স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায়(আপডেট খবর)

আপনি কি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার সঠিক উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ-আজ আমি এই আর্টিকেলে স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায় ও স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য কি যোগ্যতা লাগে এবং স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে কত টাকা খরচ হবে এ সকল বিষয়ে আলোচনা করব। 

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায়

আপনি যদি এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি। স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার সঠিক উপায় ও স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে জাপানে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন আর স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে কতটা খরচ হয় এ সকল বিষয়গুলো আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায়

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায়

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে চান বা স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন। কারণ-এই পোস্টে আমি স্টেপ বাই স্টেপ স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার সকল উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। 

তো চলুন স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার সকল উপায় গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন। তাহলে জাপান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতাটুকু আপনার থাকতে হবে। তারপর আপনার ওপরে নির্ভর করে জাপানের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন লেভেলে ভর্তি হতে চাচ্ছেন সে বিষয়টি ক্লিয়ার হতে হবে। 

আরোপড়ুনঃ জাপানে বাংলাদেশী শ্রমিকদের বেতন কত জেনে নিন

এ বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে গেলে তারপর আপনি জাপানি কোন মেয়াদের কোর্সে ভর্তি হতে চান তার ওপর নির্ভর করে ভিসার জন্য সকল ডকুমেন্ট জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদনটি স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে অ্যাপ্রুভ হয়ে গেলে তারপর আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন এবং জাপানে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। 

এতক্ষণ আমি আপনার সুবিধার্থে স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার প্রসেসিং গুলো নিয়ে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এখন আপনাদের সাথে আমি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আপনার কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন। স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আপনি কোন ধরনের ভিসায় আবেদন করবেন। স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আপনি কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করবেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আপনার কত টাকা খরচ হবে। জাপানে স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে আপনার কি ধরনের সুবিধা হতে পারে এ সকল বিষয়গুলো নিয়ে সঠিকভাবে স্টেপ বাই স্টেপ জানানোর চেষ্টা করব। তো চলুন স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আপনার থাকতে হবে সে বিষয়টি নিয়ে আগে আলোচনা করি।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য কি যোগ্যতা প্রয়োজন

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য চিন্তা করে থাকেন তাহলে এ বিষয়টি জানা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী। কারণ-জাপানে আপনি যে ভিসাতেই যেতে চান না কেনো যদি আপনার জাপানিজ ন্যূনতম যোগ্যতাটুকু না থেকে থাকে তাহলে আপনি কখনোই জাপানে যেতে পারবেন না। তো চলুন জাপানে যাওয়ার জন্য আপনার নূন্যতম কি যোগ্যতা থাকতে হবে সে বিষয়টি জেনে নিন-

  • ন্যূনতম এসএসসি পাস থাকতে হবে যেকোনো বিভাগ হতে।
  • বয়স কমপক্ষে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • আপনার হাইট সর্বনিম্ন ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে।
  • জাপানি ল্যাঙ্গুয়েজ  N5 লেভেল পর্যন্ত জানতে হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল হতে হবে।

ওপরের উল্লেখিত যোগ্যতাগুলো যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে জাপানে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। যদি এ যোগ্যতা গুলো আপনার না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম এ যোগ্যতা গুলো অর্জন করতে হবে। এরপর যে বিষয়টি আপনার জন্য জানা জরুরি চলুন সে বিষয়টি নিয়ে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করি।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য কোন ধরনের ভিসা প্রযোজ্য

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার কথা চিন্তা করেন তাহলে এ বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। কারণ-জাপানে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বিভিন্ন মেয়াদী কোর্সের প্রচলন রয়েছে। আর আপনাকে জাপানি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভিসা আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই জানতে হবে কোন ধরনের ভিসা আপনার জন্য প্রয়োজন। 

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায়

আর এ বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার ওপর এবং আপনি কোন বিষয়ে কোর্স করতে চাচ্ছেন তারপরে নির্ভর করবে। যেমন-আপনি যদি অনার্স বা ডিপ্লোমা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সময়ের উপর নির্ভর করে কোর্সের মেয়াদ সিলেক্ট করতে হবে। আর আপনি যদি মাস্টার্স করতে চান সেক্ষেত্রে আলাদা মেয়াদী কোর্সের প্রয়োজন। 

আরোপড়ুনঃ সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার সঠিক উপায় জেনে নিন

এক কথায় বলতে গেলে, আপনি যে লেভেল কমপ্লিট করার উদ্দেশ্যে জাপানে যেতে চাচ্ছেন।সে কোর্সটি কমপ্লিট করতে আপনার যত সময়ের প্রয়োজন, তার উপর নির্ভর হয়ে থাকে আপনার জন্য কোন ধরনের ভিসা প্রয়োজন। আশা করছি এ বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। তো চলুন এখন জেনে নেয়া যাক, বর্তমান সময়ে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য জাপানে কোন মেয়াদের কোর্স চালু আছে।

বর্তমান সময়ে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য জাপানে তিন ধরনের মেয়াদী কোর্স চালু রয়েছে। সেগুলো কি কি এবং কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

শর্ট টার্ম ভিসাঃ আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে যে কোর্সটি করতে চান, সে কোর্স টি করতে আপনার যদি ৯০ দিনের কম সময় লাগে সে ক্ষেত্রে আপনি শর্ট টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন । এ ধরনের ভিসার জন্য আপনি ৯০ দিনের বেশি থাকতে পারবেন না।

মিড টার্ম ভিসাঃ আপনি যে কোর্সটি করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে চাচ্ছেন। সে কোর্সটি কমপ্লিট করতে যদি আপনার ৯০ দিনের বেশি এবং ২০ সপ্তাহের কম সময়ের প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনি মিড টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

লং টার্ম ভিসাঃ আপনি যে কোর্সটি করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে যেতে চান। সে কোর্স টি কমপ্লিট করতে আপনার যদি ২০ সপ্তাহের বেশি কিংবা ২ বছরের কম সময়ের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি লং টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এ ধরনের ভিসা পাওয়ার জন্য ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো শিক্ষার্থী এ ধরনের ভিসার আবেদন করতে পারবে।

ওপরের আলোচিত বিষয় গুলো থেকে আপনি অবশ্যই জানতে পেরেছেন যে, আপনার কোর্সের উপর নির্ভর করে কোন ধরনের ভিসা প্রয়োজন। এখন আপনি যদি উপরের সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারেন তাহলে স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য, ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া এবং ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন চলুন সে বিষয়ে আলোচনা করি।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা আপনার খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ-আপনি পৃথিবীর যে দেশেই যেতে চান না কেন, আপনি যদি সঠিকভাবে ভিসার আবেদন করতে না পারেন তাহলে আপনি কখনোই ভিসা পাবেন না। তো চলুন স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আপনি কিভাবে ভিসা আবেদন করবেন সে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করি। 

বর্তমান সময়ে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার কথা চিন্তা করেন। তাহলে আপনি দুইটি উপায় এর মাধ্যমে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবেন। তার মধ্যে প্রথমটি হল- নিজে নিজেই ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। আর দ্বিতীয়টি হল-সরকারি অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা। আর এ বিষয়টি সম্পূর্ণই আপনার উপর নির্ভর করবে। 

আপনি যদি বর্তমান সময়ের তথ্যপ্রযুক্তির সাথে একজাস্ট হয়ে থাকে তাহলে, স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আপনি নিজেই অনলাইন এর মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আপনি যদি মনে করেন আপনি সরাসরি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবেন তাও হবে। 

আরোপড়ুনঃ  জার্মানির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

এখন আপনি যদি মনে করেন কোন এজেন্সির মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাবেন। তাহলে অবশ্যই সে এজেন্সি সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে বুঝে তারপর সকল কার্যক্রম এবং আপনার ডকুমেন্ট জমা দিবেন। কারণ-বর্তমান সময়ে অনেক এজেন্সি হওয়ায় প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সেই এজেন্সি হতে সতর্ক থাকতে হয়। 

এখন আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে যেতে চান তাহলে আপনাকে N5 ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কমপ্লিট করার পর N5 সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি পরীক্ষা দিতে হবে| তারপর আপনার সার্টিফিকেট অর্জন করা হয়ে গেলে জাপানের বিভিন্ন স্কুলে N4 ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম এডমিশনের জন্য আপনি প্রসেস করবেন।

কারণ-আপনার জাপানে যাওয়ার সকল খরচ নির্ভর করবে আপনার জাপানি স্কুলের টিউশন ফি এর উপরে| এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই একজন স্পন্সার দেখাতে হবে এবং তার একাউন্টে মিনিমাম ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা থাকতে হবে।আশা করছি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আপনি কিভাবে ভিসা আবেদন করবেন এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। 

এখন চলুন ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা জাপান যেতে চান বা জাপান যাওয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন। তাহলে এ বিষয়টি জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। কারণ-বর্তমান সময়ে আপনি যে পদ্ধতিই অবলম্বন করে স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যান না কেনো মনে রাখবেন নিম্নে দেওয়া ডকুমেন্টগুলো আপনার অবশ্যই লাগবে।

  • পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন মেয়াদ ছয় মাস থাকতে হবে
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • জাপানি ভাষা শিক্ষার সনদপত্র
  • শিক্ষাগত সার্টিফিকেট
  •  ২ থেকে ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট

ওপরের উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো দিয়ে আপনি খুব সহজেই স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তো চলুন এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করি। স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে কত টাকা খরচ হয়

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে কত টাকা খরচ হবে এটি সম্পূর্ণ আপনার নির্ধারিত কোর্স এবং আপনার সিলেটকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল। কারণ-জাপান একটি উন্নত দেশ এবং বিশ্বের রেংকিং এ থাকা ২০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাপানেই রয়েছে ১৫ একটি বিশ্ববিদ্যালয় যা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থানকারী। 

আরোপড়ুনঃ সরকারি ভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় আপডেট খবর জানুন

এখন আপনি যদি জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ স্কুলে অথবা জাপানিস ইউনিভার্সিটিতে অনার্স ও মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে আসেন সে ক্ষেত্রে আপনার আলাদা আলাদা খরচ হয়ে থাকবে। এখন আপনি যে পর্যায়েই জাপানে জান না কেনো পড়াশোনা করার জন্য, আপনাকে খরচের দিক বিবেচনা করলে প্রথমেই যে দিকগুলো ভাবতে হবে সেটা হল-

  • আপনার এডমিশন
  • আপনার টিউশন ফি
  • ভিসা রিকোয়ারমেন্ট
  • স্পন্সার
  • ট্রাভেল খরচ
  • লিভিং খরচ
  • এজেন্সি খরচ

উপরের উল্লেখিত খরচের খাত গুলোর মাধ্যমে আপনার স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে খরচ হবে। কিন্তু আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে না যান সে ক্ষেত্রে এজেন্সি খরচটা আপনার বেঁচে যাবে। তবে সেটা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনাকে যেতে হয় যা এ প্রক্রিয়া গুলো করা আপনার জন্য এক প্রকার কষ্টসাধ্য এবং ঝামেলা পূর্ণ হতে পারে। 

সেজন্য অনেক স্টুডেন্টই বর্তমান সময়ে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ করে থাকে। এখন আপনি যদি জাপানিস ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করতে আসেন কোন এজেন্সির মাধ্যমে তাহলে সর্বনিম্ন ৯ লক্ষ্য থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আর আপনি যদি বর্তমান সময়ে জাপানিজ ইউনিভার্সিটি থেকে কোন বিষয়ে। 

অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে আসেন তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ১২ লক্ষ্য থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে শুধুমাত্র টিউশন ফি পরিশোধ করার জন্য। এছাড়াও এর সাথে আরো যে বিভিন্ন খরচ আছে সেগুলো একসাথে করলে আপনার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। আশা করছি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে কত টাকা খরচ হবে এ বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। 

এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে গেলে আপনাদের কি কি সুবিধা হবে এ বিষয়ে।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে যাওয়ার সুবিধা

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে যেতে চান তাহলে অবশ্যই এ বিষয়টি জেনে রাখা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-বর্তমান সময়ে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে জাপানে যেতে পারলে সে খানে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। আর তার মধ্যে থেকে সব থেকে বড় সুবিধাটি হল-জাপানে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতি মাসে পার্ট টাইম জব করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারা। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই জাপানিজ ভাষায় নিজেকে পারদর্শী করে তুলতে হবে।

জাপানে পড়াশোনার জন্য অনার্স না মাস্টার্স ভালো

আপনি যদি জাপানে পড়াশোনার জন্য যাওয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এ বিষয়টি জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-জাপানে অনার্স ও ডিপ্লোমা থেকে মাস্টার্স এর জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এখন আপনি যদি এ বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য কোন পর্যায়ে জাপানে যাওয়া ভালো হবে এ বিষয়টি বুঝতে পারবেন। 

আরোপড়ুনঃ কম খরচে ইউরোপের কোন দেশগুলোতে যাওয়া যায় আপডেট খবর

আপনি যদি জাপানে অনার্স এবং ডিপ্লোমা করতে চান তাহলে আপনাকে সময় এবং অর্থ দুটোই বেশি প্রদান করতে হবে। কারণ জাপানে অনার্স এবং ডিপ্লোমার জন্য তেমন কোন কলারশিপ প্রদান করা হয় না। আর আপনি যদি জাপানে মাস্টার্স করার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্কলারশিপ এর মত সুবিধা পাবেন।

এবং অর্থের দিক থেকে অনেকটাই সাশ্রয় হবেন। তাহলে অবশ্যই আপনি এখন বুঝতে পারছেন যে স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে কোন পর্যায়ে যাওয়াটা আপনার জন্য ভালো হবে। এখন আপনার সাথে আলোচনা করব আপনি কেন জাপানে পড়াশোনা করতে আসবে এ বিষয়ে।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে কেন আসবেন

আমরা সকলেই জানি জাপান একটি উন্নত রাষ্ট্র। এবং বিশ্বের স্বনামধন্য ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাপানে রয়েছে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়। এখন আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপান পড়াশোনার দিক দিয়ে কতটা এগিয়ে আছে। এছাড়াও জাপানে পুরো পৃথিবী থেকে প্রত্যেক বছর প্রায় কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য আছে। 

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায়

এবং জাপানে স্টুডেন্ট ভিসায় আসার সব থেকে মজার বিষয়টি হলো আপনি চাইলে জাপানে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম ও ফুল টাইম চাকরি করতে পারবেন। এছাড়াও জাপান এমন একটি দেশ যেখানে আপনি ভ্রমণের জন্য পৃথিবীর সেরা দেশগুলোর মধ্যে জাপানকে রাখতে পারেন। কারণ জাপানের সংস্কৃতি ও আবহাওয়া আপনাকে এতটাই মনোমুগ্ধ করবে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। 

আরোপড়ুনঃ পোলান্ডে ওয়ার্কার ভিসার জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত

তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন যে দেশে আপনি পড়াশোনার মান উন্নত এবং পড়াশোনার পাশাপাশি একটা ভালো ইনকাম সোর্স পাবেন এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আছে এমন একটি দেশে যেতে চাইবেন কিনা। আশা করছি স্টুডেন্ট ভিসা জাপানে কেন আসবেন এ বিষয়টি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে ১০০% গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি। স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায় ও স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে কি কি যোগ্যতা এবং কাগজপত্রের প্রয়োজন এবং স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যেতে কত টাকা খরচ হয় এ সকল বিষয় গুলোর সঠিক তথ্য আপনি জানতে পেরেছেন। 

এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন এবং এ ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করতে চান তাহলে আপনি রেইন ওয়েব জোনের সাথেই থাকবেন। এবং এ পোস্ট সম্পর্কিত আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামতটি জানাবেন। ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url