পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কত টাকা বেতন

পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কত টাকা বেতন আপনি কি এ বিষয়ে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক পোস্টে ক্লিক করেছেন। কেননা-আজ এ পোস্টে পোল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের জন্য কত টাকা বেতন পাওয়া যায় এবং পোল্যান্ডের বর্তমান অবস্থার আপডেট সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। 

পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কত টাকা বেতন

আপনি যদি এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি। পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদাগুলো বেশি থাকে ও কোন কাজের জন্য কত টাকা বেতন পাবেন এবং পোল্যান্ড সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনি পেয়ে যাবেন।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কত টাকা বেতন

পোল্যান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি

পোল্যান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়ে জানা খুবই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ,যদি আপনি ইতিমধ্যে নতুন হিসেবে পোল্যান্ডে আসেন এবং বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ডে আসার জন্য চিন্তা করছেন তাদের জন্য। কারণ-আপনি যে দেশেই যেতে চান না কোনো, যদি আপনার সে দেশের ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা গুলো বেশি থাকে। 

এ বিষয়ে আপনার ধারণা না থাকে। তাহলে আপনি সে দেশে গিয়ে তেমন ভালো কিছু কাজ করতে পারবেন না। তাই এ পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব বর্তমান সময়ে পোল্যান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা গুলো বেশি রয়েছে। আর এ কাজগুলোর মধ্যে আপনি যদি যেকোনো একটি কাজের ওপর ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপর পোল্যান্ডে আসেন। 

আরোপড়ুনঃ কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা সবসময় বেশি থাকে জানুন বিস্তারিত

তাহলে আপনি পোল্যান্ড থেকে প্রতি মাসে এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপরেও ইনকাম করতে পারবেন। তো চলুন পোলান্ডে বর্তমান সময়ে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে সে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি। বর্তমানে পোল্যান্ডে স্কিল ওয়ার্কার এবং ননস্কিল ওয়ার্কার এ দু বিষয়েই ব্যাপক কাজের চাহিদা রয়েছে। 

আপনারা হয়তো নিশ্চয়ই জানেন ইউরোপ মহাদেশ গুলোর মধ্যে আপনি যদি ওয়ার্কার ভিসায় আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার যেকোনো কাজের উপরে ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর ইউরোপ মহাদেশ গুলোর মধ্যে পোল্যান্ড এমন একটি কান্টি যেখানে আপনি যদি স্কেল ওয়ার্কার হিসেবে আসতে পারেন তাহলে আপনার মূল্যায়নটা সব থেকে বেশি করবে। 

এখন আপনার যদি কোন কাজের উপর দক্ষতা নাও থাকে সে ক্ষেত্রেও পোলান্ড আপনাকে ওয়ার্কার ভিসায় গ্রহণ করবে এবং আপনাকে কোম্পানি থেকেই কাজের উপর এক্সপার্ট হিসেবে তৈরি করে নিবে। এখন বর্তমানে পোল্যান্ডে স্কিল ওয়ার্কার এবং নন স্কিল ওয়ার্কারদের জন্য যে কাজগুলোর চাহিদা রয়েছে চলুন সে কাজগুলো কি তা জেনে নেই-

  • ওয়েল্ডার ওয়ার্কার
  • কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার
  • কাবাবসপ ওয়ার্কার
  • ফুড প্যাকেজিং ওয়ার্কার
  • ফুড ডেলিভারি বয়
  • ড্রাইভিং ওয়ার্কার
  • সুপার শপ ওয়ার্কার

উপরের উল্লেখিত কাজগুলো বর্তমানে পোলান্ডে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর এ কাজগুলোর ওপরে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপর পোলান্ডে যান তাহলে প্রথম মাস থেকেই আপনি ভাল পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি এ কাজগুলোর উপরে আপনার কোন অভিজ্ঞতা না থেকে থাকে। সেক্ষেত্রেও আপনি যে কোম্পানিতে যাবেন সে কোম্পানি থেকেই আপনাকে কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিবে।

পোল্যান্ডে কোন কাজের কত টাকা বেতন জানুন

পোল্যান্ডে কোন কাজের কত টাকা বেতন এ বিষয়টি সম্পূর্ণ ডিপেন্ড করে আপনার কন্টাক্ট এর ওপরে। যেমন-আপনি আপনার এজেন্টের মাধ্যমে কত ঘন্টার কন্টাক্ট বা আপনি সরাসরি কোন কোম্পানির সাথে কন্টাক্ট করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাই পোলান্ডে আসলেন। এছাড়াও গভমেন্ট অনুসারে আপনার যদি কোন কাজের ওপর এক্সপেরিয়েন্স না থাকে সেক্ষেত্রেও আপনাকে বেতন দেওয়া হবে ঘন্টা তে ১২ জূলতি। 

পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কত টাকা বেতন

এখন আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে সাথে আপনার বেতন হয়ে যাবে ঘন্টায় ১২ থেকে ১৫ জূলতি বা আরো বেশি এটা পুরোটাই ডিপেন্ড করে থাকে আপনার কোম্পানির ওপরে আর আপনার ভাষা শেখার উপরে। আপনি যত তাড়াতাড়ি ভাষা শিখতে পারবেন। যেমন-আপনি যদি ভালো ইংরেজি বলতে পারেন বা ভালো হিন্দি বলতে পারেন এবং পলিশ ভাষা ভালো বলতে পারেন তত আপনার চাহিদা।

এবং কাজের উপর অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং আপনার স্যালারি তত বেশি বাড়বে।এখানে আপনাকে বলে রাখা ভালো যে পোল্যান্ডের কারেন্সি নেম বা টাকার নাম হলো জূলতি। তো চলুন এখন আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি পোল্যান্ডে কোন কাজের জন্য সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ কত টাকা বেতন দেওয়া হয়।

নন স্কিল ওয়ার্কার ঘন্টা প্রতি বেতন স্কিল ওয়ার্কার ঘন্টা প্রতি বেতনন
ওয়েল্ডার ওয়ার্কার ১১-১৫ জূলতি ওয়েল্ডার ওয়ার্কার ১৫-২৫ জূলতি
কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার ১১-১৫ জূলতি কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার ১৫-২০ জূলতি
কাবাবসপ ওয়ার্কার ১১-১৫ জূলতি কাবাবসপ ওয়ার্কার ১৫-২০ জূলতি
ফুড প্যাকেজিং ওয়ার্কার ১১-১৫ জূলতি ফুড প্যাকেজিং ওয়ার্কার ১৫-২০ জূলতি
ফুড ডেলিভারি বয় ১১-১৫ জূলতি ফুড ডেলিভারি বয় ১৫-২০ জূলতি
ড্রাইভিং ওয়ার্কার ১১-১৫ জূলতি ড্রাইভিং ওয়ার্কার ১৫-২০ জূলতি
সুপার শপ ওয়ার্কার ১১-১৫ জূলতি সুপার শপ ওয়ার্কার ১৫-২০ জূলতি

ওপরের টেবিল থেকে আপনারা কাজ ভেদে যে বেতনের কথা জানতে পেরেছেন সে বেতনগুলো পোল্যান্ডের কোম্পানি আপনাকে প্রথম মাস থেকে ষষ্ঠ মাস পর্যন্ত দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে আপনার এক্সপেরিয়েন্স এর উপর নির্ভর করে আপনার বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয়।

পোল্যান্ডের এক টাকা সমান বাংলাদেশি কত টাকা

পোল্যান্ডের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা এ বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্ব যদি আপনি পোল্যান্ডে আসার কথা চিন্তা করে থাকেন। কেননা এ বিষয়টি যদি আপনি নিজে থেকেই ভালোভাবে জানতে পারেন তাহলে আপনি ঘন্টায় কত টাকা ইনকাম করবেন। এবং সেখান থেকে আপনার নিজস্ব কত টাকা খরচ করলেও বাকি কত টাকা জমাতে পারবেন। 

আরোপড়ুনঃ ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা  সহজে পাবেন ২০২৪ সালে

এ বিষয়গুলো ভালোভাবে আপনি বুঝতে পারবেন। তো চলুন পোল্যান্ডের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করি। তার আগে আপনাদেরকে একটি কথা বলে রাখি, পোলান্ড ইউরোপ কান্ট্রি হওয়া সত্ত্বেও এদেশে ইউরো খুব কম প্রচলিত বা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পোল্যান্ডের কিছু কিছু জায়গায় ইউরো ব্যবহৃত হয়। 

তাছাড়া সকল ক্ষেত্রেই পোল্যান্ডের নিজস্ব জুলুতিই ব্যবহার হয়। পোল্যান্ডের এক জূলতি সমান বাংলাদেশি প্রায় ২৮ টাকা হয়ে থাকে। এবার নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পারবেন পোলান্ডে এক ঘন্টা কাজের জন্য কত টাকা বেতন দিয়ে থাকে।

পোল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কত টাকা খরচ হয়

পোল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন এজেন্সি হওয়াই সাধারণ জনগণের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি অর্থ প্রদান করতে হয়। পোল্যান্ডে ওয়ার্কার ভিসায় আসার জন্য আপনাকে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয় তার জন্য আপনার এজেন্সি এবং আপনি পোল্যান্ডের। 

যে কোম্পানিতে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন সে কোম্পানির উপর নির্ভর করবে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি পোলান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।এছাড়াও আপনার ভিসার খরচ, ভিসার মেয়াদ, ফ্লাইটের ধরন এবং অন্যান্য খরচ বিবেচনা করে কমবেশি হয়ে থাকে। 

পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসায় কোম্পানির সুযোগ সুবিধা

পোল্যান্ডে ওয়ার্কার ভিসা কোম্পানির সুবিধা কেমন দিয়ে থাকে এ বিষয়টি জানা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যারা পোলান্ডে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারণ-পোল্যান্ডের কোম্পানিগুলো তাদের ভিন্ন ভিন্ন রুলসে পরিচালিত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে পোল্যান্ডে কিছু কিছু কোম্পানি তারা কর্মীর সকল কিছুই নিজে বহন করে থাকে আবার কিছু কিছু কোম্পানি তারা শুধুমাত্র থাকার ব্যবস্থা করে দেয় কিন্তু খাওয়াটা নিজেকেই করতে হয়। 

আর সেজন্যই আপনারা যে এজেন্সির মাধ্যমে পোল্যান্ডে আসবেন তাদের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে আপনার জন্য কোম্পানির সুযোগ সুবিধা গুলো কেমন দিবে। নিশ্চয়ই আপনারা এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন, তো এখন আপনাদের সুবিধার্থে যে কোম্পানিগুলো যে সুযোগ-সুবিধা গুলো দেয় নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-

  • থাকার ব্যবস্থা
  • খাওয়ার ব্যবস্থা
  • বিভিন্ন ট্যাক্স প্রে
  • সাপ্তাহিক কর্মবিরতি
  • অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ

পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসায় যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন

পোল্যান্ডে ওয়ার্কার ভিসা যাওয়ার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন সে বিষয়ে জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন পোল্যান্ডে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি। যাতে আপনিও পোল্যান্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রতারণার শিকার না হন।

  • আপনার নিজের একটি পাসপোর্ট
  • পাসপোর্টের সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদ
  • পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি
  • আপনার জীবন বৃত্তান্ত
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারলেন্স সার্টিফিকেট
  • এডুকেশন সার্টিফিকেট
  • পোলান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

বাংলাদেশ থেকে পোলান্ড যাওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে পোলান্ড যাওয়ার জন্য আপনাকে দুটি উপায় অবলম্বন করতে হবে। তারমধ্যে প্রথমটি হল বাংলাদেশে যে বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে তাদের মাধ্যমে আর দ্বিতীয়টি হল আপনি নিজেই বাংলাদেশ থেকে পোলান্ডে যাওয়ার সকল কার্যক্রম করা। তো চলুন এ বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ডে কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সকল কার্যক্রম গুলো এজেন্সি করে থাকবে। 

আরোপড়ুনঃ বুলগেরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন কত

কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন বাংলাদেশে কোন প্রকার পোলান ভিসার এম্বাসি নাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইন্ডিয়াতে গিয়ে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যদি কোন এজেন্সি আপনাকে বলে থাকে আপনার কোন প্রকার কোথাও না গিয়ে পোল্যান্ড ভিসা প্রদান করে থাকবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সে এজেন্সি থেকে দূরে থাকবেন। 

আর আপনি যদি নিজেই পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট এবং স্টুডেন্ট ভিসাই পোল্যান্ডে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে poland ministry of affairs ওয়েবসাইট থেকে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশে পোল্যান্ডের কোনপ্রকার এম্বাসি না থাকায় পোল্যান্ড এম্বাসি নিউ দিল্লি থেকে আবেদন করতে হবে। আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।

 আপনার আবেদনটি সম্পন্ন হলে পোল্যান্ড এম্বাসি দিল্লির একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। এরপর আপনাকে পোল্যান্ড এম্বাসি দিল্লিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি, বায়োমেট্রিক ফি এবং আবেদন ফরম টি জমা দিতে হবে। এভাবে আপনি নিজেই আপনার ইউরোপ যাওয়ার ইচ্ছাটিকে পূরণ করতে পারবেন।

পোল্যান্ড দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

পোলান্ড হচ্ছে ইউরোপ মহাদেশের একটি উন্নত রাষ্ট্র। পোল্যান্ড ২০০৪ সালের পহেলা মে থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ভুক্ত দেশ। পোল্যান্ডের সরকারি নাম হচ্ছে পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র, আর আন্দ্রেজ দজা। পোল্যান্ডের সরকারি ভাষা হচ্ছে পলিশ ভাষা এবং  পোল্যান্ডের রাজধানীর নাম ওয়ার্সসো। 

পোল্যান্ডের পশ্চিমে জার্মানি, দক্ষিনে তে চেক প্রজাতন্ত্র, পূর্বে ইউকেন ও বেলারুশ।এবং উত্তর পাশে বাল্কীত সাগর ও লিথুনিয়া অবস্থিত। পোল্যান্ডে ধর্মের দিক থেকে এখানে বেশিরভাগ মানুষই হচ্ছে খ্রিস্টান। আর পোল্যান্ডে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ সংখ্যা হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজারের মতো। 

ইউরোপ মহাদেশের পলান্ড কান্ট্রির মুদ্রার নাম হচ্ছে জূলতি। পোলান্ড প্রকৃতির দিক দিয়ে অসাধারণ সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা এবং পোল্যান্ড দেশের মোট জনসংখ্যা হলো ৩ কোটি ৮২ লক্ষ্য ৭ হাজার চারশত।

পোল্যান্ডের জলবায়ু সম্পর্কেঃ পোল্যান্ড শহরটি হচ্ছে শীত প্রধান দেশ। পোল্যান্ড একটি মাঝারি জলবায়ু অঞ্চল অবস্থিত এবং চারটি স্বতন্ত্র ঋতু তারা আবদ্ধ। এদেশে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর হচ্ছে শরৎকাল ,ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতকাল, মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বসন্ত এবং জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল। তাহলে এবার আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এখানে গরম কাল খুবই অল্প সময়ের জন্য।

পোল্যান্ড ভিসাঃ আপনি ওয়ার্কার ভিসা ছাড়াও এদেশে স্টুডেন্ট ভিসা এবং ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে পোল্যান্ডে আসতে পারবেন। আপনি যদি ওয়ার্কার ভিসায় পোল্যান্ডে আসতে চান তাহলে আপনি এদেশ থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং যারা স্টুডেন্ট তাদের জন্য এদেশে ব্যাপক কাজের চাহিদা রয়েছে। আর যারা ভ্রমণ করার জন্য ইউরোপ মহাদেশের পোল্যান্ড কান্ট্রিতে আসবেন তারা বিশেষ করে প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারবেন।

পোলান্ড ওয়ার্কার ভিসা ও বেতন সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

আজকের এ পোস্টে পোল্যান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের জন্য কত টাকা বেতন পাবেন, পোলান্ডে আসার জন্য কত টাকা খরচ করতে হবে এবং পলান্ড ভিসা সম্পর্কিত সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনি যদি এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। 

পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কত টাকা বেতন

তাহলে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি পোল্যান্ড সম্পর্কীয় সকল তথ্যগুলো আপনি সঠিক ভাবে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি এ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য রেইন ওয়েব জোনের সাথেই থাকবেন। এছাড়াও পোল্যান্ড সম্পর্কীয় আরো কোন তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামতটি জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url