বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আপনি কি বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ-আজ আপনি এ আর্টিকেলের মাধ্যমে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং নিউমোনিয়া আক্রান্ত বাচ্চার খাবার সহ নিউমোনিয়া ভালো হতে কত সময় লাগে এ বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে পারবেন। 

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আপনি যদি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে ১০০% গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি যে, বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের কারণ সহ সকল বিষয়গুলো আপনি জানতে পারবেন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার 

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা প্রতিটি বাবা ও মায়ের জন্য অত্যন্ত জরুরী। কারণ-বর্তমান সময়ে মহামারী রোগ হিসেবে নিউমোনিয়া অধিক আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সের প্রায় এক লক্ষ শিশু মারা গিয়ে থাকে। যার মধ্যে ২৪ হাজার অর্থাৎ ২৪ শতাংশ মৃত্যু হয় শুধু নিউমোনিয়া রোগের কারণে। 

আর এ নিউমোনিয়া রোগের হার সারা পৃথিবীতে ১৪ শতাংশ। নিউমোনিয়া ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ফুসফুস থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত করে থাকে যার ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। আর এ রোগটি দুই বছর বয়সের নিচে এবং অধিক বয়স্কদের আক্রান্ত করে থাকে। 

তাহলে, এখন আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, নিউমোনিয়া কতটা ভয়ঙ্কর রোগ হিসেবে পরিচিত। তো চলুন বাচ্চারা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হলে তাদের মাঝে কি ধরনের লক্ষণগুলো বিরাজ করে এ বিষয়ে আপনার সাথে আলোচনা শুরু করি।

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ

  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চার অস্বাভাবিক জ্বর হয় যা মাত্রায় ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রী উপরেও হয়ে থাকে।
  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চার ঠান্ডা ও কাশি এবং শরীরে কাঁপুনি হয়ে থাকে।
  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চার সাধারণত অস্বস্তি, মাঝে মাঝে অধিক ঘাম এবং ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে ওঠে।
  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চার শ্বাস নিতে অসুবিধা বা দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস প্রসারিত হয়ে থাকে। যা মিনিটে ৪০ থেকে ৬০ বারেরও বেশি হয়ে থাকে।
  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চার বমি বমি ভাব কিংবা অস্বাভাবিক বমি হয়ে থাকে।
  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চার ক্ষুধা নিবারণ কমে যায় এমনকি কোন কিছু খেতে চাই না যার ফলে বাচ্চার শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চার মাথাব্যথা এবং মাংসপেশি ব্যথা করবে যার ফলে বাচ্চা সব সময় অস্বস্তিকর অনুভব করবে।
  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চার দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের পাশাপাশি বুক দেবে যায় যার ফলে সে ঘুমাতে পারে না এবং খুব কান্নাকাটি করে।
  • নিউমোনিয়া হলে বাচ্চা অধিক ক্লান্তি অনুভব করে এবং প্রস্রাব কমে যায়।
  • নিউমোনিয়া হওয়ার ফলে বাচ্চা অস্বস্তিকর হয়ে থাকে যার ফলে কারো কোলে যেতে চায় না।

প্রিয় পাঠক উপরের উল্লেখিত লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার বাচ্চা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা। এছাড়াও নিউমোনিয়া রোগ নির্ণয় করার জন্য আরো দুইটি বিষয় চলুন নিম্নে থেকে জেনে আসি।

নিউমোনিয়া রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করার উপায়

নিউমোনিয়া রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করা এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-উপরের উল্লেখিত লক্ষণগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন নিউমোনিয়া রোগের সম্ভাবনা। কিন্তু আপনার বাচ্চার উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখা দেয়ার সাথে সাথে অবশ্যই আপনি সঠিকভাবে নিউমোনিয়া রোগ নির্ণয় করবেন। 

আর সঠিকভাবে নিউমোনিয়া রোগ নির্ণয় করার জন্য যে বিষয়গুলো আপনাকে করতে হবে। এখন আমি এ বিষয়টি নিয়েই আপনার সাথে নিম্নে আলোচনা করব। তো চলুন নিম্নে থেকে জেনে আসি সঠিকভাবে নিউমোনিয়া রোগ নির্ণয় করার উপায় সম্পর্কে।

আপনি যা করবেনঃ উপরের উল্লেখিত লক্ষণগুলো যদি আপনার নবজাতকর শিশুর মাঝে লক্ষ্য করেন। তাহলে আপনি সর্বপ্রথম যে কাজটি করবেন সেটি হল-যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার বাচ্চাকে নিয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সকল কার্যক্রম করা।

রক্ত পরীক্ষাঃ আপনার বাচ্চার রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে আর রক্ত পরীক্ষা করালে রক্তের শ্বেত কণিকার সাহায্যে রক্তের সিআরপি এর মাধ্যমে নিউমোনিয়া নির্ণয় করা যাবে।

বুকের এক্সরেঃ আপনার বাচ্চার রক্ত পরীক্ষা করা হয়ে গেলে অবশ্যই বুকের এক্স-রে করাবেন। বুকের এক্সরে করার মাধ্যমে ফুসফুসের সকল অংশগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। আর ফুসফুসের কিছু অংশ বা অনেক অংশ যদি সাদা হয়েছে বলে মনে হয় তাহলে আপনার বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে।

নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার কি? জেনে নিন

নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার এবং শিশুকে নিউমোনিয়া রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এ প্রতিকার সম্পর্কে জানা আপনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও নিউমোনিয়া রোগ মহামারী হিসাবে খুবই পরিচিতি পেয়েছে কিন্তু দ্রুত চিকিৎসাই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব। 

আরোপড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সুজি খাওয়ার উপকারীতা জেনে নিন

তাই আপনার বাচ্চা যদি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে কোন প্রকার ভয় না পেয়ে অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এখন আপনি কি ধরনের চিকিৎসা বা প্রতিকার মূলক চিকিৎসা করবেন চলুন নিম্নে সে বিষয়টি নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করি।

নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসাঃ নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা হিসেবে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস এর বিরুদ্ধে টীকা গ্রহণ করা। যা নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন হিসেবে পরিচিত। বর্তমান সময়ে নিউমোনিয়ার জন্য কিছু ভ্যাকসিন বের হয়েছে। আর আপনার বাচ্চাকে ভ্যাক্সিনগুলো সময়মতো দেওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

নিউমোডিয়া রোগের জন্য আপনি চাইলে বাসা থেকেই চিকিৎসা দিতে পারবেন। তার জন্য অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার শিশু যদি খেতে পারে ও অতিমাত্রায় অসুস্থতায় না পড়ে এবং বেশি শ্বাসকষ্ট কিংবা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের বেশি থাকে তাহলে

অ্যামক্সিসিলিন এন্টিবায়োটিক দিয়ে বাসায় নিউমোনিয়া চিকিৎসা দিতে পারেন। কিন্তু আপনার শিশুর যদি শ্বাসকষ্ট ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের নিচে এবং কোন কিছু খেতে না পারলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করার উপায়

নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করা উপায় সম্পর্কে জেনে থাকা আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা-আপনি যদি এ বিষয়টি ভালোভাবে জেনে থাকেন তাহলে আপনার শিশুকে নিউমোনিয়া রোগের হাত থেকে বাঁচাতে অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকবে। তো চলুন কিভাবে নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করা যায় এ বিষয়টি নিম্নের মাধ্যমে জেনে আসি।

  • বাচ্চাকে তার শৈশব টিকা গুলো সঠিক সময়ে প্রদান করাবেন। যা আপনার বাচ্চাকে নিউমোনিয়ার মত কঠিন সকল রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
  • বাচ্চাকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চার কাছ থেকে দূরে রাখুন।
  • বাচ্চাকে সবসময়ই ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন এবং যে সকল ব্যক্তি হাচি-কাশি দ্বারা আক্রান্ত সেসকল ব্যক্তিদের সামনে থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখুন।
  • বাচ্চাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তাই রাখুন। এমনকি সকল ব্যক্তিবর্গ বাইরে থেকে আসার পর হাত মুখ ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে তারপর বাচ্চাকে স্পর্শ করুন।
  • বাচ্চাকে খাওয়ানোর আগে অবশ্যই সাবান এবং হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করে ভালোভাবে হাত ধুয়ে তারপর বাচ্চাকে খাবার খাওয়াবেন।
  • বাচ্চার বয়স ছয় মাসের বেশি হলে, তাকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার হিসেবে দেশীয় খাবার গুলো খাওয়াবেন।
  • শীতের সময় নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ একটু বেশি থাকে সেজন্য আপনার বাচ্চাকে শীতের সময় একটু বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করাবেন।
  • বাচ্চার সামনে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ ধূমপান ফুসফুসের ক্ষতিসাধন করে থাকে। আর ফুসফুসের সমস্যা থেকেই নিউমোনিয়া রোগের উৎপত্তি হয়।
  • বাচ্চার বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর বিষয়গুলো অনুসরণ করবেন।
  • যে সকল ব্যক্তিদের হাঁপানি জনিত সমস্যা রয়েছে সে সকল ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখবেন।
  • ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকেও বাচ্চাকে দূরে রাখবেন। কারণ-ডায়াবেটিস রোগীদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

প্রিয় পাঠক আপনি ওপরের বিষয়গুলো থেকে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন, বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করার উপায় গুলো সম্পর্কে। এখন আপনার সাথে আলোচনা করব নিউমোনিয়া আক্রান্ত বাচ্চার খাবার তালিকা সম্পর্কে।

নিউমোনিয়া আক্রান্ত বাচ্চার খাবার তালিকা

নিউমোনিয়া আক্রান্ত বাচ্চার খাবার তালিকা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাচ্চা যদি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাকে আপনি কি ধরনের খাবার খাওয়াবেন চলুন এ বিষয়টি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করি।

  • বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাসের নিচে হয়ে থাকে তাহলে শুধুমাত্র তাকে বুকের দুধ খাওয়াবেন।
  • যদি বাচ্চার বয়স ৬ মাসের বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর সুষম খাবার গুলো খাওয়াবেন।
  • সহজে হজমকৃত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো খাবেন।
  • বাচ্চার বয়স অনুযায়ী গরুর দুধ ও ডাবের পানি এবং ফলমূল খাওয়াবেন।
  • নিউমোনিয়া আক্রান্ত বাচ্চাকে পনির, ডাল এবং লেবু খাওয়াবেন।
  • সুষম খাবারের পাশাপাশি সবুজ জাতীয় সকল ধরনের শাকসবজি খাওয়াবেন।
  • নিউমোনিয়া আক্রান্ত বাচ্চাকে টক দই জাতীয় প্রোবায়োটিক খাবার গুলো খাওয়াবেন।

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ কি

বাচ্চাদের নিউমোনি হওয়ার কারণ জানা প্রতিটি বাবা-মায়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।-কারণ-নিউমোনিয়া একটি মহামারী রোগ। এ রোগের আক্রমণে প্রতিবছর অনেক কিছুই মৃত্যুবরণ করে থাকে। তো আপনি যদি নিউমোনিয়া হওয়ার কারণগুলো জেনে থাকেন 

আরোপড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি জেনে নিন

তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার শিশুকে সে অনুযায়ী প্রোটেক্ট করতে পারবেন। তো চলুন বাচ্চাদের নিয়ে মনে হওয়ার কারণগুলো কি কি এ বিষয়ে নিম্নে থেকে জেনে আসি।

নিউমোনিয়া হওয়ার কারণঃনিউমোনিয়া হলো লাঞ্চ বা ফুসফুসের একটি রোগ। অর্থাৎ ফুসফুসে কোন প্রকার ইনফেকশন হলে তা নিউমোনিয়া হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আর এ নিউমোনিয়া রোগটি সব বয়সেই হয়ে থাকে কিন্তু শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুদের এ ধরনের রোগটা বেশি হয়ে থাকে এবং অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়। তো চলুন বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হওয়ার কারণগুলো জেনে নেই-

  • বাচ্চাকে শূন্য থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ না খাওয়ালে।
  • বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায়।
  • বাচ্চা যদি অপুষ্টি হীনতায় ভোগে। তাহলে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা টা একটু বেশি।
  • শীতকালে ঠান্ডা ও সর্দির কারণে বাচ্চাদের নিমোনিয়া হয়।
  • বাচ্চা যদি ঘনবসতি স্থানে বসবাস করে এবং অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মেলামেশা করে তাহলে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।

প্রিয় পাঠক উপরের উল্লেখিত বিষয়টি থেকে আপনি ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে বাচ্চাদের নিমোনিয়া রোগ হওয়ার কারণ কি। এখন নিম্নে আপনার সাথে আলোচনা করব বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য।

লেখকের মন্তব্যঃবাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন? তাহলে আমি ১০০% সিওর ভাবে বলতে পারি যে, বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ও বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ কি এবং নিউমোনিয়া আক্রান্ত বাচ্চার খাবার তালিকা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। 

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রিয় পাঠক-আপনি ইতিমধ্যেই জানেন যে, নিউমোনিয়া এই মহামারী রোগটির আক্রমণে প্রতিবছর ২৪ শতাংশ শিশু মৃত্যুবরণ করে। তাই আপনার শিশুকে নিউমোনিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নিউমোনিয়া রোগ হলে আপনার করণীয় কি এ সকল বিষয়গুলো আপনি সঠিকভাবে জেনেছেন। যার ফলে আপনার নবজাতক টুকে এই মহামারী নিউমোনিয়া রোগের হাত থেকে রক্ষা করে সমাজে একটি সুস্থ সবল শিশু হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। 

প্রিয় পাঠক আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন এবং এ ধরনের আরও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়তে চান? তাহলে আপনি অবশ্যই রেইন ওয়েব জনের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রেইন ওয়েব জোনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।কারণ প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url