কোনটি ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর জানুন টাকা কামান

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি এ বিষয়ে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি একদম সঠিক পোস্টে ক্লিক করেছেন। কারণ-আজকের এ আর্টিকেলে কোনটি ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর এবং ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদাগুলো বেশি থাকবে সে বিষয়ে আলোচনা করব।

কোনটি ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর

আপনি যদি এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপদ সেক্টর কোনটি এবং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ও সঠিকভাবে জানতে পারবেন।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ কোনটি ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর 

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি, আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে এ বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এবং হাজার হাজার মানুষ এ পেশায় যুক্ত হচ্ছে এবং আমাদের বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কর্মসংস্থান মাধ্যমটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম।

তাই আপনি যদি বর্তমান সময়ে এসে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার চিন্তা নিয়ে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, আপনি একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেজন্য আপনাকে জানতে হবে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও  সহজ কাজ কোনটি। যদিও এ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই আপনার উপর নির্ভর করবে। 

আরোপড়ুনঃ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি

কারণ-ফ্রিল্যান্সিং যে সেক্টর থেকেই আপনি কাজ করে টাকা ইনকাম করেন চান। সে সেক্টরের সে কাজের উপর আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে আপনি কখনোই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে এক টাকাও ইনকাম করতে পারবেন না। এখন আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হওয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন। 

তাহলে প্রথমেই আপনাকে যে বিষয়টির ওপর খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো-আপনার সময়, পরিস্থিতি,ও অভিজ্ঞতা। কারণ-ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এখন আপনি যদি সেখান থেকে এমন একটি কাজ করতে চাচ্ছেন যে কাজটি করার জন্য নূন্যতম পাঁচ থেকে আট বছর সময়ের প্রয়োজন পড়বে আপনার অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য। 

কিন্তু বর্তমানে আপনার সেই সময় ও পরিস্থিতি নাও থাকতে পারে। তো এ বিষয়গুলো অবশ্যই আপনারা আগে ভালোভাবে চিন্তা করে নিবেন। এখন বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ সেক্টর টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করব। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে জনপ্রিয় সেক্টর টি হলো (ডিজিটাল মার্কেটিং)। 

ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মটি বর্তমান সময়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ যার কারণে এ প্লাটফর্ম থেকে অতি সহজেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য যে বিষয়গুলো আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে, চলুন সে বিষয়গুলো নিয়ে নিম্নে আপনাদের সাথে আলোচনা করি।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি জানুন বিস্তারিত

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে আমরা কি বুঝি এ বিষয়ে চলুন বিস্তারিত জেনে আসি। ফেস টু ফেস না হয়ে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে মার্কেটিং করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং বেসিকলি দুই প্রকার হয়ে থাকে।

  • ফ্রি মার্কেটিং
  • পেইড মার্কেটিং

এই বেসিকলি দুই প্রকার থেকে আবারও দুই প্রকার হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং।

  • অনলাইন মার্কেটিং
  • অফলাইন মার্কেটিং

ওপরের বিষয়গুলো থেকে আপনি অবশ্যই জানতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কত প্রকার ও কি কি। এখন আপনারা জানবেন ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে সে প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে।

  • গুগল
  • ফেসবুক
  • ইউটিউব
  • ইনস্টাগ্রাম
  • টুইটার
  • হোয়াটসঅ্যাপ

ডিজিটাল মার্কেটিং কেনো শিখবো জানুন বিস্তারিত

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং। আর ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে যে মার্কেটিং করা হয় সেটাই ডিজিটাল মার্কেটিং। এখন আপনারা অবশ্যই জানেন যে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইনের দিকে কিভাবে ঝুকে আসছে। 

ছোট থেকে বড় সকলে ই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে সকল কিছু সহজেই জানতে পারছে, বুঝতে পারছে, কিনতে পারছে। আর অতি মানুষ তাদের সুবিধার্থে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এ ডিজিটাল মার্কেটিংকরা বর্তমান সময়ে ব্যাপক সহজতর হয়ে উঠেছে। যেখানে শুধুমাত্র আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন বা একটি ল্যাপটপ, ডেক্সটপ।

আরোপড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা কামানোর উপায় জানুন

ব্যবহার করেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। আস্তে আস্তে যত সময় যাচ্ছে পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের মানুষই অনলাইনের সকল সুবিধাগুলো ভোগ করছে। আর যত মানুষ যতদিন ইন্টারনেটের সুবিধা ভোগ করবে ডিজিটাল মার্কেটিং তত বেশি জনপ্রিয়তা বাড়বে। আপনারা কি কখনোই ভাবেন যে পৃথিবী থেকে ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্মার্ট ডিভাইস গুলো বিলীন হয়ে যাবে। 

না এ বিষয়টি কখনোই ভাবেন না কারণ যত সময় যাচ্ছে এ বিষয়গুলো তত বেশি উন্নত হচ্ছে। আর উন্নত হওয়ার ফলে মানুষ সকল সুবিধা গুলো ভোগ করার চেষ্টা করছে কিংবা ভোগ করছে আর সে জন্যই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং আপনি যদি একবার ভালোভাবে শিখতে পারেন। 

কোনটি ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর

তাহলে যতদিন ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে ততদিন এ ডিজিটাল মার্কেটিং অবধারিত থাকবে। তাহলে এখন আপনারা বুঝতেই পারছেন ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবেন এবং এর চাহিদা কতটুকু।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় সেক্টর কোনগুলো জানুন বিস্তারিত

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে জনপ্রিয় সেক্টরটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং। আর এর জনপ্রিয় সেক্টরটির আরো বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যা সময় এবং কাজের উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আপনাদের সুবিধার্থে একটি কথা বলে রাখি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর টি সবথেকে বড় সেক্টর। 

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান সে ক্ষেত্রে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন সেক্টর গুলো থেকে যেকোনো একটি বিষয়ে ভালোভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলেই অনলাইন থেকে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো চলুন আপনাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টরগুলোর নিয়ে আলোচনা করি।

  • এসইও
  • কন্টেন মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ভিডিও মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং

এসইও কি জানুন বিস্তারিতঃ এসিও এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজকে সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষস্থানে নিয়ে আসা হয়। আর এ কাজের চাহিদা দিন দিন ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ এর মাধ্যমে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায়। আপনি যদি বর্তমান সময়ে এসইওতে এক্সপার্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো একটি আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করতে পারেন।

কন্টেন মার্কেটিংঃ এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য দ্বারা এবং প্রাসঙ্গিক কন্টেন বিবরণ করা হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যান্ডের পরিচিতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি কন্টেন মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্লক লেখা শিখতে হবে এবং সুন্দর ও স্পষ্টভাবে কথা বলার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

আরোপড়ুনঃ ভিডিও দেখে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করুন খুব সহজে

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রচার করা বা বিক্রয় করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এবং বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে বহু সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকে ফলে দ্রুত ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ এবং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায়। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়টি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ভিডিও মার্কেটিংঃ ভিডিও মার্কেটিং বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে পরিচিত লাভ করেছে। কারণ বর্তমান সময়ে প্রত্যেক মানুষই শেখার জন্য, জানার জন্য, তথ্য পাওয়ার জন্য কিংবা বিনোদনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। আর সে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে টার্গেট করেই বিভিন্ন ধরনের ভিডিও

কনটেন্ট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়ে থাকে। আর এ ধরনের কাজগুলো বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে সারা ফেলছে। আপনি যদি ভিডিও মার্কেটিং করার জন্য ভিডিও এডিটিং শিখেন তাহলে ভালো কিছু করতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিংঃ গ্রাহকদের কাছে বা জনগণের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানোর প্রক্রিয়ায় হলো ইমেইল মার্কেটিং। আর বর্তমান সময়ে ইমেইল মার্কেটিং অনেকাংশেই ব্যাপকভাবে চাহিদা সম্পন্ন। কারণ বর্তমান সময়ে সকল ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ইমেইল আবশ্যক।

আর সে জন্যই ইমেইল মার্কেটিং করাটা এখন খুব একটা ইজি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইমেইলে কন্টেন্ট লেখার দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং ইমেইল অটোমেশন বা সেগমেন্টশন শিখতে হবে।

ওপরের কাজগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন একটি কাজ নির্বাচন করে সে কাজের মাধ্যমে আপনি বর্তমান সময়ে ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সে কাজের উপরে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে আপনি যদি এক্সপার্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো আইটি প্রতিষ্ঠান হতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা গুরুত্বপূর্ণ

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনি যদি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন বা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের কিছুটা শিখেছেন তাহলে এ বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী একটি বিষয়। কারণ এ বিষয়টি যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আপনি কখনোই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। 

আরোপড়ুনঃ প্রতিদিন সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করুন

কারণ বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করার ফলে প্রচুর কম্পিটিটর বেড়ে গিয়েছে যার ফলে আপনাকে বেশি বেশি স্কেল ডেভেলপ করতে হবে। এবং এর পাশাপাশি এ বিষয়গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তো চলুন ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনার যে বিষয়গুলোর প্রয়োজন সে বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি।

ডিভাইসঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি ডিভাইসের প্রয়োজন হবে যা ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ।

ওয়েবসাইটঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। কারণ আপনি যখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বা মার্কেট প্লেসে একাউন্ট ক্রিয়েট করে কাজ করতে যাবেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটটি অধিক কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকবে।

ফেসবুকের অ্যাড ম্যানেজারের ধারণাঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফেসবুকের অ্যাড ম্যানেজার বা adds camping বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। যদি এ বিষয়গুলোর ওপর আপনার কোন প্রকার ধারণা না থাকে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন

ধরনের প্রবলেম এর মুখোমুখি পড়তে হবে। তাই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং করার আগে অবশ্যই অ্যাড ম্যানেজার, এডস ক্যাম্পিং, বিজনেস ম্যানেজার বিষয়গুলোর উপরে ভালোভাবে ধারণা থাকতে হবে।

লোকাল কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকাঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যইযে কাজটি করতে হবে সেটি হল লোকাল কাজ সম্পর্কে ধারণা রাখা বা লোকাল কাজগুলো করা। ধরুন আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ শিখে কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে যাবেন সেক্ষেত্রে আপনাদের বেশি প্রয়োজন পড়বে স্কেলের। আর আপনার যদি বেশি বেশি স্কিল না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি কোন মার্কেটপ্লেসে তেমন কোন রেজাল্ট করতে পারবেন। 

তাই আপনাদেরকে বেশি বেশি লোকাল কাজগুলো করে নিজেকে পারদর্শী করে তুলতে হবে এবং স্কিলকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। আর আপনি কিভাবে লোকাল কাজগুলো করবেন বা লোকাল কাজগুলো করে দক্ষতা অর্জন করবেন সে বিষয়ে জানার জন্য অবশ্যই আপনি গুগল কিংবা ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কোন দক্ষতা সব থেকে ভালো জানুন বিস্তারিত

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কোন দক্ষতা সব থেকে ভালো এ বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে এ বিষয়গুলো না জেনে থাকেন তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এখন আপনি কোন বিষয় ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন তা নির্ভর করে সম্পূর্ণভাবেই আপনার পছন্দ ও দক্ষতার উপরে। 

কারণ প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা পছন্দ এবং আলাদা কাজের দক্ষতা থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে যে কাজটি আপনি সবথেকে ভালো বুঝেন বা জানেন এবং যে কাজটি করতে আপনার সব থেকে ভালো লাগে সেই কাজটি আপনার জন্য শেখা উচিত। তবে কাজ শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনার বর্তমান সময়, পরিস্থিতি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। 

আরোপড়ুনঃ বিডি কাপ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় জানুন

আমি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কিছু ভালো কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করার জন্য সাজেস্ট করছি। যা বর্তমান সময়ে প্রচুর জনপ্রিয় এবং ভবিষ্যতেও এ কাজের ডিমান্ড আপনারা অনেক বেশি পাবেন।

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • এসিও
  • ভিডিও এডিটিং

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয় একটি সেক্টর। যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ রেখে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল ব্যবহার করে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যান্ডের প্রোডাক্টস প্রচার কিংবা বিক্রি করা ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে সকল কোম্পানিগুলো তাদের প্রচার-প্রচারণার জন্য সর্বপ্রথম এর ডিজিটাল মার্কেটিং কে বেছে নিচ্ছে যার ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক। আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কোন দক্ষতা ভালো হবে সে বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন আপনারা চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে কাজ করতে পারেন। এ ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ে যেমন চাহিদা সম্পন্ন ঠিক ভবিষ্যতেও এর চাহিদা আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ এ কাজটি করার জন্য আপনাকে কোডিং এবং প্রোগ্রামিং বিষয়গুলো তে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বর্তমান সময়ে অধিক জনপ্রিয় একটি কাজ। এ কাজটি মূলত কোডিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করা। আপনি যদি এ কাজটি করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে অধিক সময় এবং অধিক পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যদি এ কাজটি সম্পন্নভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ থেকেও প্রতি মাসে হ্যান্ডসাম পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এসিওঃ এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। বর্তমান সময়ে এসইও একটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি এসইও বিষয়ে এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ হবে।

ভিডিও এডিটিংঃ আপনি যদি ভিডিও এডিটিং বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলেই এখন অনলাইন সেক্টর থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ভিডিও এডিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। যেমন facebook মার্কেটিং,

 youtube মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং, এ প্লাটফর্ম গুলোতে ভিডিওর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা তৈরি করা। এবং সে জনপ্রিয়তা কে ঘিরেই বিভিন্ন কোম্পানির প্রচার-প্রচারণা এবং পণ্য ক্রয় বিক্রয় মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বা ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বিষয়গুলো যদি আপনি না জেনে থাকে বা সঠিক কোন গাইডলাইন না পান তাহলে অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে আপনার অনেক সময় অপচয় এবং কষ্টসাধ্য হবে। চলুন যে বিষয়গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে এখন আলোচনা শুরু করি-

দক্ষতা অর্জনঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার দক্ষতা। আপনার যদি কোন কাজের দক্ষতা না থাকে তাহলে আপনি কখনোই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না বা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তাই আপনাকে সবার আগে আপনার পছন্দমত বা যে কাজটি করতে আপনার ভালো লাগে সে কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন।

আরোপড়ুনঃ ছাত্র জীবনে টাকা ইনকাম করার দশটি কার্যকরী উপায় জানুন

নেটওয়ার্কিং বিষয়ে জ্ঞানঃ অনলাইন জগতে নেটওয়ার্কিং বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনার ফ্রিল্যান্সিং কোন সেক্টরের ওপর অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার পরিচিতি করানোর জন্য নেটওয়ার্কিং বিষয়ে ভালোভাবে এক্সপার্ট হতে হবে। যাতে আপনার পরিচিতি খুব সহজেই অন্য মানুষ জানতে পারে এবং বুঝতে পারে। সেজন্য আপনাকে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে এবং সে একাউন্টে অ্যাক্টিভ থাকতে হবে। সেজন্য আপনার নেটওয়ার্কিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।

প্রচার প্রচারণার মাধ্যমঃ আপনার কাজের দক্ষতা প্রচার-প্রচারণা করার মাধ্যমে মানুষকে বেশি বেশি জানাতে হবে। যাতে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি জায়গায় আপনার প্রচার হয়।

নির্দিষ্ট সময়ঃ ফ্রিল্যান্সার হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে যে বিষয়টির উপর নজর রাখতে হবে সেটি হল সময়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার সময় বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যে পায়ের গুলোর সাথে আপনার কানেকশন তৈরি হবে। সে বায়ার আপনাকে নির্দিষ্ট একটি সময় দিয়ে থাকবে এবং একাধিক বায়ারের সাথে কাজ করতে আপনাকে সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে এবং সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় বুঝিয়ে দিতে হবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সময় আপনার সাথে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সব সময় যোগাযোগ রাখতে হবে। যাতে আপনার কাজের আপডেট তাকে জানাতে পারেন। আপনি যদি আপনার বায়ারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রেখে সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেন তাহলে পরবর্তী কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আপনার সব সময় বেশি থাকবে।

ওপরের বিষয়গুলো ছাড়াও আপনার আরো কিছু পার্সোনাল বিষয় জানা প্রয়োজন যেমন-আপনি যে কাজগুলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে ক্লায়েন্টের মাধ্যমে পাবেন সে কাজগুলো নিজেকেই করার চেষ্টা করা। আপনাকে অবশ্যই নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমই হতে হবে কারণ পরিশ্রম ছাড়া কখনোই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আমি শিওর ভাবে বলতে পারি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি এবং  ভবিষ্যৎএ কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে এ বিষয়গুলো আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। ফ্রিল্যান্সিং এখন বর্তমান বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় একটি ইনকাম সোর্স হিসেবে দাঁড়িয়েছে। 

কোনটি ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর

তাই আপনিও আপনার বেকারত্ব জীবনকে দূর করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন। আশা করছি আপনি এ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পেরেছেন আরো এরকম গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য অবশ্যই রেইন ওয়েব জোন এর সাথেই থাকবেন।। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url