কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান গুলো জেনে নিন

আপনি কি কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ-এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলো ও কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত এবং কক্সবাজারের আশেপাশে সকল বিচের নামগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান গুলো জেনে নিন

আপনি যদি এ আর্টিকেলটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনি ১০০% শিওর উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারবেন।

পোষ্টসূচিপত্রঃ কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান এর নাম

কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম 

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক অঞ্চল হিসেবে কক্সবাজার সবথেকে বিখ্যাত এবং সুন্দর একটি জেলা। কক্সবাজারে রয়েছে পৃথিবীর সব থেকে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যা ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অখন্ড সমুদ্র সৈকত এবং রয়েছে বিখ্যাত সব দর্শনীয়  স্থানগুলো। কিন্তু আমরা অনেকেই কক্সবাজারের সেই সকল দর্শনীয় স্থান গুলোর সম্পর্কে জানিনা। আর এ বিষয়গুলো না জানার ক্ষেত্রে আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের অনেকাংশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য 

ও মনোরম পরিবেশ গুলো থেকে আপনি বঞ্চিত থাকেন। তাই কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার আগে কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি। তো চলুন সর্বপ্রথম কক্সবাজারের সেই বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম ও সেই স্থান সম্পর্কে অজানা তথ্যগুলো জেনে আসি।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র। ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অখন্ড এ সাগর যা দেশী ও বিদেশি পর্যটকদের সামুদ্রিক উত্তাল ঢেউ এবং মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্তের প্রেমময় মায়াজালে আবদ্ধ করে রাখে। এছাড়াও পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা স্থান হল এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। 

যেখানে শুধু বালুছাড়া কোন কাদার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। প্রতিবছর এ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এবং দেশের বাইরেও বিভিন্ন দেশ থেকে এ সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে ছুটে আসে।

সেন্টমার্টিনঃ বাংলাদেশের দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ হল সেন্টমার্টিন দ্বীপ। যা কক্সবাজার জেলা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ১৭ বর্গ কিলোমিটারের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ। এই দ্বীপ টি টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কক্সবাজার জেলার নাফ নদীতে। অবস্থিত।স্থানীয় ভাষায় এই সেন্টমার্টিনকে নারিকেল জিঞ্জিরা বলে ডাকা হয়। অসীম নীল আকাশের সাথে সমুদ্রের নীল জলের মিতালী এবং সারি সারি নারিকেল গাছ এ দীপকে করেছে অন্যতম।

কক্সবাজার লাবনী বিচঃ কক্সবাজার শহরের সবথেকে নিকটতম স্থানে লাবনী বীচ অবস্থিত রয়েছে। যা পূর্বে কক্সবাজার পুরাতন সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত ছিল কিন্তু বর্তমান সময়ে সে স্থানটি লাবনী পয়েন্ট বা লাবনী বিচ নামে পরিচিত। আর এ বিচটি কক্সবাজারের কলাতলীতে অবস্থিত। 

বর্তমানে লাবনী বিচ পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় একটি জায়গা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আর এর পেছনে রয়েছে প্রাকৃতিক সমুদ্রের সমাহার। যারা মূলত সমুদ্র দেখতে ভালোবাসে এবং সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চাই তারা এই লাবনী বীচে ছুটে আসে।

কক্সবাজার কলাতলী বিচঃ কক্সবাজার ভ্রমণ বিপাসুদের কাছে আরেকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা স্থানটি হল কক্সবাজার কলাতলী বীচ। এটি হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি সি বিচ পয়েন্ট। আর এ পয়েন্ট থেকে সমুদ্র সৈকত এতটাই মনমুগ্ধকর পরিবেশে পর্যটকদের নিয়ে যায় যা অতুলনাময়। আপনারা যারা সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তারা অবশ্যই কক্সবাজার কলাতলী বীচ এ স্থানটি ঘুরে আসতে পারেন।

কক্সবাজার ইনানী বিচঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে এই ইনানী বীচ অবস্থিত। এ স্থানটিও হল সমুদ্র সৈকতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশকে ঘিরেই। কিন্তু কক্সবাজার ইনানী বিচ এর মূল আকর্ষণ হলো-এ বিচটি প্রবাল প্রাচীর দ্বারা ঘেরা সমুদ্র সৈকত। আর এ স্থানটিকে দেখতে প্রায় সেন্টমার্টিন এর মতোই লাগে। 

কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বড় বড় সমুদ্রের ঢেউ দেখা মিলে, কক্সবাজার ইনানী বিচে তেমন বড় বড় সমুদ্রের ঢেউ নেই। কিন্তু নিরিবিরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা সমুদ্রের অপরূপ ময়- প্রাণকেন্দ্র এ কক্সবাজার ইনানী বিচ।

কক্সবাজার হিমছড়ি বিচঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই হিমছড়ি বিচ। এখানকার মূল আকর্ষণটি হল-পাহাড়ের পদদেশ ঘিরে থাকা সমুদ্র সৈকতের এক অপরূপ সৌন্দর্যময় মনমুগ্ধকর জায়গা। আর এ স্থানটি এতটাই পর্যটকদের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া সকল পর্যটক রায় মূলত হিমছড়ি বীচে যাই।

কক্সবাজার রামু বৌদ্ধ বিহারঃ কক্সবাজার আগমনকারী সকল পর্যটকদের কাছেই সবথেকে পছন্দতম স্থানটির নাম হল রামু বৌদ্ধবিহার। কেননা-রামু বৌদ্ধ বিহারে রয়েছে দেখার মত অনেক নিদর্শন। রামুতে সর্বমোট ৩৫ টি বৌদ্ধ মন্দির ও যাদি রয়েছে। রামু বৌদ্ধ বিহারের উত্তর মিটাসরের পাহাড় চূড়ায় রয়েছে। গৌতম বুদ্ধের ১০০ ফুট লম্বা সিংহসজ্জা মূর্তি। 

যা প্রত্যেকটি পর্যটকদের কাছে মনমুগ্ধকর স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়াও গৌতম বুদ্ধের মূর্তির স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই কেন্দ্রীয় সীমা বিহার নতুন করে নির্মিত হয়েছে। এর দক্ষিণে এগিয়ে গেলেই আপনারা দেখতে পাবেন লাল চিং ও সাদা চিং বদ্ধ বিহার। 

এছাড়াও এর আশেপাশে রয়েছে ছোট-বড় আরো অনেক বৌদ্ধ বিহার। সব থেকে বেশি সময় কাটানোর মতন স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম স্থান হচ্ছে রামু। যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামতন কতটুকু সময় ব্যয় করবেন তার ওপর নির্ভর করে রামুর নিদর্শিত স্থানগুলো বেড়াতে সক্ষম হবেন।

কক্সবাজার রামু রাবার বাগানঃ বর্তমান সময়ে এই রামু রাবার বাগানটি দেশের একটি অন্যতম পর্যটক স্থান হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। যেখানে প্রতি নিহত দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক এই রাবার বাগানের রাবারের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে ও বাগানে ঘুরতে আসে। রামু রাবার বাগানটি অনেক খোলামেলা পরিবেশ দ্বারা আবদ্ধ, যা আপনাদের পিকনিক স্পট হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন।

কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলায় পাহারো সমতলের সমন্বয়ে ঐতিহ্যবাহী রামবাগান অবস্থিত। এ রামু রাবার বাগানের আশেপাশে ছোট বড় অসংখ্য পাহাড় বিষস্ত সমতল রয়েছে যা রামু রাবার বাগানের চারপাশকে করেছে অপরূপ সৌন্দর্যময়।

কক্সবাজার মহেশখালী দ্বীপঃ কক্সবাজার মহেশখালী দ্বীপ এটি পর্যটকদের কাছেও একটি অন্যতম স্থান। আর এর নামকরণ করা হয়েছিল বৌদ্ধ সেন মহেশ্বর থেকেই প্রায় ২০০ বছর আগে। যা মহেশখালী দ্বীপ নামে পরিচিত। মহেশখালী উপজেলায় সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা নামে তিনটি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ। 

এ দ্বীপের পর্বতের উপরে রয়েছে আধিনাথ মন্দির। আর আদিনাথ মন্দিরের সবথেকে আকর্ষণীয় যে বিষয়টি সেটি হল আদিনাথ মেলা। আপনারা যারা এ আদিনাথ মেলা দেখতে চান তারা অবশ্যই বছরের ফাল্গুন মাসে এ স্থানটিতে ভ্রমণ করতে হবে। ছাড়াও মহেশখালী দ্বীপে বেশ কিছু বৌদ্ধ বিহার, জলাবণ ও নানা প্রজাতির পশু পাখি দেখতে পাবেন। 

মহেশখালী দ্বীপে আরো রয়েছে রাখাইনপাড়া ,স্বর্ণমন্দির, ঝাউ বাগান, চরপাড়া বীচ ও পান গাছের বাগান আর লবণের মাঠ। আর হ্যাঁ আপনি যদি কক্সবাজার এ মহেশখালী দ্বীপে এসে থাকেন তাহলে অবশ্যই এখানকার একটি পান খেয়ে দেখবেন।

কক্সবাজার সোনাদিয়া দ্বীপঃ আপনারা যারা কক্সবাজার ভ্রমণ করার চিন্তা করছেন, তারা অবশ্যই কষ্ট করে হলেও কক্সবাজার সোনা দিয়া দ্বীপটি ঘুরে আসতে পারেন। কারণ-এ দ্বীপের তিন দিক থেকে আছে সমুদ্র সৈকত, আছে জীববৈচিত্র পরিপূর্ণ জলাবণ ও ছোট বড় প্যারাবন এবং সাগর লতাই ঢাকা বালি বাড়ি এবং বিভিন্ন প্রজাতির জলচর পাখি। 

সোনাদিয়া এ ছোট্ট দ্বীপে মাত্র ১০০ ১০০ থেকে ১২৫ বছর আগে মানববসতি গড়ে উঠেছে। আর এ দ্বীপে জীববৈচিত্রের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিত মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভিড় জমায়।

কক্সবাজার নিভুতে নিসর্গ পার্কঃ বর্তমান সময়ে এই স্থানটি পর্যটক দের আকৃষ্ট করেছে এর বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিলনমেলার কারণে। নীল জলরাশি, সবুজ পাহাড় আর সাদা সাদা মেঘমালাই নিজেকে উৎসর্গ করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন কক্সবাজারের নিভুতে নিসর্গ পার্কে। এটি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় সুরাজপুর 

মানিকপুর ইউনিয়নে মাতামহরি নদীর অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে পার্কের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এর দক্ষিণে অবস্থিত রয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলা। এ নিভতে নিসর্গ পার্কের দুই পাশে পাহাড়ের মাছ দিয়ে চলে গেছে মাতামুহুরি নদী যার কারণে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটা প্রতিটি পর্যটকদের মন কেড়ে নিয়েছে। 

আর এ নদীতে নৌকা ভ্রমনে যেমন পাহাড় নদীর মিতালী দেখা যায় তার সাথে সাথে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী, পাহাড় বেয়ে ঝরে পড়া ঝরনা, বিভিন্ন পাখির কলরব আপনার মনকে পুলকিত করবে। এছাড়াও আপনি দেখতে পাবেন একাধিক সাদা পাথরের পাহাড়।

কক্সবাজার ইনানী বিচ পয়েন্টঃ কক্সবাজার ভ্রমণকারী সকল পর্যটকদের সব থেকে পছন্দের জায়গাটি হল ইনানী বিচ পয়েন্ট। আর এ স্থানটি এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করার পিছনে রয়েছে এ পয়েন্টে অবস্থিত এক রাজকীয় রিসোর্টের কারনে। যার নাম ইনানী রয়েল রিসোর্ট। ইনানী সাগর সৈকতের কোলঘাশা অপরূপ ম্যারিন ড্রাইভ সড়কের পাশে অন্যান্য বৈচিত্র্যময় রূপে সাজানো এ রিসোর্ট পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। 

এ ইনানী রয়েল রিসোর্টে আপনার পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি হানিমুন ট্যুরের জন্য নিরিবিলি ও চমৎকার পরিবেশে ঘেরা। এ ইনানী রয়েল রিসোর্ট সাগরের মৃদু গর্জন ও পাখিদের কলরব এবং রিসোর্ট এর উদ্যান ভরা বাহারি ফুল প্রত্যেক পর্যটকের কাছে প্রশান্তিময় এক আনন্দের অনুভূতি জাগিয়ে তুলে। রিসোর্টের সামনে রয়েছে বিশাল ইনানী সাগর সৈকত যেখানে আপনার একান্ত সময় কাটানোর সবথেকে উপযোগী স্থান।

কক্সবাজার মারমেইড বিচ রিসোর্টঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আরেকটি মনোমুগ্ধকর স্থানটির নাম হলো মারমেড বিচ রিসোর্ট। টেকনাফগামী মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিম পাশে রেজু খালের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে এ মারমেইড বিচ রিসোর্ট। এ রিসোর্ট টি সম্পূর্ণ কোলাহলমুক্ত ও সবুজে ঘেরা এবং গাছপালার আড়ালে ছোট-বড় বেশ কিছু কুঠির স্থাপনে আবদ্ধ।

আর এ কুঠিরগুলোতে আছে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা। এ মারমেইড বিচ রিসোর্টে অতিথিদের সম্মানিত জানানো হয় বনফুলের মাধ্যমে এবং ওয়েলকাম ড্রিংকস হিসেবে দেওয়া হয় সদ্য গাছ থেকে পাড়া ডাবের পানি দিয়ে। আপনি যদি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে যান তাহলে অবশ্যই এ রিপোর্টটি একবার ঘুরে আসবেন।

কক্সবাজার শ্যামলাপুর সমুদ্র সৈকতঃ আপনারা যারা পরিবার পরিজন ও হানিমুন এর উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকেন, তাদের জন্য সবথেকে নিরিবিলি এবং মনোমুগ্ধকর সকল পরিবেশ একত্রে হয়ে এ পরিবেশটি স্থান গড়ে রয়েছে। যেখানে আপনি সবুজ ঝাউবন ও মাছ ধরার নৌকা এবং ছেলেদের বাস্তবতা ছাড়া তেমন আর মানুষজনের দেখা মিলবে না। আর এই নির্জনতাই ভ্রমণ প্রিয় মানুষকে শ্যামলাপুর সমুদ্র সৈকতের প্রতি আগ্রহ দ্বিগুণ করে তুলেছে। 

এ শ্যামলাপুর সমুদ্র সৈকতটি বাহার ছড়া সমুদ্র সৈকত নামেও পরিচিত। শামলাপুর সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার ইনানী কিংবা সেন্টমার্টিনের মত জনমানুষ পূর্ণ না হলেও এখানে আপনি নীল জলরাশি, সূর্যাস্ত, জেলেদের মাছ ধরার জীবনী, স্থানীয় শিশু ও মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবন আপনাকে একটি নতুন অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করবে।

কক্সবাজার কুতুবদিয়া দ্বীপঃ কুতুবদিয়া দ্বীপ বর্তমান সময়ে কক্সবাজার আগমনকারী সকল পর্যটকদের কাছে অন্যতম একটি স্থান হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। কুতুবদিয়া কক্সবাজার জেলার অন্যতম একটি দ্বীপ উপজেলা। এ দ্বীপে রয়েছে নানান রকম বৈচিত্র্য পরিপূর্ণ সমাহার। আয়তন প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার। 

কুতুবদিয়া দ্বীপের আয়তন অনেক বড় হওয়ায় এখানে আপনি দর্শনীয় স্থানগুলোও পাবেন বেশি। যার মধ্যে কুতুবদিয়া চ্যানেল, কুতুব আউলিয়ার দরবার, বাতিঘর, কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত, বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং লবণ চাষ। আপনারা যদি প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদন দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি শীতকালে কক্সবাজার কুতুবদিয়া ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজার শাহপরীর দ্বীপঃ কক্সবাজার শাহপরীর দ্বীপ বর্তমান সময়ে পর্যটকদের কাছে অন্যতম স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ শাহপরীর দ্বীপে  আপনি জোয়ার ভাটা এবং মায়ানমারের মংডু প্রদেশ খুব সহজেই উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও এ দীপ থেকে আপনি আরাকানের পাহাড় এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেখতে পাবেন। এদিকে ছেলেদের সাগরের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকার বাস্তব জীবনযাত্রা যা আপনাকে আপনার 

নিজের কাছে প্রেরণা যোগাবে যা আপনি কক্সবাজার কোন দিক থেকেই তা উপলব্ধি করতে পারবেন না। এছাড়াও আপনি এ দ্বীপে লবন চাষের বিস্তীর্ণ জমিগুলো দেখতে পাবেন। টেকনাফ থেকে এ শাহপরীর দ্বীপের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এবং এদিকে ৪০ হাজার মানুষের বসবাস এবং মাছ ধরা ও লবণ চাষ তাদের প্রধান পেশা।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডঃ বর্তমান সময়ে কক্সবাজার ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ রোড। যা কক্সবাজার কলাতলী থেকে শুরু হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় ৮০কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোড যা প্রত্যেক পর্যটকদের স্মরণীয় করে রাখে। মেরিন ড্রাইভ রোডের একদিকে রয়েছে উত্তাল সমুদ্র সৈকত আর অন্যদিকে সবুজে ঢাকা ছোট বড় পাহাড়। 

কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান গুলো জেনে নিন

এ ছাড়াও কোথাও কোথাও পাহাড়ের গাবে ঝর্ণার দেখা মিলে। মেরিন ড্রাইভ রোড ভ্রমণ করার সময় বিশ্বস্ত সাগরের সমস্ত সৌন্দর্য আহরণ ছেলেদের সাগরের মাছ ধরার সকল দৃশ্যগুলো আপনি স্পষ্ট উপভোগ করতে পারবেন। যা কক্সবাজার ভ্রমণে সবথেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় এবং আরামদায়ক ভ্রমণ হিসেবে এই স্থানটি আপনার কাছে বিরাজমান থাকবে।

আরোপড়ুনঃ যশের থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে। এখন আপনি এই স্থানগুলো উপভোগ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের কক্সবাজার নামক জেলাটিতে আসতে হবে। তাই এখন আপনার সাথে আলোচনা করব কিভাবে আপনি কক্সবাজার আসবেন।

কক্সবাজার কিভাবে যাবেন জেনে নিন

আপনি যদি কক্সবাজার যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন কিংবা চিন্তা করে থাকেন তাহলে নিম্নে উল্লেখিত লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে কিংবা বাংলাদেশের বাইরে থেকেও কক্সবাজার যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা আসতে হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার সড়ক পথ. রেলপথ এবং আকাশ পথের মাধ্যমে যাওয়া যায়। 

এখন আমি আপনাদের সাথে সকল মাধ্যমগুলো নিয়েই আলোচনা করব এবং কোন পথে কেমন সুযোগ সুবিধা ও ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়গুলো আলোচনা করব। 

সড়ক পথঃ ঢাকা থেকে সরাসরি সড়কপথের মাধ্যমে আপনি কক্সবাজার যেতে পারবেন। এর জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজার গামী বাসগুলোর মধ্যে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, গ্রীন লাইন, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস আলম পরিবহন, মডার্ন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম মার্সিডিজ ব্রিঞ্জা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ঢাকা থেকে সড়ক পথে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য শ্রেণী ভেদে বাসগুলোর প্রতি সিটের ভাড়া ১,১০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

রেলপথঃ আপনি যদি ঢাকা থেকে ট্রেনের মাধ্যমে সরাসরি কক্সবাজার যেতে চান তাহলে আপনাকে ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশন হতে কক্সবাজার এক্সপ্রেস অথবা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে করে কক্সবাজার যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ট্রেনে শ্রেণী ভেদে ভাড়া লাগবে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত।

আকাশ পথঃ বাংলাদেশ বিমান নভোএয়ার, এয়ার আল্ট্রা, ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। আপনি যদি ঢাকা থেকে কক্সবাজার আকাশ পথে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৪,৫৯৯ থেকে ১২০০০ টাকা পর্যন্ত।

কক্সবাজার থাকার জন্য কত টাকা খরচ হয়

কক্সবাজার থাকার জন্য কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়টি আপনার জন্য জেনে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ইতিমধ্যে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য চিন্তা করছেন কিংবা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাহলে এ বিষয়টি জেনে থাকা আপনার জন্য খুবই ভালো। তো চলুন এ বিষয়টি নিয়ে এখন আপনার সাথে আলোচনা শুরু করি। 

কক্সবাজারে থাকার জন্য কত টাকা খরচ হয়, এ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে আপনার ওপর নির্ভর করে। কারণ কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট গুলো বিভিন্ন প্যাকেজে নির্ধারিত করা থাকে। যেখান থেকে আপনি আপনার সাধ্যমত যেকোনো একটি উপায় এ থাকতে পারবেন।

  • মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সাইমন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইস, লং বিচ এবং হেরিটেজ নামক বড় বড় হোটেল এ থাকার জন্য ৬,০০০ থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা খরচ হবে।
  • হোটেল সি ক্রাউন, সি প্যালেস, সি গার্ল, কোরাল রিফ, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, ইউনি রিসোর্ট নামক হোটেলে থাকার জন্য ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ হাজার টাকা খরচ হবে।
  • উর্মি গেস্ট হাউস, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট, মিডিয়া ইন, কোরাল রীফ ইত্যাদি গেস্ট হাউসে থাকার জন্য ৮০০ থেকে ৩,০০০ হাজার টাকা খরচ হবে।

আপনার আপনার উদ্দেশ্যে একটি কথা বলে রাখি, সেটি হল-কক্সবাজারে যে সকল বড় বড় হোটেল গুলো রয়েছে সে সকল হোটেলগুলোর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৫০,০০০ জন। আর আপনি যদি অফ সিজিনে বুকিং না দিলেও হোটেলের রুম পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি ১৫ তারিখ পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং দিয়ে যাওয়াটাই ভালো।

কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জেনে নিন

কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় কোনটি এ বিষয়টি আমাদের সকলের জন্যই জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এ বিষয়টি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে না জানার ফলে প্রকৃতির অনাকাঙ্ক্ষিত সময়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকে। যার ফলে সময়ের সাথে প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে যে অপরূপ সৌন্দর্যময় মুহূর্তের সৃষ্টি হয়ে থাকে তা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। 

তো এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কক্সবাজার ভ্রমণের সব থেকে উপযুক্ত সময় কোনটি এ বিষয়ে। তো চলুন সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি। সাধারণত কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য অনেকেই মনে করেন শীতকাল হলো পারফেক্ট সময়। কিন্তু কক্সবাজার এমন একটি জায়গা যেখানে বছরের যে কোন সময় আপনি বেড়াতে পারবেন 

কিন্তু তারপরও  প্রকৃতির প্রেমে পড়ার জন্য পারফেক্ট একটি সময়ের প্রয়োজন। কেননা-সময়ে সময়ে প্রকৃতি বদলায়, আর প্রকৃতির সেই রূপের প্রভাব পরে কক্সবাজারে ও। তাই সময়ের সাথে সাথে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ পাওয়ার জন্য বর্ষাই বা শরতের নীল আকাশের সাথে মনের মিতালির জন্য চলে যেতে পারেন কক্সবাজার। 

অথবা আপনি যদি হেমান্তের সেই পূর্ণিমা রাতে কক্সবাজারের রূপ দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি নিজে থেকে নিজে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। তো আমি মনে করি কক্সবাজার ভ্রমণের সব থেকে উপযুক্ত সময় হলো শরৎকাল এবং হেমন্তকাল।

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত জেনে নিন

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত এ বিষয়টি হয়তোবা অনেকের কাছেই অজানা। এমনকি আপনি নিজেও কক্সবাজার ভ্রমণ করে এসেছেন কিন্তু এটা জানেন না যে কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত। যদি এমনটাই হয়ে থাকে তাহলে হঠাৎ আপনাকে কেউ যদি প্রশ্ন করে, যে তুই তো কক্সবাজার গিয়েছিস তো বল কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত? তাহলে আপনি কি উত্তর দেবেন। যদি আপনার ক্ষেত্রেও বিষয়টি এরকম হয়ে থাকে তাহলে নিম্নে আলোচিত বিষয়টি মনোযোগ সহকারে করুন। 

কক্সবাজার মূলত দুইটি কারণে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিখ্যাত। প্রথমটি হল-কক্সবাজার তার সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। যেখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত। ১২০ কিলোমিটার এই সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত।এছাড়াও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সবচেয়ে সুন্দরতম দৃশ্য হলো সূর্যাস্ত। 

কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান গুলো জেনে নিন

যা পড়ন্ত বিকেলের আকাশটা আস্তে আস্তে আবির রং থেকে লাল হওয়া এবং নীল পানিতে লাল আকাশের পতিচ্ছায়া অনুভূত সৌন্দর্যের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। এছাড়াও সাগরের বুকে হারিয়ে যাওয়া সূর্যমামা ঠিক হলুদ থেকে কমলা, কমলা থেকে টুকটুকে লাল হয়ে, নানা রঙ্গের সাথে বর্ণিত ছড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্যটা পৃথিবীর অন্যতম সেরা সৌন্দর্যমন্ডিত দৃশ্য এই কক্সবাজার। 

দ্বিতীয়টি হল-দর্শনীয় স্থান হিসেবে কক্সবাজার জেলার যেমন পরিচিতি রয়েছে ঠিক একইভাবে খাবারের দিক থেকেও এ জেলা অনেক বিখ্যাত। কক্সবাজার জেলার বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে একমাত্র খাবার হল ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছের মালাইকারি, মুন্ডি, লইট্যা ফ্যাই, চিকেন ফ্রাই, চিংড়িভাজা, মধু ভাত, বাঁশখালীর খিচুড়ি, চিকেন লাক্সু, কাঁকড়াবোনা ইত্যাদি।

লেখকের শেষ কথাঃকক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান

প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে ১০০% গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি যে, কক্সবাজারের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম, কক্সবাজার ভ্রমণে কিভাবে যাবেন, কক্সবাজারে থাকার জন্য কত টাকা খরচ হয়, কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় কখন, কক্সবাজার কেন বিখ্যাত এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। 

প্রিয় পাঠক আপনি যদি এ আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন এবং এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনি নিয়মিত আমার এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাকে করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url