সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও কত টাকা খরচ হয় (আপডেট খবর)
আপনি কি সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক পোস্টে ক্লিক করেছেন। কারণ-আজ এ আর্টিকেলে আমি বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও জাপান ভিসা প্রসেসিং এবং বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে আলোচনা করব।
আপনি যদি এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আমি গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি, সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত টাকা লাগে এবং জাপান ভিসা প্রসেসিং এর সকল বিষয়ে আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও কত টাকা খরচ হয়
- সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায়
- সরকারিভাবে জাপান যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন
- জাপানে কোন কাজের চাহিদা সব সময় বেশি
- জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে
- জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সর্বনিম্ন বেতন কত
- জাপান দেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন
- সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় গুলো সঠিকভাবে জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন বা চিন্তা করেন। কারণ-জাপান হলো পৃথিবীর অন্যতম উন্নত এবং আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি দেশ। যার কারণে বর্তমান সময়ে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে জাপানে যাওয়ার জন্য প্রচুর চাহিদা বাড়ছে। এবং বর্তমান সময়ে আপনি বাংলাদেশ থেকে তিনটি ভিসা ক্যাটাগরিতে জাপান যেতে পারবেন। যেমন-
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
আর আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনি কোন ভিসাই জাপানে যাবেন সেটি আপনার ওপর নির্ভর করবে। আপনার সুবিধার্থে বলে রাখি, বর্তমান সময়ে আপনি এ তিনটি ভিসা ক্যাটাগরির মাধ্যমে সরকারিভাবে জাপান যেতে পারবেন। তো চলুন সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি।
আরোপড়ুনঃ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনি যদি সরকারি ভাবে জাপান যেতে চান? তাহলে সর্বপ্রথম যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটি হলো আপনাকে জাপানি ভাষা শিখতে হবে এবং জাপানে চাহিদা সম্পূর্ণ কাজের ওপর আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এখন আপনি যদি এ দুটি বিষয় পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে বর্তমান সময়ে আপনি খুব সহজে সরকারিভাবে জাপান যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য আপনাকে এ দুইটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে তারপর বিএমইটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে একটি আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সেখানে আপনার সঠিক তথ্য দ্বাড়া রেজিস্ট্রেশন ফ্রম পূরণ করে বিএমইটির ইমেইলে পাঠিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সেখানে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে।
আপনাকে জাপানের চাকরির সার্কুলার প্রকাশের জন্য ওয়েট করতে হবে। তারপর জাপানের চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করা হলে আপনাকে সে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যদি আবেদনটি সম্পন্ন সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে বিএমটির কার্যালয় থেকে জাপানির প্রতিনিধি দল -গণিত, জাপানি ভাষা ও শারীরিক ক্ষমতার ওপর আপনার প্রাথমিক ইন্টার্ন পরীক্ষা নিবে।
এবং যোগ্য প্রার্থীদের টেকনিক্যাল ইন্টার্ন কোর্স করিয়ে জাপানে প্রেরণ করা হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারী কে ভিসা সম্পর্কিত কোনো অর্থ প্রদান করতে হবে না। আশা করছি সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। তো এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব সরকারিভাবে ওয়ার্কার ভিসায় জাপান যেতে কি কি ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়।
সরকারিভাবে জাপান যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন
আপনি যদি সরকারিভাবে জাপান যেতে চান তাহলে, সরকারি ভাবে জাপান যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন এ বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা-জাপানে যাওয়ার জন্য আপনি যদি কোন প্রকার ভুল ডকুমেন্ট জমা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি কখনোই জাপানে যেতে পারবেন না। তো চলুন সরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার জন্য আপনার কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি।
- পাসপোর্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- জীবন বৃত্তান্ত
- নিম্ন এস.এস.সি পাশের সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট সাইজের ৩ থেকে ৫ কপি ছবি
- বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর
- উচ্চতা সর্বনিম্ন ৫ ফুট ২ ইঞ্চি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- জাপানি ভাষা সার্টিফিকেট
উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্ট সগুলো দ্বারা আপনি জাপানের ওয়ার্কার ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার আবেদনটি জাপানি প্রতিনিধির কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হলে তারা আপনার কাঙ্খিত ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র পাঠাতে বলা হবে। তো এখন আপনি যদি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জাপানে যেতে চান।
তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে তারপর সকল ডকুমেন্ট গুলো দিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সে জন্য আপনাকে সবার আগে জানতে হবে জাপানে কোন কাজগুলোর চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। তো চলুন জাপানে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করি-
জাপানে কোন কাজের চাহিদা সব সময় বেশি
আপনি যদি জাপানে ওয়ার্কার ভিসায় যাওয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই জাপানের চাহিদা অনুযায়ী সে কাজের ওপর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কারণ-আপনার যদি কোন কাজের উপর অভিজ্ঞতা না থেকে থাকে তাহলে জাপানে যাওয়া আপনার জন্য খুব কষ্টকর। আর জাপান বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির একটি দেশ।
আরোপড়ুনঃ সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় আপডেট খবর জানুন
যার কারণে এদেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই আপনি যদি জাপানে যাওয়ার আগে জাপানি চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্য থেকে যেকোনো একটি কাজের ওপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে যান। তাহলে আপনি প্রতিমাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো চলুন জাপানের যেসব কাজের চাহিদা সবসময় বেশি থাকে সে কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নেই-
- ইলেকট্রিশিয়ান
- কুরিয়া সার্ভিস ডেলিভারি বয়
- রেস্টুরেন্ট
- কন্সট্রাকশন
- কম্পিউটার অপারেটর
- ড্রাইভিং
- ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
- মেকানিক্যাল
- নার্সিং
- ক্লিনার
- প্লাম্বার
- রাজমিস্ত্রি
- কৃষিকাজ
ওপরের কাজ গুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি কাজের ওপর আপনার যদি ভালো অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই জাপানি কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন এবং প্রতি মাসে হ্যান্ডসাম পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করছি জাপানে কোন কাজের চাহিদা গুলো বেশি থাকে এ সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এখন আপনার যদি কোনো কাজের উপর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে কি কি ডকুমেন্ট গুলো দিয়ে জাপানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন সে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে যে কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন সে বিষয়ে জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তা জেনে নেই-
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন মেয়াদ ছয় মাস
- ভিসার আবেদন পত্র
- জাপানি ভাষা শিক্ষার সার্টিফিকেট
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- জাপানি কোম্পানির অফার লেটার
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- পাসপোর্ট সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ৩ থেকে ৫ কপি ছবি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- করোনা ফুল্ডসের সার্টিফিকেট
- নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতার সার্টিফিকেট
ওপরের উল্লিখিত কাগজপত্র দ্বারা আপনি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তো সরকারিভাবে জাপান ভিসার জন্য আপনাকে কত টাকা খরচ করতে হবে চলুন এ বিষয়ে এখন আলোচনা করি।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে
বর্তমান সময়ে জাপান যাওয়ার জন্য আপনি দুটি পথ অবলম্বন করতে পারবেন। যার মধ্যে প্রথমটি হলো- সরকারিভাবে আর দ্বিতীয়টি হলো- বেসরকারি বা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে। এখন আপনাদের সাথে আমি এ দুটি বিষয়েই জাপান যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে এ বিষয়ে আলোচনা করব।
আরোপড়ুনঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় আপডেট খবর জানান
সরকারিভাবেঃ আপনি যদি সরকারিভাবে জাপান যেতে চান এবং জাপান যেতে কত টাকা খরচ হবে জানতে চান। তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। তো চলুন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে জেনে আসি-সরকারিভাবে কোন দেশে যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে সরকারি ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে।
আর সরকারি ভিসা প্রসেসিং পদ্ধতিটি হয়ে থাকে-কোনো উন্নতশীল দেশে চাহিদা অনুযায়ী যখন কর্মী সংকট দেখা দিয়ে থাকে তখন সে দেশে উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশ থেকে অধিক সংখ্যক শ্রমশক্তি আনার জন্য সে দেশের কাছে আবেদন করা। আর সে আবেদনটি গ্রহণ করে উন্নয়নশীল দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়ায় হলো সরকারিভাবে ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া।
আর এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যে কোন দেশে যান তাহলে আপনাকে সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে। আর সরকারিভাবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কোন দেশে যান। তাহলে সব থেকে বড় সুবিধাটি হলো-আপনাকে অধিক অর্থ প্রদান করতে হয় না এবং আপনার সকল দায়িত্ব সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে।
বর্তমান সময়ে জাপানে সরকারি ভাবে তিনটি ভিসায় যেতে পারবেন। তো চলুন সরকারিভাবে এ তিনটি ভিসায় জাপানে যেতে কত টাকা লাগবে তা জেনে আসিঃ
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ ১ লক্ষ্য ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ্য ২০ হাজার টাকা।
- স্টুডেন্ট ভিসাঃ সর্বনিম্ন ১ লক্ষ্য থেকে ২ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা।
- টুরিস্ট ভিসাঃ সর্বনিম্ন ৮০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা
এজেন্সির মাধ্যমেঃ আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে জাপানে যেতে চান ও এজেন্সির মাধ্যমে জাপানে যেতে কত টাকা খরচ হবে এ বিষয়ে জানতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম জানতে হবে কিভাবে বিভিন্ন এজেন্সি তাদের ভিসা প্রসেসিং করে থাকে। তো চলুন বিভিন্ন এজেন্সির ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জেনে নেই-বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে প্রতি বছরেই কোনো না কোনো সেক্টরে অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন পড়ে।
আর যখন সে দেশগুলোতে কিছু সংখ্যক শ্রমিকের প্রয়োজন হয় তখন সে দেশের বিভিন্ন এজেন্সি গুলো শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সরকারি এজেন্সির কাছে। আর সে এজেন্সি গুলো সে অনুযায়ী কিছু সংখ্যক শ্রমিক কে সে কোম্পানির ভিসায় প্রেরণ করে থাকে। আর আপনি যদি এধরনের ভিসায় জাপানে যেতে চান তাহলে আপনার সকল কার্যক্রম আপনার সে এজেন্সি করে দিবে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনেক সরকার অনুমোদিত এজেন্সি রয়েছে সে এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনি জাপানে ওয়ার্ক পারমিট, স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন। তো চলুন এজেন্সির মাধ্যমে জাপানে যেতে কত টাকা খরচ হবে এ বিষয়ে জেনে আসি-
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ ৯ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা
- স্টুডেন্ট ভিসাঃ ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা
- টুরিস্ট ভিসাঃ ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা
উপরে উল্লেখিত খরচের মধ্য থেকে আপনার এজেন্সি এবং কোম্পানির উপর ডিপেন্ড করে খরচের তালিকা কম বেশি হতে পারে। এখন আপনি মনে করেন ওপরের সকল কার্যক্রম গুলো সঠিকভাবে পূরণ করে এত টাকা খরচ করে জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাচ্ছেন।
তো সেখানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় প্রতি মাসে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন চলুন এ বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করি।
জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সর্বনিম্ন বেতন কত
জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন পাবেন এ বিষয়টি সম্পন্ন আপনার কোম্পানি এবং আপনার কাজ ও কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে। জাপানের সর্বনিম্ন বেতন ঘন্টায় নির্ধারণ করে থাকে এবং জাপানের জেলা অনুযায়ী এবং কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতি ঘন্টার বেতন কম বেশি হয়ে থাকে।
আরোপড়ুনঃ কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায় আপডেট খবর জানুন
জাপানে সপ্তাহে আপনাকে চল্লিশ ঘন্টা কাজ করতে হবে এবং সপ্তাহে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। এছাড়াও জাপানে আপনি এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ পনের ঘন্টা এবং মাসে সর্বোচ্চ ৪৫ ঘণ্টা ওভারটাইম কাজ করতে পারবেন। আপনি জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে প্রতি মাসে বেসিক বেতন হিসেবে ৯০ থেকে ২ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এবং আপনার কাজের দক্ষতার ওপর এবং কোম্পানিতে থাকার বয়স অনুযায়ী আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও জাপানের প্রতিটি কর্মী মাসে গড় বেতন পেয়ে থাকে ৩৪৭০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এখন আপনি যদি ভাল একটি কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে যান তাহলে প্রতিমাসে আপনি ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আশা করছি জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সর্বনিম্ন বেতন কত এ বিষয়টি আপনি জানতে পেরেছেন। তো চলুন এখন জাপান দেশ সম্পর্কে অজানা তথ্য গুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করি।
জাপান দেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন
আপনি যদি জাপান দেশ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ-এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি জাপানের এমন কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি যা আপনার জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদি আপনি জাপানে যাওয়ার কথা চিন্তা করেন বা প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। তো চলুন জাপান দেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি-
জাপান এশিয়া উপমহাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ছোট বড় প্রায় ৩০০০ দ্বীপ নিয়ে এ রাষ্ট্রটি গঠিত হয়েছে। জাপানের সব থেকে বড় শহর ও রাজধানীর নাম টোকিও। জাপানের মূল আয়তন হলো ৩ লক্ষ্য ৭৭ হাজার ৯৪৪ বর্গ কিলোমিটার। জাপানে মোট জনসংখ্যা হল ১২ কোটি ৬৮ লক্ষ্য ৮০ হাজার ও প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করে ৩৩৭.১ জন।
জাপানি দেশটিতে জাপানি এবং কোরিয়ান মানুষের বসবাস রয়েছে। জাপানিতে জাপানি মুদ্রার নাম ইয়েন। জাপানে জাপানি হল সরকারি ভাষা যা এ ভাষাতে ৯৮% লোক কথা বলে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়টি হলো জাপানে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৫০০ একটি ভূমিকম্প হয়ে থাকে। জাপানে ১৫ বছরের ওপরে জনসংখ্যাদের মধ্যে শিক্ষার হার ৯৯ শতাংশ।
জাপানের সব থেকে বড় শহর এবং রাজধানীতে বসে সব থেকে বড় মৎস্য বাজার যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ টন মাছ ক্রয় বিক্রয় হয়। জাপান তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে অন্যান্য দেশের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে এবং জাপানে সবথেকে বড় গাড়ি প্রস্তুত কোম্পানির নাম টয়োটা যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকৃত কোম্পানি। জাপানের ভূপৃষ্ঠের ৮৫ শতাংশ হলো পাহাড়।
জাপানিরা সবসময় খাবারের উপর বেশি সচেতন থাকে। জাপানিতে ঘোরার মাংস প্রচুর পরিমাণে পছন্দ করে থাকে। ১৯০৭ সালের পর থেকে জাপানি তে ঘোরার মাংস খাওয়ার প্রচুর পরিমাণে প্রচলিত শুরু হয় যা একসময় কৃষি কাজ এবং ভারী পণ্য সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত ঘোরার শংকট দেখা দেয়। জাপানিরা তাদের খাবারগুলোকে খুব সম্মানের সাথে গ্রহণ করে থাকে।
আরোপড়ুনঃ পোল্যান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত জানুন
এবং তারা দাঁড়িয়ে এবং হাটা চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের খাবার খাওয়া পছন্দ করেন না। এ দৃষ্টিতে কখনোই দোকানে এবং ক্রেতার মধ্যে কোন পণ্যর দাম নিয়ে দাম কষাকষি হয় না কারণ জাপানে পণ্যের দাম কষাকষি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কাঙ্খিত পণ্যের ওপরে নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করা থাকে। জাপানী সংস্কৃতিতে কোন প্রকার।
প্রতারণা,দুর্নীতি, অসচেতনতা এবং কপটতার মধ্যেকার বিষয়গুলোর উপরে কোন ছাড় নেই। জাপানে সবথেকে বড় দিন হিসেবে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন ২৫ সে ডিসেম্বর এ দিনটি পালন করে থাকে। কিন্তু জাপানে শুধুমাত্র ২% মানুষ খ্রিস্টীয় ধর্ম হওয়ায় এ দিনটিকে সবথেকে বড় দিন হিসেবে বিবেচিত করা হয় না। এ ছিল জাপান সম্পর্কীয় কিছু অজানা তথ্য যা আপনারা এ পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি। সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও কত টাকা খরচ হয় এবং ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য গুলো আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। প্রিয় পাঠক আপনি অবশ্যই উপরের পাঠ থেকে জানতে পেরেছেন যে সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় এবং সরকারের ভাবে জাপান যাওয়ার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে।
এখন আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণ সময় না থেকে থাকে তাহলেও আপনি কোন উপায়ে জাপানে যেতে পারবেন আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে উন্নত জীবনযাত্রায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাচ্ছে। আপনিও যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জাপানে যান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই জাপানের চাহিদা অনুযায়ী একটি কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
আরোপড়ুনঃ বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত জানুন
তারপর বৈধভাবে সরকারি কিংবা সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে জাপানে যাবেন। এর জন্য অবশ্যই আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে জাপানে যাবেন সে এজেন্সির সকল তথ্যগুলো ভালোভাবে জেনে নিবেন। কারণ-বর্তমান সময়ে বিভিন্ন এজেন্সি তাদের প্রতারণার শিকার বানিয়ে হাজারো সাধারণ জনগণকে নিঃস্ব করছে।
তাই আপনি অবশ্যই তাদের সাথে লেনদেন করার আগে সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে শুনে তারপর টাকা পয়সা কিংবা সিগনেচার করবেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন এবং এ ধরনের আরও প্রয়োজনীয় পোস্ট পড়তে চান তাহলে আপনি রেইন ওয়েব জোনের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।
রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url