থানকুনি পাতা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা জেনে নিন
আপনি কি থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা গুলো জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এ আর্টিকেলটি সম্পন্ন আপনার জন্য। কেননা, এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি থানকুনি পাতা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন, এছাড়াও আপনি থানকুনি পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
আপনি যদি এ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন। তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি যে, থানকুনি পাতা খাওয়ার সকল উপকারিতা এবং থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম গুলো আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ থানকুনি পাতা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা জেনে নিন
- থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- থানকুনি পাতা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা
- চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা
- যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা
- থানকুনি পাতা খাওয়ার ফলে কি ফর্সা হওয়া যায়
- থানকুনি পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা গুলো আপনি যদি না জেনে থাকেন। তাহলে আপনি এ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কেননা, থানকুনি পাতা আমাদের মানব জীবনকে বিভিন্ন কঠিন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও থানকুনি পাতার রোগ নিরাময় ক্ষমতার ওপর বিভিন্ন দেশের মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থা প্রাচীনকাল থেকে রয়েছে।
যেমন-বাংলাদেশ,-ভারত, মালয়েশিয়া, ইরান, সিঙ্গাপুর, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে থানকুনি পাতাকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। থানকুনি এমন একটি জাতীয় উদ্ভিদ যার বিভিন্ন ধরনের ওষুধি গুনাগুন রয়েছে। যা আপনার শরীরে দীর্ঘদিন থাকা রোগকে নিরাময় করতে পারে এই থানকুনি পাতা।
আরোপড়ুনঃ নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
থানকুনি পাতা প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত হলেও বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক এর নাম আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যেমন-তিতুরা পাতা, আদামনি পাতা, টেয়াপাতা, ঢোলামানি পাতা, থুলকুঁড়ি পাতা, থানকুনি পাতা, মানকি পাতা, ধুলাবেগুন পাতা, আদা গুন গুনি পাতা ইত্যাদি। আপনি হয়তো এতক্ষণ নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে থানকুনি পাতা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন নামে ওষুধী হিসেবে।
ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ, একজিমা এবং সরিয়াসিসের মত জটিল ত্বকের রোগ নিরাময় করতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির ভূমিকা অপরিসীম। তেমনি এই থানকুনি পাতায় একাধিক খনিজ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এবং ভিটামিন সি থাকাই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ত্বক ও মারির বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। থানকুনি পাতার ঠিক এরকমই আরো ২০টি ওষুধী গুণাবলি গুলো এখন আপনার সাথে আলোচনা করব।
থানকুনি পাতা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা
থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওষুধি গুনাগুন। যা মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তো চলুন এখন আমরা থানকুনি পাতা খাওয়ার ফলে কোন কোন রোগগুলোকে সহজে নিরাময় করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি।
জ্বর নিরাময়ঃ প্রত্যেক মানব জীবনের ক্ষেত্রে জর একটি অতি পরিচিত অসুখ। যা প্রত্যেক মানুষকে অস্বস্তিকর মুহূর্তে নিয়োজিত করে রাখে। যদি এ মুহূর্তে আপনার শরীরে জ্বর থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি থানকুনি পাতা খেতে ভুলবেন না। কারণ-থানকুনি পাতা জ্বর নিরাময় করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সে জন্য আপনাকে সকালে খালি পেটে এক চামচ থানকুনি পাতার রস এবং এক চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর অতি দ্রুত নির্মূল হবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ শরীরের হজম শক্তি কম হলে থানকুনি পাতার রস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সেক্ষেত্রে থানকুনি পাতার রস সকালে খালি পেটে খেতে হবে। এছাড়াও আপনি পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে রান্না করে ২০ থেকে ৩০ দিন খেলেও দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
গ্যাস্ট্রিকঃ বর্তমান সময়ে প্রত্যেক মানুষই বিভিন্ন কারণে নানা সময়ে গ্যাস্ট্রিক এর মত যন্ত্রণাদায়ক রোগের শিকার হয়ে থাকে। আর এ গ্যাস্ট্রিক নির্মল করতে মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে থানকুনি পাতা। সে জন্য আপনাকে আধা কেজি গরুর দুধের সঙ্গে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি ও ১৭০ থেকে ১৯০ গ্রাম থানকুনি পাতার রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়মিত এক সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভালো হয়।
খুশখুশি কাশিঃ আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং ঠান্ডা জনিত কারণে ও বিভিন্ন সময়ে আমাদের খুশখুশি কাশি হয়ে থাকে। আর এ খুসখুশি কাশি নিরাময় করতে থানকুনি পাতা অত্যন্ত কার্যকর। সেজন্য দুই চামচ থানকুনি পাতার রস ও সামান্য পরিমাণ চিনি একসঙ্গে খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুশি কাশি ভালো হয়। এবং এ নিয়মে এক সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি খুসখুশি কাশি ভালো হয়ে যায়।
সর্দি নির্মলঃ ঠান্ডা কিংবা অন্যান্য কারণে আপনার যদি সর্দি হয়ে থাকে তাহলে থানকুনির শিকড় খেলে সর্দি ভালো হয়।
পেটের সমস্যাঃ আমাদের প্রত্যেকেরই কমবেশি পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে থাকে। সেজন্য অল্প পরিমাণ আম গাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা অল্প পরিমাণে, কাঁচা হলুদের রস ও ৩/৪টি থানকুনি গাছের শিকড় ভালো করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে ৭ থেকে ১০ দিন খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়।
রক্ত দূষণঃ মানব শরীরের বিভিন্ন কারণে রক্ত দূষণ হয়ে থাকে। আর শরীরের রক্ত দূষণের হাত থেকেও রক্ষা করে থাকে থানকুনি পাতা। সেজন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চার চামচ থানকুনি পাতার রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে সাত দিন খেতে হবে।
আমাশয় নিরাময়ঃ মানব শরীরের অতি পরিচিত একটি রোগ হল আমাশয়। আর এ আমাশয় থেকেও রক্ষা করে থাকে থানকুনি পাতা। আমাশয় থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন সকালে ৪/৫ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে সাতদিন খেলে আমাশয় ভালো হয়।
পেট ব্যথাঃ বিভিন্ন সময়ে অকারনেই পেটের ব্যথা হয়ে থাকে। আর এ ধরনের পেট ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেটব্যথা ভালো হয়।
লিভারের সমস্যাঃ মানব শরীরে যদি লিভারের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে থানকুনি পাতা মহাওষুধ হিসেবে কাজ করে লিভারের সমস্যা নিরাময় করার জন্য। সেজন্য প্রতিদিন সকালে এক চামচ থানকুনি পাতার রস ও ৫/৭ ফোটা হলুদের রস এবং সামান্য চিনি ও মধুসহ একমাস খেলে লিভারের সমস্যা ভালো হয়।
আঘাত জনিত ব্যথাঃ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত বা কোন স্থান থেতলে গেলে সে স্থানে থানকুনি পাতার গাছ পেতে অল্প গরম করে সে স্থানে প্রলেপ দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ত্বকের লাবণ্যঃ ত্বকের লাবণ্যতা কমে গেলে ৫-৭ চামচ থানকুনি পাতার রস এবং দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ৭-১৫ খেলে ত্বকের লাবণ্যতা ফিরে আসবে।
দেহের ক্ষতস্থানঃ থানকুনি পাতার রস ঘী এর সঙ্গে জাল দিয়ে তা ঠান্ডা করে সে ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষতস্থান ক্ষতি দূরত্ব ভালো হয়।
চুলের সমস্যাঃ আমাদের অনেকেরই দেখা যায় অল্প বয়সে কিংবা মাঝারী বয়সে চুলের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। যা অপুষ্টি ও ভিটামিনের অভাবে হয়ে থাকে এবং মাথার চুল ঝরে পড়ে। সে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চামচ থানকুনি পাতা রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ১৫- ৩০ তিন খেলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃ ছোট বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত থানকুনি পাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী। কেননা নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং Pentacyclic Triterpenes নামক উপাদানের বৃদ্ধি ঘটে থাকে। যার ফলে ব্রেন সেলের ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি উন্নতি হয়ে থাকে।
অনিদ্রাঃ আপনি যদি অনিদ্রার মত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই আপনি থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করুন। কারণ থানকুনি পাতায় একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকায় শরীরের নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে। যার ফলে অনিদ্রার মতো সমস্যা অতি দ্রুত নির্মূল করতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা।
শরীরের ক্ষতিকর উপাদানঃ আমাদের মানব শরীরে নানাভাবে প্রবেশ করা টক্সিক উপাদানকে যদি বিয়ের না করা হয়, তাহলে এইসব ক্ষতিকর প্রধান গুলি মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলির মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। সেজন্য থানকুনি পাতার রস সেবনের ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান গুলো বের করতে সাহায্য করে থাকে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর দুই চামচ থানকুনি পাতা রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে। যার ফলে শরীরের কোন ধরনের ক্ষতি কর উপাদানগুলো মানব শরীর থেকে নির্মূল হবে।
88900uyপ্রিয় পাঠক উপরের উল্লেখিত অপকারিতা ছাড়াও থানকুনি পাতার আরো কিছু বিশেষ উপকারিতার দিকও রয়েছে। এখন আমি আপনার সাথে আরও উপকারিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি নিম্নের উপকারিতা গুলোও মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা
চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা অপরিসীম। থানকুনি পাতা ত্বকের যত্নেও যেমন উপকারী তেমনি চুলের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। এই পাতার রস ব্যবহার করলে চুলের কার্যকারিতা বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তাহলে চলুন থানকুনি পাতা চুলের কি কি উপকারে আসে সে সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
চুল পড়াঃ থানকুনি পাতা চুল পড়া কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার যদি অস্বাভাবিক চুল পড়া সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই থানকুনি পাতার ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি থানকুনি পাতার রস খেতে হবে এবং নিয়ম করে থানকুনি পাতা রস মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।
নতুন চুল গজাতেঃ থানকুনি পাতার সেবন এবং ত্বকে ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া কমিয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি থানকুনি পাতার রস নিয়মিত মাথার ত্বকে ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল ঘন স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
চুলের বৃদ্ধি ঘটাতেঃ থানকুনি পাতার রস সেবনের ফলে শুধুমাত্র চুল পড়া এবং নতুন চুল গজাতেই সাহায্য করে থাকে না এছাড়াও চুল বৃদ্ধি করতেও থানকুনি পাতার গুরুত্ব অপরশীম। থানকুনি পাতার রস নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল অনেক লম্বা এবং ঘন কালো হবে।
মাথার খুশকি দূর করতেঃ খুশকি আসলে তেমন কোন একটি রোগ নয়। যা প্রত্যেক মানুষের কম বেশি হয়ে থাকে। খুশি হল মাথার মৃত কোষ, যা পুনরায় আবারও নতুন রূপে ফিরে আসে। আর মাথার খুশকি দূর করতে থানকুনি পাতার রস ব্যবহার করলে যথেষ্ট।
যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা
- যৌবন ধরে রাখতে বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ভেষজ উপাদান হিসেবে থানকুনি পাতা ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। এই থানকুনি পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় তেমনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সেটি বজায় থাকে। এখন আপনি যদি আপনার সৌন্দর্য বা যৌবন ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ধানকুনি পাতার রস সঠিক নিয়মে খেতে হবে।
- থানকুনি পাতায় যে উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো মানব জীবনে ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সেজন্য আপনাকে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে পাঁচ থেকে ছয় চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেতে হবে। যার ফলে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য ও তারুণ্যতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে দীর্ঘদিন। এছাড়াও ত্বককে এমনভাবে লাবণ্য ময় করে তুলবে।
- যা আপনার চেহারার সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে। থানকুনি পাতার রস খাওয়ার ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং মৃত কোষগুলোকে পূর্ণ গমন করে ত্বক কমলো মিশ্রণ করে তুলে। যা আগের তুলনায় আপনাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় এবং সৌন্দর্যময় করে তুলবে।
থানকুনি পাতা খাওয়ার ফলে কি ফর্সা হওয়া যায়
থানকুনি পাতা ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। আপনি যদি এর থানকুনি পাতা সঠিক নিয়মে এবং পর্যাপ্ত আরো উপাদানগুলো মিশিয়ে সেবন করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। থানকুনি পাতার রস দুধের সাথে এবং তার সঙ্গে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে
আরোপড়ুনঃ বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
নিয়মিত এক মাস সেবন করলে আপনার ত্বকের দ্রুত উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ও আপনার মানব শরীরের আরও নানান ক্ষতিকর রোগের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
থানকুনি পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
থানকুনি পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। কেননা থানকুনি পাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। যা সেবনের ফলে মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়ে থাকে। এবং প্রাচীনকাল থেকেই থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে মানব সভ্যতায়। থানকুনি পাতা রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময় করার জন্য।
এ পাতার সঙ্গে সঠিক নিয়মে আরো কৃত্রিম উপাদান কিছু যুক্ত করা হয়ে থাকে। আপনার শরীরের রোগের ওপর ভিত্তি করে থানকুনি পাতা সেবন করা হয়ে থাকে। এখন আপনার বিভিন্ন রোগের জন্য থানকুনি পাতা খাওয়ার কিছু আলাদা আলাদা নিয়ম থেকে থাকে। যা অপরের উল্লেখিত উপকারিতার সাথে সেবন পদ্ধতি বলা হয়েছে। আশা করছি রোগের উপর ভিত্তি করে সেই সেবন পদ্ধতিগুলো সঠিকভাবে পালন করবেন।
- থানকুনি পাতা আপনি যদি সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে তার কার্যকারীতা বেশি পাওয়া যায়।
- আপনি যদি সরাসরি চিবিয়ে না খেতে পারেন তাহলে থানকুনি পাতাটিকে সর্বপ্রথম ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে তাকে কোন কিছুর সাহায্যে বেটে সে রস সেবন করবেন।
- অনেকেই থানকুনি পাতার রস সরাসরি খেতে পারেন না তাদের জন্য থানকুনি পাতার রস এর সাথে সামান্য পরিমাণ চিনি বা মধু মিশিয়ে খেতে পারবেন।
থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি যে, আপনি থানকুনি পাতা খাওয়ার সকল উপকারিতার বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। এখন আপনি যদি ধানকুনি পাতা খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার রোগের পলপ ভেদে নির্দিষ্ট পরিমাণ মতো।
প্রয়োজনীয় আরো উপাদান মিশিয়ে তারপর সেবন করবেন। এছাড়াও আপনার সুস্থতা এবং শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনি আপনার নিকটস্থ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। তবে থানকুনি পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি সতর্ক থাকবেন।
কারণ পরিমাণের অতিরিক্ত কোন কিছুই সেবন করা শরীরের জন্য ভালো নয়। প্রিয় পাঠক এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, এবং এ ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনি রেইন ওয়েব জোনের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।
রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url