসা প্রদান করে থাকবে সেক্ষেত্রে আপনি সে এজেন্সি বা দালাল থেকে দূরে থাকুন।

বুলগেরিয়ায় ওয়ার্ক ভিসায় যেতে কত টাকা প্রয়োজন

বুলগিরিয়ায় ওয়ার্ক ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে এটি নির্ভর করে আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে ভেরি করে থাকেন এবং যে কোম্পানিতে জাচ্ছেন তার উপরে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন এজেন্সি ৮ থেকে ১২ লক্ষ্য টাকা চার্জ করে থাকে। 

বুলগেরিয়া কোম্পানির সুযোগ সুবিধা গুলো কি জেনে নিন

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যেতে চান তাহলে এ বিষয়টি আপনার জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন এ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি-আপনি আপনি যদি কোনো কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া আসেন তাহলে আমি ফাস্টোল বলবো যে অনেক কোম্পানি আছে যারা আপনাকে একুমেন্ডেশন সবকিছুই অফার করবে। 

যেমন-থাকা, খাওয়া এভরিথিং। আবার কিছু কিছু কোম্পানি আছে যারা আপনাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেবে কিন্তু খাওয়ার ব্যবস্থার জন্য আপনাকে টাকা দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আমি আপনাদেরকে বলবো আপনারা যে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করবেন সে এজেন্সির কাছ থেকে ক্লিয়ার হয়ে নিবেন যে আপনার কম্পানি আপনাকে কি কি সুবিধা গুলো দিবে সে বিষয়ে।

বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য কত দিন সময় লাগে

বুলগেরিয়ায় কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনার কত দিন সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে  আপনার কোম্পানি ও আপনার এজেন্সি এবং আপনি যার মাধ্যমে কাজ করছেন তারা কেমন তার উপরে। কিন্তু বুলগেরিয়া যেহেতু সেনজেন যুক্ত দেশ সেক্ষেত্রে পারমিট এর জন্য ১ থেকে ২ দুই মাস সময় লাগতে পারে। আপনার পারমিট আসার পরে ডকুমেন্ট গুলো এবং অ্যাটাকস্টেশন সবকিছু আসতে আরো একমাস থেকে দুমাস। 

এখানে আপনাদের জন্য সবথেকে বড় প্লাস যেটি হল আপনি যদি ইন্ডিয়াতে গিয়ে সরাসরি এম্বাসি ফেস করেন তাহলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার ভিসার রেজাল্টে পেয়ে যাবেন। এবং আপনি হান্ড্রেড এ হান্ড্রেড ভিসা পেয়ে যাবেন। এখন আপনারা বাংলাদেশ থেকে বুলগিরিয়া যাওয়ার জন্য অভারল ১ থেকে ৬ মাস সময়ের মধ্যেই পারমিট থেকে বুলগেরিয়া পর্যন্ত ফ্লাই করতে পারবেন।

বুলগেরিয়ায় কাজের চাহিদা সম্পর্কে লেখক এর মন্তব্য

আপনি যদি এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি ১০০% শিওর ভাবে বলতে পারব-বুলগেরিায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বুলগেরিয়ায় কোন কাজের কত টাকা বেতন আর বুলগেরিয়া যেতে কত দিন সময় লাগবে এবং বলগেরিয়া দেশ সম্পর্কের সকল বিষয়গুলো আপনি নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন। 

বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত

এছাড়াও বর্তমান সময়ে আপনারা যদি ইউরোপীয় দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য চিন্তা করে থাকেন। তাহলে আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করব আপনারা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে যাওয়ার চিন্তা না করে আপনারা বুলগেরিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। কারণ বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়ায় বিভিন্ন কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেজন্য আপনি একটি ভালো এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন।

ইনশাল্লাহ দেখবেন আপনার ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আবার আপনি যদি মনে করে থাকেন বুলগিরিয়া থেকে অন্য কোথাও বা অন্য কোন দেশে যাবেন সে ক্ষেত্রেও আপনি সহজেই এ কাজটি করতে পারবেন। আপনি যদি এ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য রেইন ওয়েব জোনের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url