সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় আপডেট খবর জানুন
সরকারিভাবে কোন দেশে যাওয়া যায় এ বিষয়ে আপনি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ-আজ এ পোস্টে সরকারিভাবে কোন কোন দেশগুলোতে যাওয়া যায় এবং দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায় গুলো নিয়েই আলোচনা করব।
আপনি যদি এ আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আমি আপনাকে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন সে সকল বিষয়গুলো আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কি করতে হয়
- ওয়ার্ক পারমিট হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
- সরকারি ওয়ার্ক ভিসায় বিদেশ গেলে কি কি কাজ পাওয়া যায়
- সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ সুবিধা
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
- সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এ বিষয়ে লেখকের মন্তব্য
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এ বিষয়টি জানা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার কথা চিন্তা করেছেন বা করছেন। প্রতিবছর আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক নাগরিক তাদের বেকারত্বকে দূর করার জন্য এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য বিদেশ ভ্রমণ করে।
আর এ বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। আর এ ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য সবথেকে কার্যকরী উপায় হলো সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া। আপনি যদি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে ভ্রমণ করা যায়।
আরোপড়ুনঃ কম খরচে ইউরোপের কোন দেশগুলোতে যাওয়া যায় আপডেট খবর
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে অনেক দেশে ভ্রমন করা যায়। তো চলুন সরকারিভাবে আপনি কোন কোন দেশগুলোতে যেতে পারবেন সে দেশের নামগুলো জেনে নেই-
- ভারত
- সৌদি আরব
- মালয়েশিয়া
- দক্ষিণ কোরিয়া
- জর্ডান
- কাতার
- কম্বোডিয়া
- থাইল্যান্ড
- কুয়েত
- ওমান
- সিঙ্গাপুর
- জাপান
- লেবানন
- লিবিয়া
- ইতালি
- কানাডা
- ইরাক
- অস্ট্রেলিয়া
- ডেনমার্ক
- ফ্রান্স
- সুইজারল্যান্ড
- মালদ্বীপ
- চাইনা
- শ্রীলংকা
- নিউজিল্যান্ড
ওপরের উল্লেখিত দেশগুলোতে আপনি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ভাবে যেতে পারবেন। এছাড়াও উল্লেখিত দেশগুলো ব্যাথিত আরো অনেক দেশে সরকারি ভাবে ওয়ার্ক ভিসা বা ভ্রমণ বিষয় যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কি করতে হয়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে কোন কোন পদক্ষেপ গুলো গ্রহন করতে হবে এ বিষয়ে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আপনি যদি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান, তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো boesl.gov.bd এ ওয়েবসাইট বা Ami probashi অ্যাপ থেকে একাউন্ট করতে হবে।
আপনার অ্যাকাউন্ট ওপেন করা হয়ে গেলে আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী ও জাতীয় পরিচয় পত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সাবমিট করে আপনি যে দেশে যাবেন সে দেশে চাকরি, এডুকেশন ও ভ্রমণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কোন দেশে সরকারিভাবে যেতে চান।
তাহলে প্রথমে আপনি boesl.gov.bd ওয়েবসাইটটিতে ঢুকে দেখে নিবেন সরকারিভাবে কোন কোন দেশগুলোতে কর্মী নিয়োগ চলছে। তারপর Ami probashi এ অ্যাপটিতে প্রবেশ করে সে দেশে ওয়ারকার ভিসার জন্য আবেদন করবেন। এছাড়াও Ami probashi এ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি যে কাজের জন্য আবেদন করবেন সে কাজের ধরন।
এবং বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন খুব সহজেই। আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার সকল ডকুমেন্ট সাবমিট করে আবেদন করতে পারেন তাহলে সে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট টিম আপনার আবেদনটি দেখার পর যদি আপনাকে সিলেক্ট করে থাকে, তাহলে পরবর্তীতে তাদের নির্ধারিত স্থানে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে জানানো হবে।
আপনি যদি তাদের বলা নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট স্থানে ইন্টারভিউ দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেন তাহলে আপনি সে দেশে সরকারিভাবে যেতে পারবেন। বর্তমান সময়ে দালাল চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণ করতে Ami probashi এ অ্যাপসটি ব্যবহার করে উপরে বলা কথা মত আবেদন করতে পারেন।
ওয়ার্ক পারমিট হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম যে বিষয়গুলো জানতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে এ পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তো চলুন এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করি-আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে কাজের ভিসায় বিদেশ যেতে চান সেজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট বা বিভিন্ন কাজের জন্য।
আরোপড়নঃ পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত
সরকারিভাবে লোক নিয়োগ করছে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। সে জন্য আপনাকে boesl.gov.bd এ ওয়েবসাইট এবং বিদেশের শ্রমিক নিয়োগের দৈনিক পত্রিকা গুলো পড়তে হবে এবং নিয়মিত ও সঠিকভাবে খোঁজখবর নিতে হবে। যাতে আপনি সরকারিভাবে কাজের ভিসাই বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন দেশগুলো নিয়োগ প্রকাশ করেছে কত জন লোক নিবে।
কোন কোন সেক্টরে লোক নিবে, কোন কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা এ সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে পারেন এবং আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি সরকারিভাবে কোনো দেশে কাজের ভিসাই যেতে চান সেজন্য আপনার সর্বপ্রথম যেগুলোর প্রয়োজন হবে চলুন সে বিষয়গুলো জেনে নেই-
- আপনার যেকোনো কর্মদক্ষ তার প্রয়োজন।
- আপনার কর্মদক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- টিটিসি থেকে তিন থেকে সাত দিনের বিদেশ ভ্রমণ কোর্স সম্পন্ন করার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
ওপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনি যদি অর্জন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে সরকারিভাবে ওয়ার্কার ভিসায় বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
সরকারি ওয়ার্ক ভিসায় বিদেশ গেলে কি কি কাজ পাওয়া যায়
সরকারি ওয়ার ভিসায় বিদেশে গেলে কি কি কাজ পাওয়া যায় এ বিষয়ে জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। আপনি যদি কোন কাজের উপর পারদর্শী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সে কাজের ওপর নির্ভর করেই আপনি সরকারি ওয়ার্কার ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। আর আপনার যদি কোন কাজের উপর অভিজ্ঞতা না থেকে থাকে। তাহলে আপনি সরকারিভাবে ওয়ার্কার ভিসার জন্য বিদেশে কোন কোন কাজগুলো পাবেন তো চলুন সে বিষয়ে জেনে নেই।
- কনস্ট্রাকশন
- শপিংমল
- হোটেল বয়
- রেস্টুরেন্ট বয়
- শপিংমল ক্লিনার
- ক্লিনার বয়
- গার্মেন্টস ওয়ার্কার
- নার্সারি
- নির্মাণ শ্রমিক
উপরোক্ত কাজে বিদেশে শ্রমিকদের অনেক চাহিদা বেশি থাকে। আপনি যদি বিদেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে চান তাহলে আপনাকে এ সব কাজের উপর কিছুটা জ্ঞান অর্জন থাকা দরকার।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়টি জানা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যারা সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার কথা চিন্তা করছেন বা করেছেন। কেননা ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ ভ্রমণের জন্য আপনাদেরকে অনেক অর্থ প্রদান করতে হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন এজেন্সি হওয়ায় দালালের প্রতারণা চক্রে পড়ে অনেক সময় অনেক অর্থ গুলোও নষ্ট হয়ে যায়। তাই আজ এ পোষ্টের মাধ্যমে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে আপনাদের কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়ে আলোচনা করব। তার আগে আপনাদের যে বিষয়টি জানা প্রয়োজন চলুন সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার।
আরোপড়ুনঃ বুলগেরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত আপডেট খবর
ক্ষেত্রে সকল পদক্ষেপ গুলো আপনাকেই করতে হয়। যেমন-আপনি যে কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন সে কাজগুলো বর্তমানে কোন কোন দেশে চাহিদা রয়েছে এবং এ কাজের উপর ভিত্তি করে কোন দেশগুলোতে লোক নিচ্ছে। আর এ বিষয়গুলো আপনি নিজেই ঠিক করে আবেদন সম্পন্ন করেন। এখন সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়।
তার জন্য আপনার সিলেটকৃত দেশ এবং আপনি যে কোম্পানিতে কাজের জন্য যাবেন সে কোম্পানির উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু হ্যাঁ-ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ ভ্রমণের থেকে সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের খরচটা অনেক কম হয়ে থাকে। সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের জন্য তিন প্রকার ভিসা প্রদান করে থাকে-ওয়ার্কার ভিসা, এডুকেশন ভিসা, ভ্রমণ ভিসা। তো চলুন সরকারিভাবে বিদেশ ভবনের জন্য এ তিনটি ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে তা জেনে আসি-
ওয়ার্কার ভিসাঃ ওয়ার্কার ভিসায় আপনি যদি সরকারের ভাবে বিদেশে যেতে চান সেজন্য অবশ্যই আপনাকে কোন একটি কাজের উপর ভাল দক্ষতা থাকতে হবে। আর সরকারিভাবে ওয়ার্কার ভিসায় বিদেশ ভ্রমণের জন্য আপনাকে ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যা আপনার কাজ ও দেশ এবং কোম্পানির উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে।
এডুকেশন ভিসাঃ আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে এডুকেশন ভিসাই কোন দেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে চান। তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনি যে দেশে যাবেন সে দেশের ইউনিভার্সিটির সকল বিষয়গুলো জানতে হবে। আপনি যে বিষয়ে ভাল পারদর্শী সে বিষয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে। এডুকেশন বিষয় বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য আপনাকে ১ লক্ষ্য থেকে ২ লক্ষ্য টাকা খরচ হতে পারে।
ভ্রমণ ভিসাঃ আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কোনো দেশে ভ্রমণ ভিসায় যেতে চান, তাহলে আপনাকে ১ লক্ষ্য থেকে ১ লক্ষ্য ৭০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ সুবিধা
আপনি যদি সরকারিভাবে বিদেশ যান তাহলে আপনার জন্য সবথেকে বড় সুবিধাটি হলো-কম অর্থ প্রদান করে বিদেশ ভ্রমন করা। এছাড়াও আরেকটি সবথেকে বড় সুবিধা হল কোন প্রকার দালাল চক্রের প্রতারিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার আরো যে সকল সুযোগ সুবিধা গুলো রয়েছে চলুন সে বিষয়গুলো জেনে নেই-
- নিজের কর্মদক্ষতার ওপর নির্ভর করে নিজের কাজ নিজেই সিলেট করা।
- আপনি যে কাজের উপর পারদর্শী সে কাজের নির্ভরশীল দেশে যেতে পারা।
- কোম্পানির সকল রুলসগুলো আগে থেকেই জানতে পারা।
- সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের যাতায়াত সুযোগ সুবিধা।
- আপনার যদি কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে সরকার কিছু পক্ষ নিজ দায়িত্বে দেশে নিয়ে আসা।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন এ বিষয়ে জেনে রাখা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তো চলুন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কে কে ডকুমেন্ট আপনার প্রয়োজন সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি-
- আপনার ব্যক্তিগত পাসপোর্ট।
- পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন মেয়াদ ৬ মাস থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ৩-৫ কপি ছবি।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- পুলিশ ক্লিয়ারলেন্স সার্টিফিকেট।
- আপনার জীবন বৃত্তান্ত।
- আপনার কর্মদক্ষতার সার্টিফিকেট।
- আপনার এডুকেশন সার্টিফিকেট।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ড।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে যে সকল পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হয় সে বিষয়গুলো জানা প্রত্যেকটা বিদেশগামী ব্যক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-এ সকল বিষয়গুলো যদি আপনি ভালোভাবে জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য অনেক সুবিধা। তো চলুন সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনে পদক্ষেপ গুলো কি কি জেনে নেই-
- আপনি যে কোম্পানিতে যাচ্ছেন সে কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন।
- নিজের পাসপোর্ট নিজের কাছে রাখবেন এবং ভিসা সংগ্রহ করবেন।
- বৈধভাবে ও নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন।
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার লাভ ও ক্ষতির হিসাব করুন।
- আপনি যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের ভাষা শিখুন।
- সরকার অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার হতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
- সংশ্লিষ্ট ডিইএমও ডাটাবেজে নাম নিবন্ধন করুন।
- সংশ্লিষ্ট ডিইএমও অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করুন।
- বিএমইটির স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করবেন।
- সরকার অনুমোদিত রিকোয়েন্টিং এজেন্টের মাধ্যমে ভ্রমণ করুন।
- বিদেশে যাওয়ার পূর্বে তিনদিনের বিদেশ বহির্গমন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করুন।
- বিদেশে যাওয়ার আগে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবেন।
- বিদেশে যাওয়ার আগে প্রত্যেকটি কাগজপত্র তিন থেকে চার সেট ফটোকপি রাখবেন।
- ভালোভাবে দেখে শুনে পড়ে ও বুঝে তারপর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবেন।
- সকল রুলস গুলো মেনে আপনার বিদেশ যাত্রা শুরু করবেন।
আরোপড়ুনঃ কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে আপডেট খবর
উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনি যদি ভালোভাবে মেনে চলেন তাহলে আপনার বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার বিভ্রান্তিক স্বীকার হবেন না। আর অবশ্যই মনে রাখবেন বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে কখনোই অনিরাপদ যাত্রায় যাবেন না।
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এ বিষয়ে লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি। যে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, সরকারি ওয়ার্কার ভিসায় কোন কোন কাজের চাহিদা রয়েছে, সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ সুবিধা এবং সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সঠিক মাধ্যম গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি বিদেশ যাওয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে আমি আপনাকে বলবো সরকারিভাবে বিদেশ গমন অথবা সরকার অনুমোদিত রিকোয়েন্টিং এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশ গমন করুন। কেননা সরকার অনুমোদিত এজেন্সি ব্যতীত অন্য দালাল চক্র মাধ্যমে আপনি যদি বিদেশ গমন করেন তাহলে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এবং অনেক সময় এ সকল দালাল চক্রগুলো জনগণের কাছ থেকে আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই বিভিন্ন দালাল চক্র বা ভুয়া এজেন্সির হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকার অনুমোদিত এজেন্সি বা সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি এ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য আপনি রেইন ওয়েব জনের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।
রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url