চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

আপনি কি চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক পোস্টে ক্লিক করেছেন। কেননা-আজ আমি এ আর্টিকেলে চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় ও মেছতার দাগ দূর করার উপায় এবং মেছতা দূর করার ক্রিম সম্পর্কে আপনার সাথে আলোচনা করবো। 

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

আপনি যদি এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে, আমি আপনাকে গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি যে, চিরতরে মুখের মেছতা দূর করার উপায় ও ত্বকে মেছতার দাগ দূরীকরণ এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার সকল উপায় গুলো আপনি একদম সঠিকভাবে জানতে পারবেন।

পোষ্ট সুচিপত্রঃ চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

চিরতরে মেস্তা দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে থাকা সকলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-বর্তমান সময়ে ক্রমশই বেড়েই চলছে এ সমস্যাটি।আর মেছতা এমন একটি সমস্যা যা ত্বকের সৌন্দর্য কেড়ে নেয়। আমরা সকলেই চায় সুন্দর এবং উজ্জ্বল ত্বক যাতে আমাদেরকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় লাগে। আর সুন্দর এবং উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা কমবেশি সকলেই অনেক সচেতন থাকি। 

কিন্তু মেছতা এমন একটি সমস্যা যা আপনার সেই সচেতনতাকে নষ্ট করে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য হানি ঘটায়। তাই আজ এ আর্টিকেলে ত্বকের মেছতা দূর করার সকল উপায় গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এখন-আপনি যদি চিরতরে মেছতা দূর করতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনাকে সবার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে সেটি হল-মেছতা কি এবং ত্বকে মেছতা হওয়ার কারণ সম্পর্কে। 

কারণ-আপনি যদি কোন সমস্যার কারণ গুলো সঠিকভাবে জেনে থাকেন, তাহলে সে সমস্যাটি দূর করতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করবে। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি মেছতা জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আপনি এ আর্টিকেলটির স্টেপ বাই স্টেপ সকল বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

তাহলে আপনি ১০০% সঠিক উপায়ে মেছতা দূর করার সকল উপায়গুলো জানতে পারবেন। যা আপনার ত্বকের মেছতা দূর করবে এবং অন্য কেউ এ সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সাহায্য করতে পারবেন।

আগে জেনে নিন মেছতা কি

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে মেছতা আসলে কি এবং কি কারনে ত্বকে মেছতা জনিত সমস্যা হয়ে থাকে।

মেছতাঃ মেছতা হল ব্রাউন কালারের এক ধরনের স্পট। মেছতা সাধারণত ছোট ছোট আকারের বাদামী রঙের ছোপ ছোপ দাগ। যেটা সাধারণত দেখা যায় আমাদের কপালে, গালের ওপরে ও কারো কারো ক্ষেত্রে নাকের ওপরে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে গালের নিজ ভাগেও এ সমস্যাটি দেখা যায়। আর এ সমস্যাটি ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের যে অংশগুলো সূর্যের আলোর স্পর্শে থাকে মূলত সেসব জায়গায় মেস্তাজনিত সমস্যা দেখা যায়।

ত্বকে মেছতা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে নিন

বর্তমান সময়ে মেছতা জনিত সমস্যাটি প্রায় মানুষের দেখা যায়। আর সে মেজতা জনিত সমস্যাটি আমাদের শরীরে কেন হয়ে থাকে এ বিষয়টি অনেকেই জানিনা। তো চলুন ত্বকে মেছতা হওয়ার কারণগুলো আমরা জেনে আসি। আমাদের ত্বকে মেছতা হওয়ার সর্বপ্রথম যে কারণটি রয়েছে সেটি হল-সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রে । 

এখন-সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রে, নাম শুনলেই অনেকে মনে করেন যে সেটি হচ্ছে সূর্য রোশনি থেকে। আসলে কি তাই শুধু বিষয়টি তা না। যারা বাইরে যাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে সূর্য রোশনি যখন গায়ে এসে পড়ছে সেক্ষেত্রে আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্নি ডেফিনেটলি আপনার এক্সপোজ হচ্ছে। কিন্তু যে সকল মায়েরা, খালারা. বোনেরা দিনের বেশিরভাগ সময়ে।

ঘরের ভেতরে থেকে রান্নাঘরে কাজ করে থাকে তারাও আল্ট্রা ভায়োলেট হচ্ছেন। কারণ-আমরা অনেকেই জানিনা সান লাইফ ইউজ এর ব্যাপারে। এছাড়াও আজকালকার দিনে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে এডাল সবাই কিন্তু কোন না কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস এর সাথে সম্পর্কিত থাকে। আর এ ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমেও আমরা আল্ট্রাভায়োলেট এক্সপোস হচ্ছে আমরা। 

এরপর যে কারণটি রয়েছে ত্বকে মেছতা হওয়ার জন্য সেটি হল-হরমোনাল ইস্যু। হরমোন কিন্তু অনেক ইম্পরট্যান্ট একটি কারণ-যেমন প্রেগনেন্সি। প্রেগনেন্সির সময়ে আমাদের শরীরের কিছু হরমোন বেড়ে যায় আবার কিছু হরমোন কমে যায় যার কারণে এ ধরনের মিথ্যা গুলো দেখা যায়। আবার ডেলিভারি হওয়ার পর কিছুটা কমে আসলেও সম্পূর্ণভাবে কিন্তু কমে যায় না। 

এ ছাড়াও জন্মবিরতিকরণ পিল আমাদের দেশের অনেক মায়েরা বোনেরা অনেক লম্বা টাইম ধরে নিয়ে থাকেন যার কারণে ত্বকে মেজতা হয়ে থাকে। আবার জেনেটিক বা বংশগত কারণেও মেছতা হয়ে থাকে। ত্বকে মেছতা হওয়ার জন্য টক্সিন, থাইরয়েড এবং ক্যালসিয়াম ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকে মেছতা হওয়ার আরেকটি সবথেকে বড় কারণ হলো-ত্বকের রং ফর্সা কারী ক্রিম ব্যবহার করা। 

এছাড়াও আপনার যদি লিভারের কোন প্রকার প্রব্লেম থেকে থাকে তার থেকেও আপনার ত্বকে মেজতা জনিত সমস্যা হতে পারে।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনি জানলেন মেছতা কি এবং ত্বকে মেছতা হওয়ার কারণ সম্পর্কে। আশা করছি এ বিষয়গুলো আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে।

মেছতা দূর করার উপায় সমূহ

আমরা সকলেই সুন্দর এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে কমবেশি সচেতন থাকি। কিন্তু মেছতা আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে ফেলে। অনেকেই আবার মেছতার দাগ নিয়ে বিভিন্ন দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকেন। তবে বর্তমান সময়ে আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে ত্বকের মেছতা দূর করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসা সৃষ্টি করেছে। যা সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করার পর আপনার ত্বকের এই মেস্তা ভালো হবে।

ত্বকের মেছতা দূর করার জন্য আপনি দুইটি পথ অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-চিকিৎসা পদ্ধতি ট্রিটমেন্ট এবং ঘরোয়া পদ্ধতি। আপনার সুবিধার্থে এ দুটি বিষয় নিয়েই  আলোচনা করব যাতে করে আপনারা কোন প্রকার ভুল ট্রিটমেন্ট বা পদ্ধতি অনুসরণ না করেন। তো চলুন চিরতরে মেস্তা দূর করার উপায় গুলো কি কি তা নিয়ে আলোচনা করি।

মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

মেছতা দূর করার জন্য সবচাইতে ভালো পদ্ধতি হল প্রাকৃতিক উপায়। এই উপায়ে মেছতা দূর করতে তেমন কোন খরচ হয় না আর স্কিনে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতা দূর করতে আপনাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এটা আপনারা সঠিক নিয়মগুলো জেনে আপনার ইচ্ছামতই করতে পারবেন। আর হ্যাঁ একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন যে, প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করে আপনি যদি ত্বকের মেছতা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। 

আলুর রসঃ ত্বকের মেছতা দূর করতে আলুর রস অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ-আলুতে থাকা স্টার্চ যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। যার জন্য প্রথমে আলুর খোসা ছাড়িয়ে আলুকে পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর ছাকনি দিয়ে পেস্ট করা খোসা থেকে রস বের করে মেছতা জনিত স্থানে লাগাতে হবে। আধা ঘন্টা পর হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে একদিন পরপর মেছতা ভালো না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করবেন।

হলুদঃ হলুদ ত্বকের মেছতা দূর করতে ভীষণ কার্যকরী। হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য হলুদ ভালোভাবে বেটে অথবা পেস্ট করে নিয়ে সন্ধ্যার পর ত্বকের মেছতা জনিত স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে বিশ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের মেছতা দূর হয়ে যাবে।

লেবুর রস এবং মধুঃ ত্বকের মেছতা দূর করতে লেবুর রস এবং মধু অত্যন্ত কার্যকর। কারণ-লেবুর রসে আছে ভিটামিন সি আর এই ভিটামিন সি এর সঙ্গে মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান মিশালে তার গুণাগুণ অনেক বেড়ে যায়। লেবুর রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মুখের মেছতা জনিত স্থানে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখবেন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে ত্বকের মেজতা এবং বিভিন্ন স্পট দূর হয়ে যাবে নিমিষেই।

পাকা পেঁপে ও লেবুর রসঃ পাকা পেঁপে ত্বকের মেছতা দূর করতে অনেক সাহায্য করে থাকে। কেননা-পাকা পেপেতে ভিটামিন ই অনেক বেশি পরিমাণে থাকে আর ভিটামিন এ আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ব্যাপক কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। এবং এর পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যাপক সাহায্য করে। ২ চামচ পাকা পেঁপের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে মুখের মেছতা জনিত স্থানে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এরপর ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করবেন। তাহলে দেখবেন আপনার ত্বকের মেছতা গুলো চিরতরে দূর হয়ে যাবে।

টমেটো ও অলিভ অয়েলঃ টমেটো ত্বকের মেছতা দূর করতে সবচেয়ে বেশি উপকারী। টমেটোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। সে জন্য চার চামচ টমেটোর রস ও অল্প পরিমাণ ময়দা এবং এর সঙ্গে হাফ চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মেছতা জনিত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করবেন। এভাবে প্রতিদিন আপনি যদি টমেটো ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন তাহলে মেজতা খুব দ্রুত ভালো হবে।

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

মুলতানি মাটি ও মধুঃ মুলতানি মাটিকে আমরা অনেকেই ফেসিয়াল প্যাক হিসেবে চিনে থাকি। কিন্তু এ মুলতানি মাটি ত্বকের মেছতা দূর করতে ব্যাপক সহায়তা করে। কারণ-মুলতানি মাটি তাকে ব্যবহার করলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হতে থাকে, যার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। আপনি যদি এক চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে হাফ চামচ মধু এবং পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখেন তাহলে আপনার মুখের মেছতা চিরতরে দূর হয়ে যাবে। মুলতানি মাটি ও মধু এবং গোলাপজল এভাবে নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করবেন।

টক দইঃ টক দই আমাদের ত্বকের স্কিনের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। তিন চামচ টক দই ভালোভাবে ফেটিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মেছতা যোনিত স্থানে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে দিবেন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে ফেলুন, শীতের সময় হলে অবশ্যই হালকা গরম পানি ব্যবহার করবেন। এভাবে আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করে ব্যবহার করতে থাকবেন।

চিয়া সিডঃ চিয়া সিড আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী অপাদান। আপনি যদি ২ চামচ চিয়া সীড হাফ কাপ পানির মধ্যে ৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর হাফ চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ ময়দা ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকের মেছতা জনিত স্থানে লাগান তাহলে আপনার ত্বকের মেছতা চিরতরে দূর হবে। সেজন্য চিয়া সিড ও লেবুর রস এবং ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে ত্রিশ মিনিটের জন্য তোকে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করবেন।

শসাঃ ত্বকের মেছতা দূর করতে শসা অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। শসা পেস্ট করে দুই চামচ পরিমাণ সসার রস ও এক চামচ বেসন এবং এক চামচ গোলাপ জল ভালো হবে মিশিয়ে যেখানে মেছতা বা  মেসতার দাগ রয়েছে সেখানে লাগাবেন। লাগানোর বিশ মিনিট পর ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের মেছতা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।

গরুর দুধঃ গরুর দুধ আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভালো একটি উপাদান।৩ চামচ গরুর দুধ এবং এক চামচ ময়দা ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা ও পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দিন থেকে চারদিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের মেছতা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে।

ডিমঃ আপনি যদি ডিমের সাদা অংশ নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের মেছতা এবং মেস্তার দাগ অনেকটাই দূর হবে। সেজন্য আপনাকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে পেস্ট করে মুখের মেছতা জনিত স্থানে লাগাতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ দিয়ে ফেলবেন। এভাবে নিয়মিত ডিমের ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করবে।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখের মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব মেজতা দূর করার মেডিকেল ট্রিটমেন্ট গুলো কি কি সে সম্পর্কে।

মেডিকেল ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে মেছতা দূর করার উপায়

বর্তমান সময়ে ত্বকের মেছতা দূর করার জন্য বেশিরভাগ মানুষই মেডিকেল ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। আর আপনি যদি মেস্তার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চান তাহলে অবশ্যই একজন ডার্মাটোলজিস্ট এর সাহায্য নিতে হবে। কারণ-অনেক সময় মেডিকেল ট্রিটমেন্ট গুলো আপনার ত্বকে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কি করতে পারে। 

তাই মেডিকেল ট্রিটমেন্ট গুলো নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তারপর এ ধরনের ট্রিটমেন্টগুলো নিবেন। মেছতা নিরাময় করার জন্য কতগুলো মেডিকেল ট্রিটমেন্ট রয়েছে। আর মেছতা দূর করতে বেশ কার্যকরী যে ট্রিটমেন্টগুলো রয়েছে সেগুলোর নাম নিম্নে দেওয়া হল-

  • লেজার ট্রিটমেন্ট
  • লাইট থেরাপি
  • কেমিক্যাল পিলস
  • মাইক্রোডার্মাব্রেশন
  • ডার্মাব্রেশন

উপরের উল্লেখিত  ট্রিটমেন্টগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনি মেছতা জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। কিন্তু আপনারা অবশ্যই মনে রাখবেন যে অপরের ট্রিটমেন্ট গুলো ব্যবহার করার পরেও আপনাকে মেস্তার হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই সান প্রোডাকশন ব্যবহার করতে হবে।

মেছতা দূর করার হোমিও ওষুধ

বর্তমান সময়ে মেছতা অতি পরিচিত একটি সুন্দর্য নষ্টকারী অসুখ। এবং মেছতা দূর করার জন্য অনেকে অনেক রকম ক্রিম বা ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু হয়তো সে ক্রিম বা ট্রিটমেন্টগুলোতে কারো কারো ক্ষেত্রে তেমন কোন উপকারিতা মেলেনা। কারণ-আমাদের হিউম্যান বডিতে কোন ধরনের স্টেটমেন্ট বা ওষুধ সব থেকে বেশি কাজ করে থাকে তা হয়তো আমাদের অজানা।

ঠিক এরকম যদি বিষয় হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। কারণ মেছতার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি অধিক পরিচিত এবং খুব দ্রুত কাজ করে থাকে। তবে এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ আপনাকে দীর্ঘদিন সেবন করতে হবে। ত্বকের মেছতা ও মেছতার দাগ দূর করতে যে সকল হোমিওপ্যাথি ওষুধ গুলো রয়েছে 

সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ হলো বার্বারিস একোপলিয়াম। এছাড়াও ত্বকের মেছতার লক্ষণ ভেদে সিফিলিনাম,কেলিব্রাম, আর্সেনিক, সিফিয়া নামক হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। আপনার উদ্দেশ্যে একটি কথা বলে রাখি, হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই আপনি একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। কখনোই কোন হোমিওপ্যাথি ওষুধ আপনি নিজে নিজে সেবন করবেন না।

মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম

বর্তমান সময়ে যেমন মেছতা জনিত সমস্যাটি ব্যাপক পরিমাণে দেখা যায়, যার ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কোম্পানিগুলো এ সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন রকমের ক্রিম বাজারজাত করা হয়েছে। আর এ সকল ক্রিমের মধ্য থেকে যে ক্রিমগুলো মেছতা জনিত সমস্যায় ভালো কাজ করে থাকে সে ক্রিম এর নাম গুলো আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করব।

  • Neocort cream
  • Betavate N cream 
  • Betameson N cream
  • Nospot cream
  • Trimela cream
  • Triclean cream

উপরে যে ক্রিম এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে সে ক্রিমগুলো আপনি মেছতা এবং মেছতার দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। উল্লেখিত ক্রিমগুলো আপনি বিভিন্ন কসমেটিক দোকানে পেয়ে যাবেন এবং এ উল্লেখিত ক্রিমগুলোর দাম সর্বনিম্ন ১৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।

মেছতা দূরীকরণে কিছু কার্যকারী সতর্কতা

মেছতা দূর করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর আপনি যদি এ সতর্কতা গুলো অবলম্বন না করে থাকেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে, যে আবারও আপনার মেছতা জনিত সমস্যাটি ফিরে আসতে পারে। তো চলুন চিরতরে মেছতা দূর করার জন্য আপনাকে কি কি সতর্কতা গুলো অবলম্বন করতে হবে তা জেনে নিন।

  • দিনের বেলা রোদে বের হলে আপনাকে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
  • সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত কার রোদ থেকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
  • অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে লেখক এর মতামত

প্রিয় পাঠক আপনি যদি এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি যে, চিরতরে মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও মেছতা দূর করার জন্য মেডিকেল ট্রিটমেন্ট এবং মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম সম্পর্কে আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। 

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠক সুন্দর এবং উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা সকলেই অনেক সচেতন থাকি বা চেষ্টা করি। কিন্তু ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। আর তার মধ্যে মেছতা এবং ব্রণ হল সব থেকে বেশি। তাই মেজতা জনিত সমস্যা নিয়ে অনেকেই বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন মানুষের পরামর্শে বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে। যার ফলে আপনার ত্বকের মেছতা দূর হয় না বরং আরো বিভিন্ন ত্বকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে। 

প্রিয় পাঠক ত্বকের মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে আমি আপনাকে বলব কেমিক্যাল যুক্ত ওষুধ ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনার ত্বকের মেছতা দূর করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার ত্বক থাকবে সুন্দর এবং সুস্থ ও ভবিষ্যতেও কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার ত্বকে দেখা দিবে না। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন এবং এ ধরনের আরও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়তে চান? তাহলে আপনি অবশ্যই রেইন ওয়েব জনের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url