বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি কি বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক পোস্টে ক্লিক করেছেন। কারণ-আজ আমি এ আর্টিকেলে বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা ও বেল পাতা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় এবং বেলপাতা ব্যবহারের সকল নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। 

বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি যদি এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আমি আপনাকে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি। বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, বেল পাতায় কি কি উপাদান রয়েছে, বেলপাতা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়, ও বেলপাতা ব্যবহার করার নিয়ম গুলো আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

বেলপাতা খাওয়ার উপকারিতা

বেল পাতার উপকারিতা সম্পর্কে প্রত্যেক মানুষের জানা অত্যন্ত জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ-বেলপাতা একটি ভেষজ ঔষধি গাছ এবং এ গাছের শিকড়. ফল এবং পাতা সবগুলো অংশই ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর আপনি যদি নিয়মিত বেলপাতা সেবন করে থাকেন, তাহলে আপনি একাধিক জটিল রোগের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। তো চলুন বেল পাতা খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি।

পেটের সমস্যাঃ আপনার যদি পেটের সমস্যা থেকে থাকে যেমন-গ্যাস, ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা, এক্ষেত্রে বেলপাতা অত্যন্ত কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও পেটের যাবতীয় রোগ নিরাময় করার জন্য এ বেলপাতা অত্যান্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত প্রতিদিন সকাল কিংবা বিকেলে ১০ থেকে ১৫ মিলি পরিমাণে বেল পাতার রস খাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এ বেলপাতা অত্যন্ত কার্যকরী। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল বা সামান্য কারণেই রোগে আক্রান্ত হন বা বছরের বিভিন্ন সময়ে রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তারা মাঝে মাঝে বেলপাতা খেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি মাঝে মাঝে সকাল কিংবা বিকেলে ১০ মিলে পরিমাণে বেল পাতার রস খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ যাদের টাইপ-১ বা টাইপ-২ যেকোনো ধরনের ডায়াবেটিস আছে। তারা এ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত বেল পাতার রস খেতে পারেন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেল পাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১০ থেকে ১৫ মিলি পরিমানে বেল পাতার রস খাবেন।

শর্করা নিয়ন্ত্রণঃ শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেলপাতা অত্যন্ত কার্যকরী। কেননা-বেল পাতার মধ্যে রয়েছে প্যান্টিনস ও মারমেলোসিন উপাদান যা সেবনে শরীরে শর্করা মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি নিয়মিত সকালে ৫ মিলি পরিমাণ বেলপাতার রস খেতে পারেন।

জন্ডিস নিয়ন্ত্রণেঃ জন্ডিস নিয়ন্ত্রণে বেলপাতার রস খাওয়া অত্যন্ত কার্যকরী। যদি আপনার জন্ডিস হয়ে থাকে এবং জন্ডিসের কারণে হাত পা ও সারা শরীর হলুদ হয়ে যায় তারপরও আপনি যদি বেল পাতার রস নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো খান তাহলে আপনার জন্ডিস অতি দ্রুত ভালো করা সম্ভব। জন্ডিস নিয়ন্ত্রণে আপনি প্রতিদিন সকালে কিংবা বিকেলে ১০ থেকে ১৫ মিলি পরিমানে বেল পাতার রস খাবেন এবং জন্ডিসের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে দিনে দুইবার সেবন করবেন।

মহিলাদের মাসিকের সমস্যাঃ যদি কোনো মহিলার মাসিক হওয়ার অবস্থায় বেশি পরিমাণ রক্ত বের হয় বা অধিক রক্ত যাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে নিয়মিত বেল পাতার রস খেতে পারেন। কারণ মহিলাদের মাসিক হওয়ার অবস্থায় অধিক রক্ত বের হওয়া সমস্যাই বেলপাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও যে সকল মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে তারা প্রতিদিন সকালে একবার ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম পরিমাণে বেল পাতার রস খাবেন।

মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি করাঃ মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি করার জন্য বেল পাতার রস ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি করার জন্য বেল পাতার রস দিনে একবার ৫ থেকে ১০ মিলি পরিমাণ খেতে পারেন।

হাত পা ফোলা রোগঃ হাত পা ফোলা রোগ নিয়ন্ত্রণ বেলপাতার রস খুবই কার্যকরী। যদি কোনো ব্যক্তির শ্বোত জনিত কারণে হাত পা ফুলে যায় বা হাতে-পায়ে রস নামে কিংবা অন্য কারণবশত যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে আপনি অবশ্যই বেল পাতার রস নিয়মিত খেতে পারেন। হাত-পা ফোলা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনি বেল পাতার রস ৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম পরিমাণে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাবেন।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃ যাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল বা কোনো কিছু মনে রাখতে পারেন না তারা নিয়মিত বেল পাতার রস খেতে পারেন। কারণ-স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ও স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার জন্য বেল পাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি বা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার জন্য আপনি প্রতিদিন সকালে বা বিকালে ৫ থেকে ১০ মিলি পরিমাণে বেল পাতার রস খাবেন।

নাক দিয়ে রক্ত পড়াঃ যাদের নাক দিয়ে রক্ত পড়া সমস্যা রয়েছে এবং অনেক ধরনের ওষুধ খাওয়ার পরেও নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি তারা অবশ্যই এ বেল পাতার রস খেতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত এ বেল পাতার রস খান তাহলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া সমস্যাটি অতি দ্রুত সেরে যাবে। নাক দিয়ে রক্ত পড়া সমস্যাটি দূর করার জন্য আপনি প্রতিদিন বেল পাতার রস সকালে খালি পেটে ৫ থেকে ১০ মিলি পরিমানে খাবেন।

জ্বর নিরাময়ঃ জ্বর বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন কারণে প্রত্যেক মানুষের হয়ে থাকে। আর আপনার যদি জ্বর হয় এবং জ্বর থেকে মুক্তি পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি বেল পাতার রস খাবেন। এবং বেল পাতার রস জ্বর নিরাময় করার জন্য দ্রুত এবং খুব কার্যকরী। জ্বর নিরাময় করার জন্য আপনি ২ থেকে ৩ দিন বেল পাতার রস সকালে খালি পেটে ১০ মিলি পরিমাণ খাবেন।

সর্দি ও কাশিঃ ঠান্ডা কিংবা বিভিন্ন কারণে যদি আপনাদের সর্দি ও কাশি হয়ে থাকে তাহলে এ সর্দি ও কাশির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি বেল পাতার রস খেতে পারেন। সর্দি ও কাশির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি ২ থেকে ৩ দিন নিয়মিত বেল পাতার রস সকালে খালি পেটে ১০ মিলি পরিমাণ খাবেন।

চুলের সমস্যাঃ আপনারা যদি এ বেল পাতাকে পেস্ট বানিয়ে তুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলে অ্যান্টি ড্যানড্রপ দূর করবে। এছাড়াও চুলের মধ্যে কোন প্রকার ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে দিবেনা এ বেল পাতার রস।

ঘামাচি বা ফুসকড়িঃ গরমের সময় বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু মানুষের শরীরে ঘামাচি বা ঘামাচি টাইপের এক ধরনের ফুসকুড়ি দেখা যায়। যা অত্যান্ত বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে থাকে মানুষের শরীরে। আপনি যদি এ ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে আপনি বেলপাতাকে পিষিয়ে বা পেস্ট বানিয়ে শরীরের যে স্থানে এ ধরনের খামাচি বা ফুসকুড়ি রয়েছে সে সকল স্থানে লাগালে অতি দ্রুত এ সমস্যাটি দূর হয়ে যাবে।

শরীরের দুর্গন্ধঃ গরমের সময়ে ঘামের কারণে আমাদের শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়ে থাকে। আর শরীরের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আপনারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যান্ডের পারফিউম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি শরীরে দুর্গন্ধ দূর করার জন্য এ বেলপাতাকে পেস্ট বানিয়ে গায়ে মাখতে পারেন বা জলের সঙ্গে মিশিয়ে চান করলেও শরীরের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য বেলপাতা অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বেল পাতার রস ১০ থেকে ১৫ মিলি পরিমাণ খাবেন।

এলার্জি জনিত সমস্যাঃ আপনার যদি এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে আপনার জন্য এ বেলপাতা মহা ওষুধী হিসেবে কাজ করবে। কারণ-বেলপাতা এলার্জি দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি এলার্জির হাত থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত সকালে খালি পেটে ১০ মিলি পরিমাণ বেলপাতার রস খেতে পারেন। এছাড়াও বেলপাতা কে পেস্ট বানিয়ে এলার্জিজনিত স্থানগুলোতে আপনি লাগাতে পারেন।

চোখের ছানি ও জ্বালা উপশমঃ চোখের ছানি ও চোখের জ্বালা উপশম করার জন্য অত্যন্ত কার্য করে ভূমিকা পালন করে থাকে এ বেল পাতার রস। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে বেল পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খালি পেটে খান তাহলে আপনার চোখের ছানি ও চোখের জ্বালা অতি দ্রুত উপশম হয়ে যাবে।

চুলকানি জনিত সমস্যাঃ শরীরের যেকোনো স্থানে চুলকানি জনিত সমস্যা দূর করার জন্য বেলপাতা অত্যন্ত কার্যকরী। শরীরের চুলকানি দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত কিছুদিন সকালে খালি পেটে ৫ থেকে ১০ মিলি বেল পাতার রস খাবেন। এছাড়াও যে সকল স্থানে চুলকানির আবির্ভাব রয়েছে সে সকল স্থানে বেলপাতা বেটে পেস্ট করে লাগালো চুলকানি জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন।

ওপরের বিষয়গুলো পড়ে আপনি অবশ্যই জানতে পেরেছেন। বেল পাতা আমাদের সুস্থতার জন্য কতটুকু ওষুধী ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব, বেল পাতার উপকারিতা বিষয়ক বেলপাতা সেবনের পদ্ধতি সম্পর্কে।

বেলপাতা সেবন করার পদ্ধতি ও পরিমান কত

বেলপাতা সেবন করার পদ্ধতি ও পরিমাণ কতটুকু এ বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা-আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে, মানবজীবনকে সুস্থ রাখার জন্য বেলপাতা কতটুকু ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু-আপনারা সবাই জানেন যে, কোনো কিছু অতিমাত্রায় সেবন করা বা প্রয়োগ করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। 

আরোপড়ুনঃ অর্জুন গাছের পাতা খাওয়ার উপকারিতা কি জেনে নিন

আর বেল পাতা আমাদের মানব জীবনে ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে মহা ওষধি একটি গাছ। যার ফলে বেলপাতার সঠিক সেবনে যেমন মানব জীবনে উপকারিতা আসে ঠিক তেমনিভাবে অতিমাত্রায় সেবনের ফলে মানবজীবনে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে। তাই সেজন্য আমাদেরকে বেল পাতার সঠিক পদ্ধতি ও পরিমাণ অনুযায়ী সেবন করা অত্যন্ত জরুরী।

বেলপাতা সেবন করার পদ্ধতিঃ বেল পাতা যেমন মানবজীবনের উপকারী একটি উপাদান আর সে উপকারিতা গুলোকে সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বেল পাতা সেবন করার সঠিক নিয়মটি জানতে হবে। তো চলুন বেলপাতা আপনি কিভাবে কখন খেলে তার উপকারিতা গুলো আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ এবং সঠিকভাবে পাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করি। 

  • আপনি যদি বেল পাতার সঠিক গুনাগুন এবং উপকারিতা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেলপাতা কাঁচা চিবিয়ে খেতে হবে। আর আপনি যদি বেলপাতা কাচা চিবিয়ে না খেতে পারেন। তাহলে আপনি বেলপাতা কে শরবত বানিয়ে খেতে পারবেন। তার জন্য প্রথমে আপনি পরিমাণ মতো বেল পাতা নিয়ে সে বেল পাতাটিকে পানি দিয়ে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। 
  • তারপর সে পাতাটিকে পাটাই বেটে বা ব্লেন্ডারের সাহায্যে মিক্সড করে রসটুকু বের করে নিতে হবে। তারপর যদি আপনি সে রস টুকুকে সরাসরি খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরে দ্রুত কাজ করবে। আর আপনি যদি সরাসরি বেলপাতার রস না খেতে পারেন। তাহলে সে বেলপাতা রসের সাথে চিনি কিংবা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। 
  • আর আপনি যদি বেলপাতা কাঁচা এবং শরবত বানিয়ে না খেতে পারেন তাহলে আপনি বেল পাতার ভর্তা করে খেতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাদের বলে রাখি বেল পাতা সিদ্ধ করার ফলে এর গুনাগুন অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে আপনি বেল পাতার সঠিক উপকারিতা না পেতে পারেন না। সেজন্য আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন বেলপাতা কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খাওয়ার জন্য। 
  • আর বেল পাতার উপকারিতা গুলো সঠিক ভাবে পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে। বেলপাতা খাওয়ার সব থেকে উপযুক্ত সময় হলো সকাল বেলা এবং খালি পেটে। কারণ খালি পেটে বেল পাতার রস সেবন করার ফলে সেটি অতি দ্রুত কাজ করে এবং শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে আপনি অবশ্যই বেল পাতার উপকারিতা এবং বেলপাতা সেবন করার পদ্ধতি এবং বেল পাতা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব বেল পাতা খাওয়ার সঠিক পরিমাণ নিয়ে।

বেলপাতা খাওয়ার সঠিক পরিমাণ কতটুকু

বেল পাতা খাওয়ার সঠিক পরিমাণ কতটুকু এ বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর একথা আপনি অবশ্যই জানেন যে, আমাদের মানব শরীরে কোন কিছুই পরিমাণের বাইরে খাওয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর বেলপাতা আমাদের মানব জীবনে অধিক কার্য করে একটি উপাদান। এবং আপনাদের উদ্দেশ্যে আরেকটি কথা বলে রাখি।

বেলপাতার যেমন হাজারো উপকারীতা  আছে আবার বেল পাতার রয়েছে অনেক অপকারিতাও। আর এ অপকারিতা শুধুমাত্র বেলপাতা সেবনের উপর নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি বেল পাতার সঠিক পরিমাণে সেবল না করে থাকেন। তাহলে আপনার উপকারিতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অপকারিতা হতে পারে। 

বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

সেজন্য বেলপাতা সেবন করার পূর্বে অবশ্যই আপনি সিনিয়র মানুষদের সাথে আলোচনা করে নিবেন। এবং প্রয়োজনে আপনার নিকটতম চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপর বেলপাতা সেবন করবেন। এছাড়াও আমি উপরের আলোচনায় বেল পাতা খাওয়ার ফলে আপনার কি কি রোগ নিরাময় করা যাবে এবং কতটুকু পরিমাণ সেবন করতে হবে সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। 

অবশ্যই আপনার রোগের উপর ডিপেন্ড করে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেল পাতার রস সেবন করবেন। তবে আপনারা অবশ্যই মনে রাখবেন, কখনোই বেল পাতার রস অতিমাত্রায় সেবন করবেন না।

বেল পাতায় কি কি ভিটামিন রয়েছে জেনে নিন

বেল পাতায় কি কি ভিটামিন রয়েছে এ বিষয়টি আপনার জেনে থাকা খুবই প্রয়োজন। কারণ-ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন বেল পাতার উপকারিতা ও বেলপাতা খাওয়ার নিয়ম এবং পরিমাণ সম্পর্কে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে একটি বেল পাতা মানব জীবনের এতটা উপকার নিয়ে আসে, তাহলে বেল পাতায় কতই না ভিটামিন বা উপাদান রয়েছে। তো চলুন বেল পাতায় কি ভিটামিন এবং উপাদানগুলো রয়েছে সে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করি।

  • লেগজেটিপ
  • বিটক ক্যারোটিন
  • ভিটামিন সি
  • এন্টি ফাঙ্গার
  • ফাইবার
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন বি১
  • ভিটামিন বি৬
  • ক্যালসিয়াম

উপরের উল্লেখিত উপাদান গুলো বেল পাতায় বিদ্যমান থাকে। যার ফলে আমাদের মানব দেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়। তো চলুন এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করি বেলপাতা ব্যবহার করে কিভাবে মুখের ব্রণ দূর করা যাই এ বিষয়ে।

বেলপাতা ব্যবহার করে ব্রণ দূর করার উপায়

আপনি যদি মুখের ব্রণ দূর করার জন্য চিন্তা করে থাকেন। তাহলে আমি বলব  বেলপাতা ব্যবহার করার জন্য। কারণ-বেলপাতা তে অ্যান্টিফাঙ্গার উপাদানটি থাকার কারণে মানবদেহে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করে থাকে। আর বর্তমান সময়ে ব্রণ একটি অতি পরিচিত সমস্যা। যার মধ্যে ছেলেমেয়ে উভয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকে। 

তাই আজ আমি আপনাদেরকে বেলপাতা দিয়ে ব্রণ দূর করার এমন একটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। যা ব্যবহার করলে আপনার ব্রণ জনিত সমস্যা অতি দ্রুত নিরাময় করা সম্ভব হবে।তো চলুন আপনার মুখের ব্রণ দূর করার জন্য বেলপাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এ বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করি।

বেল পাতা ব্যবহার করে আপনার ব্রণ জনিত সমস্যা দ্রুত নিরাময় করার জন্য আপনাকে বেল পাতার দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে, যা আপনি ঘরে বসে থেকে নিজেই করতে পারবেন। আর আপনি যদি বেল পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করেন তাহলে শুধু যে মুখের ব্রণ দূর করবে তা নয়। 

এর পাশাপাশি আপনার ত্বকের রোদে পোড়া মিশ্রিত দাগ, ব্রণের দাগ, মেস্তার দাগ এবং বয়সের বিভিন্ন ছাপ দূর করবে। এছাড়াও আপনি যদি এ বেল পাতার ফেসপ্যাক টি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বককে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে রাখবে সবসময়। তো চলুন বেলপাতার ফেসপ্যাক তৈরি করতে কি কি উপকরণ প্রয়োজন এবং ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জেনে নিন-

বেলপাতার ফেসপ্যাক তৈরির জন্য যা যা উপকরণ প্রয়োজন

বেল পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য কি কি উপকরণ প্রয়োজন তা নিম্নের উল্লেখ করা হলো-

  • বেল পাতা- ৫ থেকে ৭টি
  • খাঁটি মধু- ২ থেকে ৩ চামচ
  • লেবুর রস- ১ চামচ
  • কাঁচা হলুদ- ১ চামচ
  • নিম পাতার রস- ১ চামচ

ফেসপ্যাক প্রস্তুত প্রণালীঃ ওপরের উপকরণগুলো সম্পূর্ণ সংগ্রহ করা হয়ে গেলে, আপনি যেভাবে এ ফেসপ্যাক টি তৈরি করবেন চলুন সে প্রস্তুত প্রণালী টি আপনাদের সাথে আলোচনা করি-প্রথমে বেলপাতা ও কাঁচা হলুদ পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে তারপর পাটায় বেটে বা বিলিন্ডারের সাহায্যে পেষ্ট করে নিন।তারপর এই পেস্টের মধ্যে আপনি বাকি উপকরণ গুলো দিয়ে একসঙ্গে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিবেন।

এ সকল উপকরণ গুলো একসঙ্গে মিশিয়ে পেষ্ট করা হয়ে গেলে আপনার বেল পাতা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা হয়ে গেলো। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব এ ফেসপ্যাক টি কিভাবে ব্যবহার করবেন।

ব্যবহার বিধিঃ বেল পাতার তৈরিকৃত ফেসপ্যাকটি আপনার মুখে যে সকল স্থানে ব্রণ জনিত সমস্যা রয়েছে সে স্থানগুলোতে ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন। মিশ্রণটি মুখে লাগানো হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন। বেল পাতার ফেসপ্যাক টি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার ত্বক ধুয়ে ফেলুন। 

মনে রাখবেন যদি আপনি এ বেল পাতার ফেসপ্যাকটি শীতকালে ব্যবহার করেন, তাহলে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করবেন। এভাবে আপনি নিয়মিত ৭ থেকে ১০ দিন এ বেল পাতার ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ব্রণ নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।

সতর্কতাঃ এ বেল পাতার ফেসপ্যাকটি শুধুমাত্র আপনি প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি করায় বেশিদিন রেখে ব্যবহার করতে পারবেন না। এ প্যাকটি তৈরি করে আপনি ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত নরমাল তাপমাত্রায় ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারবেন। সেজন্য এ বেল পাতার ফেসপ্যাকটি আপনি অতিমাত্রায় কখনোই তৈরি করবেন না।

উপরের আলোচিত বিষয় থেকে আপনি জানতে পারলেন বেলপাতা ব্যবহার করে কিভাবে মুখের ব্রণ দূর করা যায়। এছাড়াও আমি আলোচনা করেছি বেল পাতার উপকারিতা এবং বেল পাতায় কি কি উপাদান রয়েছে। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব বেলপাতার অপকারিতা সম্পর্কে।

বেলপাতা খাওয়ার অপকারিতা কি জেনে নিন বিস্তারিত

বেল পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনার জেনে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা-বেলপাতা মানব শরীরের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকরও। আর বেলপাতা খাওয়ার ফলে যে অপকারিতার সৃষ্টি হয়, তা শুধুমাত্র বেলপাতা মাত্রাতিরিক্ত সেবনের ফলে হয়ে থাকে।

 কারণ-আপনারা সবাই জানেন যে কোন কিছু মাত্রাতিরিক্ত সেবনের ফলে।মানব শরীরে উপকারের পরিবর্তে বরং ক্ষতিই বেশি হয়ে থাকে। তো আপনি যদি বেলপাতা সঠিক পরিমাণ অনুযায়ী সেবন করে থাকেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করেন তাহলে বেল পাতার যে অপকারিতা রয়েছে তার।

আরোপড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি হয় জানুন বিস্তারিত

হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। আর আপনি যদি নিয়মিত অতিমাত্রায় বেলপাতা সেবন করে থাকেন তাহলে আপনার যে ধরনের সমস্যা হতে পারে চলুন সে বিষয় নিয়ে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করি।

  • অতিরিক্ত পরিমাণে বেলপাতা সেবনের ফলে আপনার শারীরিক শক্তিকে কমিয়ে দেয়। যার ফলে আপনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন।
  • আপনি যদি এ বেলপাতার রস রেগুলার কয়েক সপ্তাহ খান তাহলে আপনার যৌন শক্তি কমে যাবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
  • অতিরিক্ত বেলপাতা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। কারণ-বেলপাতা তে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে, যার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে এমনকি আপনার পুরুষত্ব একেবারে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।

আপনি যদি উপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেল পাতা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছুই নেই-যদি আপনি বেলপাতা সঠিক নিয়মে ওপরিমাণ অনুযায়ী খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার এ ধরনের কোনো প্রকার ক্ষতি হবে না।

পুরুষকে অতিরিক্ত বেলপাতা রস খাওয়ালে কি হয়

পুরুষকে অতিরিক্ত বেল পাতার রস খাওয়ানোর ফলে যে ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে, সে বিষয়টি জেনে থাকা প্রত্যেক পুরুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা-মানবদেহের বিভিন্ন রোগের মহা ওষুধ হিসেবে বেলপাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আর সে ধরনের রোগের হাত থেকে মানব জীবনকে রক্ষা করার জন্য বেল পাতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে, মানবদেহে অতিমাত্রায় কোন কিছু সেবন করার ফলে, মানবদেহে বিভিন্ন সাইড ইফেক্ট এর মাধ্যমে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন-এ বেলপাতা কিন্তু আমাদের জীবনকে রক্ষার জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এ বেল পাতাকে আপনি যদি সঠিক পরিমাণ অনুযায়ী বা নিয়মিত অতিমাত্রায় সেবন করে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। 

এখন আপনি যদি পাপতো পুরুষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বেলপাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। যদি আপনি সঠিক নিয়মে বেল পাতার রস না খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার যে ধরনের সমস্যাগুলো হবে চলুন সে বিষয়ে জেনে নিন-

  • পুরুষকে অধিক পরিমাণ বেলপাতা খাওয়ানোর ফলে পুরুষের শারীরিক শক্তি কমে যাবে।
  • কোনো পুরুষ যদি রেগুলার কয়েক সপ্তাহ বেলপাতার রস সেবন করে তাহলে সে পুরুষের যৌন শক্তি হারিয়ে যাবে। এমনো হতে পারে সে পুরুষের যৌন ক্ষমতা চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত বেলপাতা রস খাওয়ার ফলে পুরুষের মাংসপেশী দুর্বল এবং শারীরিক অক্ষমতার সৃষ্টি হবে।
  • বেলপাতা খাওয়ার ফলে পুরুষের যে প্রধান সমস্যাটি হয়ে থাকে সেটি হলো যৌন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। আর সেজন্য পুরুষের বেলপাতা খাওয়ার জন্য অবশ্যই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কখনোই অতিমাত্রায় বা রেগুলার বেলপাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

বেলপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে ১০০ পার্সেন্ট গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি যে, বেলপাতা খাওয়ার উপকারিতা  ও অপকারিতা ও বেল পাতায় কি কি উপাদান রয়েছে এবং বেলপাতা ব্যবহার করে কিভাবে মুখের ব্রণ দূর করবেন এ সকল বিষয়ে আপনি একদম সঠিক ও কার্যকর তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। 

প্রিয় পাঠক আপনি যদি মানব দেহকে সুরক্ষা রাখার জন্য মহা ঔষধি হিসেবে বেলপাতার ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি অভিজ্ঞ এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। কারণ-বেলপাতা খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি আবার অপকারিতাও রয়েছে। যদি আপনি বেলপাতার সঠিক পরিমাণ ও ব্যবহার না করে থাকেন। তাহলে আপনার উপকারের থাকে ক্ষতি বেশি হতে পারে। 

বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি যদি পুরুষ হয়ে থাকেন এবং বেলপাতা খাওয়ায় নিয়োজিত থাকেন, তাহলে আপনি অবশ্যই অতিরিক্ত বেলপাতা খাওয়া থেকে এবং দীর্ঘদিন বেলপাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আপনি যদি এ আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন এবং এ ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করতে চান তাহলে আপনি রেইন ওয়েব জোনের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url