ইউরোপের যে দেশ গুলোর ভিসা সহজে পাবেন ২০২৪ সালে জেনে নিন
ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাবেন ২০২৪ সালে আপনি কি সে বিষয়ে জানতে চান? তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই ইম্পোর্টেন্ট। কেনো না আজ এ আর্টিকেলে আলোচনা করব ২০২৪ সালে ইউরোপের কোন দেশগুলোতে সব থেকে বেশি ভিসা দিবে, সময় কেমন লাগবে এবং সেলারি কেমন দিবে।
আপনি যদি ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে এ আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কারণ আর্টিকেলটি আপনার সম্পূর্ণ পড়া হয়ে গেলে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি আপনার ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন প্রবলেম বা জানার কিছু থাকবে না।
সূচিপত্রঃ ইউরোপের যে দেশ গুলোর ভিসা সহজে পাবেন ২০২৪ সালে জানতে ক্লিক করুন
- ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাবেন ২০২৪ সালে
- ইউরোপের কোন দেশের বেতন সবচেয়ে বেশি জানুন বিস্তারিত
- ইউরোপে কোন কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি
- সরকারি ভিসায় বিদেশ যাওয়ার উপায় জেনে নিন
- বিদেশে যাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো জানা দরকার
- বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
- লেখক এর মন্তব্যঃ ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাবেন ২০২৪ সালে
ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাবেন ২০২৪ সালে
ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাবেন এবং সে দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য আপনার কেমন খরচ হবে, সময় কেমন লাগবে এবং মাসে কত টাকা স্যালারি পাবে এ বিষয়গুলো নিয়ে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তো চলুন আলোচনা শুরু করি। ইউরোপের সেনজেন এবং ননসেনজেন কান্টের মধ্যে অনেকগুলো দেশের কথায় আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যে দেশগুলো বর্তমান সময়ে প্রচুর ভিসা প্রদান করছে।
- আলবেনিয়া
- কসোভো
- সার্ভিয়া
- মলদোবা
- মন্টি নিগ্র
- রোমানিয়া
- নর্থ মেসিডোনিয়া
- বুুলগেরিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- গ্রীস
- ইতালি
- হাঙ্গেরি
- লিথুুনিয়া
ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা আপনি খুব সহজে পাবেন সে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করলাম। এখন আপনারা সে দেশগুলোতে কিভাবে যাবেন? ভিসা আসতে কতদিন সময় লাগবে এবং সে দেশে গিয়ে আপনারা মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহ সে দেশগুলো সম্পর্কে সকল বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরোপড়ুনঃ হরতকি ফল খাওয়ার উপকারীতা ও অপকারীতা জানুন
ইতালিঃ পশ্চিম ইউরোপের প্রাচীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত দেশটি হল ইতালি। ইতালির রাজধানীর নাম রোম। ইতালি ইউরোপের মধ্যে বৃহৎ অর্থনীতির একটি দেশ ইতালি খুবই উন্নত ও ধনী দেশ। ইতালির উত্তর সীমান্তে আপস পর্বতমালা সংলগ্ন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া অবস্থিত। ইতালিতে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ বৈধতা পেয়ে থাকে।
যার ফলে ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রতিটা মানুষই প্রচুর আগ্রহী। ইতালিতে যাওয়ার জন্য আপনার মিনিমাম ছয় থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর ইতালি যেতে আপনার খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ্য টাকার মত। ইতালি থেকে আপনি প্রতি মাসে সর্বনিম্ন দেড় লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আলবেনিয়াঃ আল্বেনিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান অপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র, এটি ননসেজেন একটি দেশ। এর রাজধানী ও বৃহত্তম নগরীর নাম তিরানা। এক সময় আলবেনিয়া বিশ্বের এক নম্বর সরকারিভাবে নাস্তিক দেশ ছিল। বর্তমানে এখানে আবার মসজিদ ও গির্জা তৈরি করা হয়েছে। আলবেরিয়া যেতে বর্তমানে ৩ থেকে ৪ চার মাস সময় লাগে। আলবেনিয়াতে ইনকাম খুবই কম, আপনি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে।
আর এর থেকেও বেশি ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনি স্কেল ওয়ার্কার হতে পারেন। ইউরোপের আলবেনিয়া দেশটিতে যেতে হলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার মত। এজেন্সি ভেদে আপনার টাকার পরিমান বৃদ্ধি পেতে পারে। আলবেনিয়া দেশটির সবথেকে মজার বিষয়টি হলো আলবেনিয়া থেকে আপনি খুব সহজেই ইতালিতে যেতে পারবেন।
কসোভোঃ কসোভো হলো ইউরোপের ননসেনজেন একটি দেশ। যা পূর্বে সার্ভেয়ার একটি প্রদেশ ছিল। দেশটির সবথেকে বড় শহর ও রাজধানীর নাম হলো পৃষ্টিনা। কসোভো মোটামুটি ইউরোপের একটি গরিব দেশ বলা যায়। এদেশে আপনি ওয়াড পারমিটে যেতে চাইলে বর্তমানে সময় লাগবে মিনিমাম ৪ থেকে ৫ মাস।
এ দেশটিতে যেতে আপনাদের খরচ পড়বে আনুমানিক ৬.৫ থেকে ৭.৫ লাখ টাকার মত আবার এর থেকে বেশিও হতে পারে কমও হতে পারে। আপনি কসোভো শহর থেকে প্রতিমাসে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে পারবেন।
সার্ভিয়াঃ সার্ভিয়া হল মধ্য ও দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপীয়ের ননসেন্সজোন একটি দেশ। দেশটির উত্তরে হাঙ্গেরি, উত্তর পূর্বে রোমানিয়া, দক্ষিণ পূর্বে বুলগেরিয়া, দক্ষিনে উত্তর মেসিডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া পশ্চিমে মন্টিনিগ্র অবস্থিত। সার্ভিয়া দেশটির সবথেকে বড় শহরটির নাম হল বেলগ্রেট। সার্ভিয়া ইউরোপের ননসেনজেনের মধ্যে মোটামুটি একটি ভালো পর্যায়ে আছে তবে অতটাও উন্নত না।
বর্তমানে সার্ভিয়া যেতে সময় লাগছে মিনিমাম ৬ মাস। সার্বিয়া দেশটিতে আপনারা যেতে পারলে আপনাদের ইনকাম ভালোই হবে। সার্বিয়াতে আপনি ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। বর্তমানে সার্ভিয়া যেতে আপনার খরচ হতে পারে ৮ লক্ষ্য টাকার ওপরে।
মলদোবাঃ মালদোবা হল ইউরোপের একটি ননসেনজেন কান্ট্রি। মলদবা রোমানিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যবর্তী একটি দেশ। মলদবা শহরের রাজধানীর নাম কৃষিনাউ। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে মলদবা শহরের ভিসা খুব সহজেই হচ্ছে। মালদোবাই ই ভিসা হয়াই সময় খুব কম লাগে এবং ভিসার রেসিও খুব ভালো। মলদোবার ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে টোটাল সময় লাগবে ২.৫ থেকে ৩ মাস।
মলদোবা শহর থেকে আপনি প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি স্কিলড ওয়ার্কার হোন তাহলে স্যালারি এর থেকেও আরো অনেক বেশি পাবেন। মলদবা শহরে যেতে আপনার মোট ৬.৫ থেকে ৭.৫ লক্ষ্য টাকার মতো খরচ হতে পারে তবে এটা নির্ভর করবে এজেন্সির উপরে।
মন্টিনিগ্রঃ মন্টিনিগ্রো ইউরোপের একটি ননসেনজেন কান্ট্রি। মন্টি নিগ্রো সার্ভেয়ার একটি অংশ ছিল পরবর্তীতে এটি স্বাধীন হয়। আপনার মন্টিনিগ্রোর যেতে সময় লাগতে পারে ৩ থেকে ৪ মাস। ইউরোপের মধ্যে মন্টি নিগ্রো খুব একটা ভালো উন্নত দেশ নয়। মন্টিনিগ্রো যেতে আপনার ৭ থেকে ৮ লক্ষ্য টাকার মতো খরচ হতে পারে। মন্টি নিগ্রো শহর থেকে আপনি ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন না।
রোমানিয়াঃ রোমানিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয় একটি দেশ এর রাজধানীর নাম বুখারেস। বর্তমান সময়ে রোমানিয়ার ভিসা পেতে অনেক কষ্টসাধ্য হয়েছে, বর্তমানে রোমানিয়ার ভিসার রেশিও ৫০ থেকে ৬০% । সকল ডকুমেন্ট সঠিক থাকার পরেও এবং ভালো ইন্টারভিউ দিয়েও অনেকে রোমানিয়ার ভিসা পাচ্ছে না। আপনি যদি রোমানিয়া যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মিনিমাম ১ বছর সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।
আপনার যদি ধৈর্য থাকে এবং হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে তাহলে আপনি রোমানিয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারেন। রোমানে আয় যেতে হলে আপনাকে ১০ লক্ষ্য টাকার মতো খরচ করতে হবে আর রোমানিয়া থেকে আপনি প্রতিমাসে ৭০ থেকে আরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
নর্থমেসিডোনিয়াঃনর্থমেসিডোনিয়া দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের নন সেনজেন একটি দেশ। দেশটির রাজধানীর নাম স্কোপিএ।নর্থ মেসিডোনিয়ার বর্তমান ভিসার রেশিও খুবই ভালো যা ৭০ থেকে ৮০% ভিসা দেওয়া হচ্ছে। আপনাদের নর্থ মেসিডোনিয়ায় যেতে সময় লাগবে মিনিমাম ৩ থেকে ৪ মাস।নর্থ মেসিডোনিয়ায় আপনি ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি যদি স্কেল ওয়ার্কার হয়ে থাকেন তাহলে এর থেকেও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। নর্থ মেসিডোনিয়াতে যাওয়ার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ্য টাকার মত।
বুুলগেরিয়াঃ বুুলগেরিয়া দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ। এর রাজধানীর নাম সোফিয়া। সম্পতি বুুলগেরিয়া ইউরোপের সেনজেনের আওতাভুক্ত হয়েছে। ইউরোপ মহাদেশে কাজের ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো দেশটি হলো বুলগেরিয়া। বুলগেরিয়ার প্রচুর ভিসা বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে। বুলগেরিয়ায় আপনি ওয়ার্ড পারমিটে যেতে চাইলে সর্বনিম্ন ৬ মাস সময় লাগবে তবে এর থেকেও বেশি সময় লাগতে পারে।
বুলগেরিয়ায় যাওয়ার জন্য আপনার খরচ হবে প্রায় ৮.৫ লাখ টাকার উপরে এবং বুলগেরিয়ায় যাওয়ার জন্য আপনাকে ইন্ডিয়ায় গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। এ শহর থেকে আপনি প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন ৬০ হাজার টাকার ওপরে।
ক্রোয়েশিয়াঃক্রোয়েশিয়া হল ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ। এর রাজধানীর নাম জাগ্রেব এবং ক্রোয়েশিয়া সেনজেনের আওতাভুক্ত। বর্তমানে ইউরোপের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া হল সবার পছন্দের একটি দেশ। ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার ভিসা প্রসেসিংয়ের সর্বনিম্ন সময় লাগবে মিনিমাম ১ বছর। ক্রোয়েশিয়া থেকে আপনি প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রায় ৮০০ ইউরোর বেশি।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়ার্কার ভিসাতে ক্রোয়েশিয়ায় যান তাহলে আপনি প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার ওপরে ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে ক্রোয়েশিয়ার ভিসা পাওয়ার জন্য বা প্রসেসিং এর জন্য ইন্ডিয়াতে যেতে হবে এবং ক্রোয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ১০ থেকে ১১ লক্ষ্য টাকার মত। তবে বিভিন্ন এজেন্সির ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
গ্রীসঃ গ্রীস ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্বের একটি দেশ এবং ইউরোপের সিনজেন ভুক্ত একটি দেশ। গ্রিসের রাজধানীর নাম অ্যাথাস। বর্তমান সময়ে গ্রিসে এগ্রিকালচারাল ভিসায় প্রচুর লোক নিচ্ছে তাই আপনি যদি ইউরোপের এ দেশটিতে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে মিনিমাম ১২ লক্ষ্য টাকা। এবং ইউরোপের এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য আপনাকে মিনিমাম পাঁচ মাস সময় দিতে হবে। প্রতিমাসে আপনি ইউরোপের এ দেশটি থেকে মিনিমাম ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরোপড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধিতে চিকন হওয়ার ১০০% কার্যকরী উপায়
হাঙ্গেরিঃ হাঙ্গেরি হল মধ্য ইউরোপীয় একটি দেশ। এর রাজধানীর নাম বুদাপেস্ট। হাঙ্গেরি ইউরোপের সেনজেনের আওতাভুক্ত একটি দেশ। বর্তমান সময়ে হাঙ্গেরি প্রচুর ভিসা দিচ্ছে এবং এদেশে যেতে আপনার সর্বোচ্চ সময় লাগবে পারে ৬ মাস। বর্তমানে হাঙ্গেরি যেতে আপনার খরচ পড়বে মিনিমাম ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত।
আর আপনি হাঙ্গেরিতে ইনকাম করতে পারবেন সর্বনিম্ন ৮০ হাজার টাকার মত। আপনি যদি হাঙ্গেরি যেতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে হাঙ্গেরি ভিসার জন্য ইন্ডিয়াতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না কারণ বাংলাদেশেই অনেক এম্বাসি রয়েছে।
লিথুুনিয়াঃ লিথুুনিয়া উত্তর ইউরোপীয় সেনজেন একটি রাষ্ট্র। এ দেশের রাজধানীর নাম ভিলনিয়াস। বর্তমান সময়ে লিথুুনিয়ার অনেক ভিসা হচ্ছে তাই আপনি চাইলে ২০২৪ সালে লিথুনিয়া যাওয়ার আবেদন করতে পারেন। লিথুনিয়া যেতে আপনার সময় লাগবে সর্বনিম্ন ৬ মাস। এবং আপনি লিথুনিয়া থেকে প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো।
বর্তমান সময়ে লিথুনিয়া যেতে আপনার ১১ থেকে ১২ লক্ষ্য টাকার মতো খরচ হতে পারে। লিথুনিয়ায় যেতে আপনাকে অবশ্যই ইন্ডিয়া থেকে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।
ইউরোপের কোন দেশের বেতন সবচেয়ে বেশি জানুন বিস্তারিত
ইউরোপের কোন দেশের বেতন সবচেয়ে বেশি আপনি কি জানতে চান? তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকেরে আর্টিকেলে ইউরোপের উন্নত কিছু দেশের বেতন সম্পর্কে আলোচনা করব। সেজন্য এ পোস্টটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সুইজারল্যান্ডঃ সুইজারল্যান্ড একটি অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত দেশ। সুইজারল্যান্ডে একজন প্রবাসীর বার্ষিক গড় বেতন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার বা ২৭৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশে মোট দায় দেড় কোটি টাকার মত যার প্রতি মাসে ১২ লাখ টাকা উপরে ইনকাম। তবে বেতনের পরিমাণ বিভিন্ন কারণে পরবর্তীতে শুরু হতে পারে যেমন কর্মক্ষমতা, শিক্ষাগত স্তর, কর্মস্থলের ধরন অনুযায়ী। তাছাড়া আপনি নিশ্চিত বেতন তথ্য জানার জন্য সুইজারল্যান্ড এর সম্পর্কিত সরকারি ওয়েবসাইট গুলো দেখতে পারেন।
আরোপড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি হয় জানুন বিস্তারীত
জার্মানিঃ জার্মানি একটি উন্নত অর্থনৈতিক দেশ এবং বেতনের পরিমাণ প্রায় সাধারণত উচ্চ হয়ে থাকে। তবে বেতনের সংখ্যাগুলি প্রায় ক্ষেত্রের বা পেশার ওপর নির্ভর করে। জার্মানির অফিসিয়াল প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে-
- সফটওয়্যার ডেভলপার এর বেতন প্রায় ৬০ হাজার ইউরো প্রতিবছর
- ব্যাংক কর্মের বেতন প্রায় ৫০ হাজার ইউরো প্রতিবছর
- ইঞ্জিনিয়ারের গড় বেতন ৫৫ হাজার ইউরো প্রতিবছর
- একজন প্রবাসীর বেতন ৯৭ হাজার ৬৯৩ মার্কিন ডলার
এ তথ্যগুলি প্রায় সংশ্লিষ্ট কারণে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
ইতালিঃ ইতালের বেতনের পরিমাণ পেশাদার ব্যক্তিদের উপর নির্ভর করে থাকে এটি বিভিন্ন কারণে পরবর্তী সিন হতে পারে।
- মেডিকেল ডাক্তার ৬০ থেকে ৯০ হাজার ইউরো প্রতিবছর
- ব্যাংক কর্মকর্তা ৩০ থেকে ৫০ হাজার ইউরো প্রতিবছর
- ইঞ্জিনিয়ার ৩৫ থেকে ৫০ হাজার ইউরোপতি বছর
- একজন প্রবাসী ১৮ থেকে ২৮ হাজার ইউরো প্রতিবছর
সুইডেনঃসুইডেনে একজন প্রবাসীর বার্ষিক গড় ইনকাম ৮৪৮০২ ডলার।
ইউরোপে কোন কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি
ইউরোপের কোন কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি জানতে চান? তাহলে এ পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ পড়ুন। ইউরোপে চাহিদার সব থেকে বেশি কাজের একটি ক্ষেত্র হলো প্রযুক্তি এবং আইসিটি সেবা সরবরাহ সেক্টর। প্রযুক্তি সেক্টরে অগ্রগতি এবং নতুন উদ্ভাবনের চাহিদা সবসময় বেশি থাকে। এবং সাম্প্রতিক বছরে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে আইসিটি বা তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে। তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন-
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- ফাইবার সিকিউরিটি
- ডাটা এনালাইটিস
- মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
- হার্ডওয়ার ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স
- মেশিন লার্নিং
ওপরের উল্লেখিত যেকোনো একটি বিষয়ে আপনি যদি নিজেকে পারদর্শী এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি সে স্কেলের মাধ্যমে ইউরোপের দেশগুলোতে গিয়ে খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন।
সরকারি ভিসায় বিদেশ যাওয়ার উপায় জেনে নিন
সরকারি ভিসায় বিদেশ যাওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে এ পোস্টটি পড়তে থাকুন। কারণ এ পোস্টে কিভাবে সরকারি ভিসায় বিদেশ যাওয়া যায় এবং সরকারি ভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যাবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে আপনারা যে কোন দেশে যাওয়ার খুব আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আর সরকারি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারলে সেটা তো আরো ভালো মাধ্যম হবে আপনার জন্য।
আপনার প্রয়োজনীয় আরো পোষ্টের তালিকা পড়ুন
- প্রতিদিন ১০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায়
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি জানুন
- জীবনে সফল হওয়ার ১৫ টি উপায় জানুন
- ছাত্রজীবনে টাকা ইনকাম করার ১০টি কার্যকারী উপায় জানুন
- অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার উপায় জানুন
- গর্ভাবস্থায় শরীর দুর্বল হলে আপনার করনীয় কি জানুন
- ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কেমন ল্যাপটপ প্রয়োজন
তাই সরকারি ভিসায় যেকোনো দেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে সবার আগে যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হল সরকারি নিবন্ধন। প্রতিবছর যে দেশগুলো বাংলাদেশে থেকে তাদের দেশে লোক নিবে তার প্রক্রিয়া সরকারি সংগঠন দ্বারা পরিচালিত করে থাকে। তাই আপনাকে সর্বপ্রথম সরকারি নিবন্ধন টি পূরণ করতে হবে। সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও পরিসংখ্যান ।
ব্যাংক থেকে আপনাকে নিবন্ধনটি করতে হবে। জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং পরিসংখ্যান বু্রোর প্রক্রিয়াধীন এর মাধ্যমে দক্ষ, ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক যে কোন বিভিন্ন দেশে সরকারিভাবে সরকারের হস্তান্তে পাঠানো হয়ে থাকে।
সরকারি ভাবে যে দেশ গুলোতে যেতে পারবেনঃ বর্তমান সময়ে সরকারিভাবে ১৭২টি দেশে আপনি যেতে পারবেন।১৭২ টি দেশের মধ্যে যে দেশগুলোতে সচরাচর বেশি পরিমাণ বাংলাদেশি শ্রমিক ভিসায় গিয়ে থাকে সে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করছি।
- মালয়েশিয়া
- কুয়েত
- ইতালি
- সিঙ্গাপুর
- লেবানন
- লিবিয়া
- রোমানিয়া
- রোমান
- কাতার
- কম্বোডিয়া
- থাইল্যান্ড
- জাপান
- সৌদি আরব
- ভারত
- ডেনমার্ক
বিদেশে যাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো জানা দরকার
বিদেশে যাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো জানার দরকার সে বিষয়গুলো নিয়ে এ পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। কারণ আপনাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য এ প্রস্তুতি গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। যা সঠিক নির্ধারণের ক্ষেত্রে আপনার জীবন সুন্দর এবং সঠিক যাত্রায় উন্নত করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে আমাদের প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে বিদেশে গিয়ে ইনকাম করে নিজের লাইফ কে সেটেল করার।তা আপনাকে বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে বিদেশ যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি গুলো। তো চলুন সে বিষয়গুলো নিয়ে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি-
বাংলাদেশ থেকে আমরা যারা বিদেশে যাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রুত এবং হুটহাট করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বিদেশ যাওয়ার। আর এ ভুলটাই হলো আমাদের সবথেকে বড় ভুল। তাই আপনাকে বিদেশ যাওয়ার আগে অনেক সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং প্রথমেই ভাবতে হবে আপনি বিদেশে গিয়ে কি কাজ করবেন।
আরোপড়ুনঃ বিডি কাপ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় জানুন
তারপর ভাবতে হবে আপনি কোন দেশে যাবেন এবং সে দেশে আপনার পছন্দের কাজটি কি পরিমান পাওয়া সম্ভব হবে। তারপর ভাববেন আপনার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে। এবং যে কাজে আপনি বিদেশে যাচ্ছেন সে কাজে কত টাকা বেতন পাবেন।
এছাড়াও বিদেশ যাওয়ার আগে আরো যে বিষয়গুলো ভালোভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে সে বিষয়গুলো জেনে নেই-
- প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে যাতে বিদেশে বৈধতা পান।
- পাসপোর্ট পাবার পর আপনার নিজ জেলার ডেমো তে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
- আপনি যে দেশে যাওয়ার ইচ্ছুক সে দেশের ভাষা জানতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে কোন কোন দেশে ভাষা না জানলেও আপনি যেতে পারবেন কিন্তু ভাষা জানলে তা আপনার জন্য খুবই উপকারে আসবে।
- বিদেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার পছন্দ অনুযায়ী সে কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
- সরকার অনুমোদিত বৈধ এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যেতে হবে
- এজেন্সির স্বাক্ষরে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে পড়ে ও বুঝে নিতে হবে
- বিএমইটির স্মার্ট কার্ড আপনাকে গ্রহন করতে হবে
- বিদেশে যাওয়ার পূর্বে আপনার সকল কাগজপত্র সঠিক এবং দুই থেকে তিন সেট আলাদা আলাদা করতে হবে।
- বিদেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবেন
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে আপনার সুবিধার্থে তিন থেকে সাত দিনের ব্র্যাক বহির্গমন প্রশিক্ষণে অংশ নিবেন
- সংশ্লিষ্ট ডিইএমও অফিসে আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রদান করবেন
- বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার শারীরিক ফিটনেস ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল টেস্ট করতে হবে
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে আপনার কাগজপত্র গুলো ঠিক আছে কিনা অবশ্যই ভালোভাবে চেক করে নিবেন
- আপনার প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রীগুলো আপনার সাথেই রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে
- ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া অবৈধভাবে আপনি কখনোই বিদেশে যাবেন না
ওপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনি অনুসরণ করলে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই বিদেশে গিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং আপনার ভবিষ্যৎ আলোকিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে সে দেশ গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে এ পোস্টে আলোচনা করব। বাংলাদেশি নাগরিকরা অনেক দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারেন। তার কারণ কিছু দেশের সাথে বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ ভিসা সুবিধাবাদ বাণিজ্যিক সম্পর্ক চুক্তির মাধ্যমে এই সুবিধা পাওয়া যায়।
তাই আপনারাও এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে পারেন এবং সে দেশগুলোতে ফ্রি ভিসাই ভ্রমন করতে পারেন। তো চলুন জেনে নেই বাংলাদেশ থেকে ফ্রি ভিসায় কোন দেশগুলোতে আপনি যেতে পারবেন সে দেশের নাম গুলো-
নেপালঃ বাংলাদেশে নাগরিকরা নেপালে ভিসা ছাড়া যেতে পারেন এবং তারা একটি নেপাল ভ্রমণ সার্টিফিকেট অথবা আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
ভুটানঃ ভূটানে বাংলাদেশ নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন। তবে তাদের প্রবেশের জন্য একটি অনুমোদন পত্র অথবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় দলিল সাবমিট করতে হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়াঃ বাংলাদেশে নাগরিকরা ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা ছাড়া যেতে পারেন যদি তারা পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করতে চান এবং তাদের ভ্রমণের মেয়াদ এক মাস অথবা তার কম হতে হবে।
ভারতঃ বাংলাদেশ নাগরিকরা ভারতে বিশেষ ভিসা ছাড়ায় যেতে পারেন যদি আপনারা একটি পাসপোর্ট থাকে।
আরোপড়ুনঃ ছাত্র জীকনে সফল হওয়ার ধাপগুলো জানুন
উপরে উল্লেখিত দেশগুলোতে আপনি ভিসা ছাড়া ভবন করতে চাইলে অবশ্যই সরকারি অনুমোদন অনুযায়ী ভ্রমণের নিয়ম ও শর্তাবলী সবলম্ব বিষয়গুলো জানতে হবে। একই সাথে সেই দেশের নীতি এবং নিয়মাবলী গুলো সম্পর্কেও।
লেখক এর মন্তব্যঃ ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাবেন ২০২৪ সালে
প্রিয় পাঠক আপনার যে দেশে যাওয়ার ইচ্ছাই থাকুক না কেন সে দেশের যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জানা খুবই জরুরী। কেননা বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর থার্ড পার্টি এজেন্সি রয়েছে এবং তাদের আন্ডারে অনেক দালাল কাজ করে থাকে। আর আপনি এ ভুলটি কখনোই করবেন না কোন এজেন্সির দালালের কথার ওপর ভিত্তি করে বিদেশে পারি গমন করা।
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি আপনার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সকল জানার বিষয়গুলো খুব সহজে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এ ধরনের আরো পোস্ট পাওয়ার জন্য আপনি রেইন ওয়েব জনের সাথেই থাকবেন। এ পোস্ট সম্পর্কিত আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করবেন।। ধন্যবাদ
রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url